চরিত্রহীন এক মহিলা
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস ১০ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:৪৬:০৯ সকাল
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (দ) ও হযরত ঈসা (আ)এর মধ্যবর্তী যুগে একজন লোক ছিলেন। তার নাম হযরত জুরাইজ। অতি অল্প বয়স থেকেই তিনি আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন হন এবং জনগন থেকে বিছিন্ন হয়ে নির্জনে নিজস্ব এক ইবাদত খানা তৈরি করে সেখানে ইবাদতে মশগুন হয়ে যান।
একদিন তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে নফল নামায পড়ছিলেন এমন সময় তার মা তাকে ডাকলেন, তিনি নামাযরত থাকায় ডাকে সাড়া দিলেন না। তাতে মা রাগ হয়ে ছেলেকে বদদোয়া করলেন -ইয়া আল্লাহ! সে আমার ডাকে সাড়া দেয়নি, অতএব সে যেন দুশ্চরিত্র নারীর তোহমতের লক্ষ্যস্থল হয়!
যেহেতু মা-বাপের হক সর্বোচ্চ, এবং শরীয়তে এ মাসয়ালা রয়েছে যে নফল নামায ছেড়ে মা বাপের ডাকে সাড়া দেয়া কর্তব্য । কিন্তু এ মাসয়ালাটি জুরাইজের জানা ছিল না।
তাই তিনি মায়ের ডাকে সাড়া দেননি।
মায়ের অভিশাপ আল্লাহর দরবারে কবূল হয়েছিল।
এদিকে হিংসুকের দল শীঘ্রই হযরত জুরাইজের পেছনে লাগল।
তারা তাকে অপমানিত করার জন্য চরিত্রহীন এক মহিলাকে ঠিক করল । তারা বলল, তোমার গর্ভের সন্তান প্রসব করলে তুমি লোকদের বলবে যে, এটা জুরাইজের কর্ম। দুর্ভাগা দুশ্চরিত্রা মহিলা তাই করল।
এবার হিংসুকের দল হযরত জুরাইজের নিকট দল বেধে গিয়ে নানাভাবে তিরস্কার এবং ঠাট্টা বিদ্রুপ করেই খ্যান্ত হলনা, তারা তার ইবাদতাখানা ও ভেঙ্গে ফেলল।
হযরত জুরাইজ সদ্য প্রসূত শিশুকে জিজ্ঞেস করল, তোমার পিতা কে?
আল্লাহর মহিমা অপার। শিশুর মুখে কথা ফুটে উঠল । সে এক রাখালের নাম বলে দিলো । আর রাখালটি ছিল ওই হিংসুকের দলেরই একজন।
হযরত জুরইজের বুযুগর্গি দর্শনে হিংসুকের দল তার পদপ্রান্তে লুটিয়ে পড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগল এবং তার ইবাদতখানাকে স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করে দিতে চাইল।
হযরত বললেন - না, আগে যেমন ছিল তেমন একখানা ঘরই বানিয়ে দাও।
তারা ঘর তৈরি করে দিল। তারপর হযরত জুরাইজ আপন মনে ইবাদত করতে লাগলেন। কিন্তু হযরত জুরাইজ মাতার ডাকে সাড়া না দেয়ার কারনে এ পেরেশানী ভোগ করতে হলো । কাজেই কাকেও বদ দোয়া করতে নেই। কেননা , বদ দোয়াতে কোন কল্যাণ নেই।
তবে প্রত্যেক আল্লাহর ওলিদের এই ধরনের বিপদ আসে।
বিষয়: বিবিধ
১৯৫৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু কথা হল :
''মায়ের পায়ে নিচে সন্তানের বেহেশত''
এবং
''তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম ''
এখন, মা ও স্ত্রী যদি একই সময়ে পরষ্পর বিপরীত মুখী কাজে ছেলে/স্বামীকে ডাকে তাহলে কি করবে ছেলে/স্বামী ?
মায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে বউয়ের বিরাগ ভাজন হয়ে উত্তম হওয়া ত্যাগ করবে ,
নাকি
বউয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে মায়ের বিরাগ ভাজন হয়ে বেহেশত হারাবে
এখানে মা, আর বউ দুইজনেই মহিলা মানুষ।
একজনকে বলেছে মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত,
অন্যজনের ব্যপারে বলেছে স্ত্রীর কাছে যে উত্তম সেই সবার কাছে উত্তম।
দুইটাই একই জিনিস আর তা হলো দুজনই ভালবাসার মুখাপেক্ষি দুজনকেই ভালবাসতে হবে,
এখন দুজন যদি দুপাশে ভালবাসা ভিক্ষা চায় তাহলে আপনি দুইভাবে ভালবাসুন,
তাছাড়া কাউকে ভালবাসতে গেলে জ্ঞানের প্রয়োজন,
মূর্খ/জ্ঞানী/রাজা বাদশারা এইখানেই খোচড় খায়,
যার যার ভালবাসা ভাগ করে দিলে দোষের কিছু নেই,
আপনি স্ত্রীকে ভালবাসতে গিয়ে মাকে ঘৃনা করবেন কেন?
মাকে ভালবাসতে গিয়ে স্ত্রীকে ঘৃনা করবেন কেন?
একজন ভাত খুজতেছে অন্যজন শাড়ী খুজতেছে
আপনি দুইজনকে একই সাথে একই মুহুর্তে দিতে যাবেন কেন?
আপনার যদি জ্ঞান থাকে তাহলে পরিবার আর ধর্মীয় দিক দিয়ে প্রধান্য পায় মা,
সেহেতু আপনি প্রথমে মায়ের জন্য ভাত নিয়ে যাবেন
তারপর বউয়ের জন্য একটি শাড়ী কিনে দিবেন
তাতে তো ভালবাসার ঘাটতি আছে বলে মনে হয়না,
হ্যা স্বীকার করি সংসারে যাবতীয় অঘটনের মুল হয় এই দুইজন মহিলার দ্বারাই,
তারা একটু সচেতন আর জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে নিজেকে নিজের প্রয়োজনই
মন্তব্য করতে লগইন করুন