ভালবেসে বিয়ে করা
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস ০৫ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:০৪:১০ সকাল
কাউকে ভালবাসা যেভাবে সহজ সেভাবে ভালবেসে বিয়ে করা সহজ নয়।
সবার মত আমিও ভালবেসে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখতাম। আমার জীবনে ভালবাসাটা একান্ত প্রয়োজন ছিল।
কারন আমার ছোট কালেই আমার গর্ভধারিনী মা আমাকে একা রেখে পৃথিবী থেকে চলে যান , এমনকি কয়েক বছর পর আমার বাবাও। সেই হিসেবে আমার স্থান হয় ছোটকাল থেকেই এতিম খানায়।
বেচে থাকার জন্য যেমন খাদ্য প্রয়োজন ঠিক মানসিক শারীরিক জীবন ধারনের জন্য ভালবাসা প্রয়োজন।
আমি সব সময় কল্পনার পৃথিবীতে ছবি আকতাম ভালবাসার, ভাবতাম কেউ আমাকে হাত ছানিয়ে দিয়ে আমার জীবনকে সুন্দর করুক।
নিজেকে সব সময় একা একা নিংসঙ্গ থাকতে ইচ্ছে করতাম।
ভাবুক জীবনে ডুবে থাকাটা আমার আনন্দময় ছিল।
যাই হোক প্রভু হয়তো আমার মোনাজাত অন্যভাবে কবুল করেছেন ।
আমার জীবনে ভালবাসা কড়াঘাত করেছিল করুনভাবে
আজ সে ভালবাসার ইতিহাসই আপনাদের বলবো।
৫ম শ্রেনীতে আমার জীবনে ভালবাসার হাতল ছায়া
আমার গ্রামের পাশেই আমার প্রানের প্রিয়তমার বাড়ী। আমি তখন ৫ম শ্রেনীতে। ছাত্র হিসেবে মেধাবী। মা বাবা না থাকায় স্থান হয় শহরের এতিম খানায় , বাড়ীতে যেতাম মাসে একবার কিংবা দুই বার।
আমি তাকে খুব ভালবাসতাম কিন্তু কোন দিন বলার সাহস পাইনি । এমনিতেই আমি ভিতু টাইপের। মেয়েদের সামনে আমি অ আ ই ঈ পর্যন্ত ভূলে যাই। কারন আমি ছোট বেলা থেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন, কার সাথে কি ব্যবহার করতে হয় জানতাম না বিশেষ করে কোন মেয়ের সাথে।
আমি আমার প্রিয়তমার বাড়ীর পাশে সব সময় বসে তাকে এক নজরে দেখতে চেষ্টা করতাম,
তার মুখখানা ছিলা কমলার মতো গোলাকার, কন্ঠ ছিল রানী মুখার্জির কন্ঠের মতো ভাঙ্গা ভাঙ্গা,
চুল ছিল একেবারেই লম্বা যেন অপসরী, হাটতো নেচে নেচে, অত্যন্ত লাজুক মেয়েটিকে সারাক্ষনই দেখতে ছুটে যেতাম পাগলের মতো, সে হয়তো বুঝতো কিছুটা,
তার বড় ভাই আমার ভাল বন্ধু। বন্ধুর সুবাদে তার ঘরে যেতে আমার বুক কাঁপতোনা। তার ঘরে যখন তাকে উকি মেরে দেখতাম তখন সে আমার মতলব বুঝতে পেরে দিতো এক দৌড়। চিঠি লেখতাম তার জন্য, তার ঘরে গিয়ে ভাইয়ের ছেলের খাতায় কিংবা তার পাশের বান্ধবীর খাতায়, লেখতাম তাকে ভালবাসার কথা,
আমাকে প্রভু আর কিছু দিক না দিক অন্তত আমার বুকের মাঝে এক ধরনের ভালবাসা দিয়েছে যা মানুষকে আকৃষ্ট করে, আমার মনের মাঝে যত ভালবাসা থাকে সব টুকু তার খাতায় লেখে আসতাম,
অভিমান করে গ্রামে ফিরে না যাওয়া
এই ভাবে তিন বছর,
তিন বছর পর সিদ্ধান্ত নিলাম তাকে অবশ্যই সরাসরি কিছু একটা বলা দরকার।
কারন আমার একাকিত্বটা আমাকে ক্ষুরে ক্ষুরে খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে প্রতিদিন।
তার ঘরে গিয়েছি তাকে আমি ডেকেছি কিন্তু সে আসেনি বরং সে এমন কান্ড করেছে যেটার জন্য আমি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি যে আমার গ্রামে আর আমাকে দেখা যাবেনা।
ঠিক সেই মূহুর্তে গ্রাম ছাড়লাম আর আমাকে দেখেনি কেউ।
আমি যখন অভিমান করে শহরের পথে রওয়ানা হচ্ছিলাম তখন তার সুন্দর চেহারা খানি বার বার মনে পড়ছিল, যতবার মনে পড়ছে ততবারই ধিক্ষার দিতে ভুলেনি আমি।
তবে একটি কথা তার খাতায় লেখে এসেছিলাম তুমি-আমার জন্য অপেক্ষা থেকো বন্ধু
[b]২০০৭ সালে বিয়ের প্রস্তাব[/b]
আমার মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ , ছোট কালে মা বাবা হারানো ছেলেরা একটু নিষ্টুর হওয়া অস্বভাবিক নয়।
ছোট কালের কোন ঘটনাই আমার মনে থাকার কথা নয়, বিরহতা, আর বেদনাকে জয় করতে না পারলে সামনের অন্ধকার পথ পাড়ি দেয়া কিছুতেই সম্ভব ছিলনা,
আমার গ্রামে কার বিয়ে হচ্ছে , কে মরছে কে ভুমিষ্ট হচ্ছে ইত্যাদির হিসাব নিকাশের কোন খবরই আমার নেওয়ার কথা না। তখন আমি আমার এতিম খানার বিশাল এলাকা জুড়ে ভাল মানের শিক্ষক নামে পরিচিত।
আমার কোচিং পরিধি অনেক, একেবারেই ছয়টি শাখা উপশাখা,
জমজমাট কোচিং ব্যবসা,
হঠাত রাতে এক অপরিচিত নাম্বার থেকে আমার মোবাইলে কল আসলো, রিসিভ করার পর বললো আপনি কি ফারুক ভাই বলছেন? আমি বললাম হ্যা, আপনি কি বিয়ে করছেন? হঠাত এই কথা শুনার পর আমার মনে মধ্যে কেমন যেন ভুমিকম্প শুরু হয়ে গেলো, জীবনের এই প্রথম একজন মহিলা এই ধরনের কথা বললো, যা হোক আমি বললাম আপনি কে?
আচ্ছা ! আপনি কি রানী (রুপক নাম, আমি তাকে রানী মুখার্জি নামে ডাকতাম কারন তার কন্ঠ ছিল ভাঙ্গা ভাঙ্গা) নামের কাউকে চিনেন?
হ্যা, চিনি, ত কি হয়েছে ওর?
ও ত আপনাকে ছাড়া বিয়ে করছেনা, পরিবার থেকে এর জন্য যত পাত্র পছন্দ করার জন্য ছাপ দিচ্ছে ততই সে আপনার কথা বলছে,
সে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে আপনাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবেনা, আপনাকে সে অনেক অনেক ভালবাসে,
আমি বললাম কি এমন কাজ করেছি যে সে আমাকে ছাড়া বিয়ে করবেনা!
আপনি ত বলেছেন ওকে অপেক্ষা করতে।
সে জন্য সে দীর্ঘদিন অপেক্ষার প্রহর ঘুনছে, এমনকি সারা জীবন হলেও সে এই কাজটি কাজটি করবে।
তার ভাবীর মোবাইলটি তাকে দিলো আমি কথা বললাম, তার অনেক জমানো কথা বলতে দ্বিধাবোধ করলোনা, কারন সে বাস্তবতার মধ্যে সম্মূখিন, যা করবে তা কিছু নিজের সুখের জন্যই করবে, তার একটাই অনুশোচনা আর তা হলো যে আমাকে এত করে ভালবাসে তাকে আমি কেন ফিরে দিলাম।
সে সরাসরি বলে ফেললো আমি যেন অতি সত্তর তার ঘরে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হই।
তখন থেকে নিজেকে ভাবলাম জীবনের মোড় অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে সুখের দিকে কিংবা দুঃখের দিকে।
জীবনের দিকে কিংবা মৃত্যুর দিকে।
আমার পরিবারকে বিয়ের কথা জানানো:
আমি কাল বিলম্ব না করে সর্ব প্রথম আমার বড় ভাবীকে আমার বিয়ের কথা জানাই, তার ঘরে যেন মিষ্টি নিয়ে প্রস্তাবটা দিয়ে আসে। কিন্তু ভাবী করেছে তার উল্টো কাজ, যেটা সমাজে খুবই অপছন্দ,
তার বড় ভাই ছিল বড় মাপের ডাক্তার, ডাক্তারকে আমার বড় ভাবীর ঘরে ডেকে এনে স্রেফ টোষ্ট বিস্কুট আর চা দিয়ে আমাদের বিয়ের প্রস্তাবটা দেয়, যেটা আমাদের জীবনকে একটা অনিশ্চয়তার দিকে টেলে দেয়,
ডাক্তার ত মহা বেজার এবং মহা ক্ষোভ আমার ভাবীর প্রতি।
তার রেজাল্ট জানলাম কিছুতেই রাজী না ডাক্তার সাহেব এবং তার বাবা।
তারপর বললাম আমার সেজু ভাইকে যিনি ডাক্তার সাহেবের একান্ত ঘনিষ্ট বন্ধু। ভেবেছিলাম তার কথাতে হয়তো কাজ হতে পারে, তিনি না গেয়ে পাঠায়েছিলেন আমার সেজু ভাবীকে
ব্যস, কিছু আমার প্রতি ডাক্তারের সহনুভুতি থাকলে সেটাও কেটে দিয়ে আসলেন আমার সেজু ভাবী
মিষ্টি নিয়ে গেলেন ঠিক। প্রস্তাবো দিলেন ঠিক। কিন্তু বলেছেন উল্টোভাবে।
ডাক্তার সাহেব, বলছিলাম কি আপনি ত আমাকে ভাল করেই চিনেন , তাছাড়া আমার স্বামী আপনার ঘনিষ্ট বন্ধুও বঠে।
বলছিলাম কি, আমরা যতটুক জানতে পেরেছি আমার দেবরের সাথে আপনার বোনের বিয়ে দিবেন না, তাই আমি বলছি আমার ছেলেও এখন মাশাআল্লাহ অনেক বড় হয়েছে শুনেছি এরাও পরস্পর জানা শুনা আছে, আমার ভাবীর এই কথা শুনার পর ভিলেন্টের ভুমিকা পালন করতে দেরী করলেন না ডাক্তার সাহেব,
আমাদের জীবনের সুখ আর সংসার পাতানোর আশাটা একেবারেই মাটি হলো,
মরুব্বীরা বলে থাকে কোন ভাবীরা চাইবেনা যে তার চেয়ে সুন্দর আর শিক্ষিত মেয়ে তার ঝাল হয়ে ঘরে প্রবেশ করুক। এই মুরুব্বীদের কথা নিহাত ভুলে গেছিলাম।
তবু হাল ছাড়ার পাত্র নই আমি।
২০১১ সালে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত
আমার প্রিয়তমা ছিল এক কথার মানুষ, পরিবারের সবার আদরের ধন, সম্পূর্ণ ইসলামিক মাইন্ডের, সেই তার পরিবারকে সাফ জানিয়ে দিল আমাকে ছাড়া সেই কিছুতেই বিয়ে করবেনা, এমনকি কর্ণফুলী নদীতে যদিও তার দেহখানি ঠুকরো ঠুকরো করে ভাসিয়ে দেয়া হয় তবুও। ( আমাদের দুইজনের বাড়ী একবেবারেই কর্ণফুলী নদীর তীরে)
পাত্রের পর পাত্র আসতে লাগলো একটা পাত্রকে একেকভাবে কৌশলে বিদায় জানাতে লাগলো সে, কোন পাত্রকে বলে বুঝায়ে কোন পাত্রকে মোবাইলের মাধ্যমে, কোন পাত্রকে পাগলের অভিনয় করে, কোন সময় পাত্রের সাথে বিয়াদবি করে, সেই এই ভাবে ২০১১ সালের শুরুর দিকে পর্যন্ত কৌশলটা অবলম্বন করছিল, সেই যত কিছুই কৌশল অবলম্বন করুক না কেন বয়স ত আর বসে থাকেনা, তবুও
সে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে বিয়ে করবেইনা, প্রয়োজন হলে আত্মহত্যা করবে
তার শারীরিক মানসিকের উপর নির্যাতনের মাত্রা প্রতিদিন বৃদ্ধি হতে লাগলো,
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী ২৭ তারিখের রাত,
গভীর রাত, আমি থাকতাম ফ্যামিলি বাসা নিয়ে সম্পূর্ণ একা, কারন যে কোন সময় তাকে আমার বাসায় তুলতে হবে, সে জন্য তার জন্য কিনলাম এলসিডি টিভি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, শাড়ী, গয়না, চুড়ি, খাট, আলমিরা, এমনকি রান্না বান্নার ডেকসিও।
ত সেই অন্ধকার গভীর রাতে হঠাত তাকে আবিস্কার করলাম আমার সামনে ধপধপে সাদা, পরীর মতো , দাড়িয়ে আছে , তার লম্বা চুল আকাশে উড়ছে, এবং আমাকে হাতছানিয়ে দিয়ে ডাকছে বুকের মাঝে। আমাকে ডাকতেই আমি কিছু না বুঝেই ছুটে গেলাম তার পাশে, তাকে বুকে জড়িয়ে ধরতেই হাওয়া হয়ে গেলো মুহুর্তে।
কী উদ্ভোদ ভুতুড়ে মুহুর্ত! আমিত আমার মধ্যে নেই, আমি শেষ পর্যন্ত তার বিরহ যাতনায় ছোট বাচ্ছার মতো চিত্কার করে করে কাদতে লাগলাম আমার প্রিয়তমার নাম ধরে।
শেষ পর্যন্ত বিরহতা সহ্য করতে না পেরে আমার ছয়টি ঘুমের ঔষধ সব গুলো পানির সাথে মিশিয়ে খেয়ে ফেলি, ব্যস, মৃত্যুর ঘুঙ্গানি, সাকরাতের করুন মুহুর্ত ছটপট, আর্তচিত্কারের অন্য বাসার সব মানুষ একাকার।
পরে আমি নিজেকে আবিস্কার করলাম সরকারী মেডিকেলে।
তৃতীয়বার বিয়ের প্রস্তাব
আমার আত্মহত্যার করুন দশাটা আমার পরিবারকে বলা হল এবং সাথে ডাক্তার সাহেবকে বলা হলো, কারন আমার হাতের মধ্যে দুইটা মোবাইল নং লেখা ছিল একটা আমার সেজু ভাইয়ের অন্যটা ডাক্তারের।
ব্যস, হুলুস্থুল যাকে বলে আমার সেজু ভাই ত পাগল হয়ে গেলো আমাকে বাচানোর জন্য, তাড়াতাড়ি আবার নতুন করে আমার সেজুভাবী, মেম্বার আর স্থানীয় বিচারকের বউকে সাথে করে ৪০ কেজি মিষ্টি নিয়ে প্রস্তাব নিয়ে গেলো,
আমার ভাবীরা সেখানে প্রস্তাব দেয়ার পর ডাক্তার সাহেব বললেন, যতই চেষ্টা করা হোক কোন কাজ হবেনা, প্রয়োজন হলে আমার বোনকে নদীতে ভাসিয়ে দিবো তবুও আপনাদের মতো পরিবারে আমার বোনকে তুলে দিতে পারিনা। তাছাড়া তাদের সাথে এমন কোন প্রেম ছিল না যে যার কারনে আত্মহত্যার মতো পরিস্থিতির স্বীকার হয়,
আমার ভাবী বললেন তাদের মধ্যে ত ভালবাসা ছিল, তাছাড়া আপনার বোনেই ত বিয়ের প্রস্তাব দিতে বললেন,
ডাক্তার সাহেব বললেন ঠিক আছে আমার বোন যদি আপনার দেবরকে ভালবাসে কিংবা বিয়ে করতে রাজি হয় তাহলে আমিও আবশ্যই রাজি হবো,
অতপর আমার প্রিয়তমাকে ডাকা হলো আমার ভাবীর সম্মূখে, আমার ভাবী জিজ্ঞাস করলেন , হে রানী! তুমি কি এই বিয়েতে রাজি আছো?
উত্তর দেয়না রানী,
আবার বললেন তুমি কি এই বিয়েতে রাজি আছো? কোন উত্তর নেই
আবার বললেন তুমি কি এই বিয়েতে রাজি আছো?
রানী অনেক্ষন পর নিশ্চুপতা ভাঙ্গলো, সে কান্না ভেজা কন্ঠে বলল আমাকে ক্ষমা করে দিও ভাবী এই বিয়েতে আমি রাজি নেই,
তার কন্ঠে আমার ভাবী কৃত্রিমতা খুজে পেলেন, বললেন সত্যি করে বলো তুমি কি দেবরকে ভালবাস না? রানী বললেন- না, আমি কখনো তাকে ভালবাসিনি, সে যদি আমাকে ভালবাসে তাহলে আমার কিছু করার নেই।
আমার ভাবী তার মুখের দিকে হতবাক হয়ে অনেক্ষন তাকিয়ে দেখছেন, এই ত ফিল্মকেও হার মানাবে এমনকি ভিলেনের দিক দিয়ে তোমার ভাইকেও কম মানাবেনা।
কনে সেজে বিয়ের সিঁড়িতে আমার প্রিয়তমা।
সব জল্পনা কল্পনা অত্যাচার নিপিড়ন শেষে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলো বিয়ে করার। সামী বিদেশে থাকে,
আমার আত্মীয় স্বজনেরা আমাকে নিয়ে খুব ভয়ের মধ্যে আছে, কারন আমার আপন বলতে ঐ রানীই ছিল, যে আমার সার্বক্ষিন অবস্থার খবর নিত, এখন ত খবর নেয়ার থাকবেনা, সত্যি বলতে কী বেচে থাকার আগ্রহটা আমি একেবারেই হারিয়ে ফেলেছি। আমি তীলে তীলে তার বিরহ যাতনায় মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে লাগলাম।
আমার প্রিয়তমা যখন বিয়ের পিড়িতে কবুল বলবেন ঠিক তখনই আমাকে মোবাইল করলেন , বললেন দুংখিত , আমার আর কিছু করার ছিলনা, আমার সামনে আমার ডাক্তার ভাইয়ের মৃত্যু ভাবতে পারিনা, আমার ভাই বলেছে যে আমি যদি আপনাকে ভালবাসার কথা বলি কিংবা বিয়েতে রাজি হই তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
জানি আমাকে ক্ষমা করবেননা, তবুও আমি ক্ষমা ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে অভিশাপ দিবেন না প্লিজ!
বিষয়: বিবিধ
২৮৯৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি আমার জন্য পারলে দোয়া করিয়েন যাতে সুখে থাকতে পারি, বেচে থাকতে পারি
আপনি ঠিকই ধরেছেন, মহান প্রভু আমার শেষ মুহুর্তে জীবন রক্ষা করেছেন আমার এক ছাত্রীর মাধ্যমে,
সেটারও অনেক ইতিহাস হয়তো সময় পেলে লেখা হবে সেই বিয়ের ইতিহাসটা
মন্তব্য করতে লগইন করুন