কিছু ছবি আপনার ভাল লাগতেও পারে-১০
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৩৭:১৯ সকাল
০১।
একটু ভেবে চিন্তে দেখুন আমি কেন এই ছবিটা আপনাদের ভাল করে দেখতে বলছি
০২।
একা বসে বসে আছেন।
মন বেশ খারাপ, কিছুই ঠিক মত আগাচ্ছে না । এই নিয়ে মনে হতাশা কাজ করছে।
এমন সময় আপনার আম্মা আসে এমনি এমনি ঝাড়ি দিয়ে বাজারে পাঠাল।
বাজারের অর্ধেক যেয়ে শুরু হল কুকুর বিড়াল বৃষ্টি, কাঁচা বাজারের চিরাচরিত পেঁজা পেঁজা কাঁদা স্যান্ডেলে লেগে একাকার!!!
যথারীতি বিলা মেজাজে ভিজে ভিজে বাসায় আসতে আসতে আযান হয়ে গেল।আপনি মসজিদে গিয়ে সালাতে দাঁড়ালেন।
এমন সময় গুটু গুটু পায়ে কোন ছোট্ট পিচ্চি(লেদা টাইপের) আপনার পাসে আসে দাঁড়াল।
আপনি রুকুতে যান, আপনাকে দেখে সে ও যায়,তার পর আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে আপনি পরে কি করবেন সেই জন্য।সিজদায় গেলে আপনার মত ষে ও গেল সিজদায়।
এমন সময় সালাত শেষ হল, সে আপনার দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ দেখার জন্য।
আপনি তার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলেন।
কি চমৎকার দৃশ্য তাই না???
(ছোটরা বড়দের অনুকরন করে)
০৩।
খুব সুন্দর বাংলাদেশ,
একটি ওভার ব্রিজ বানাতে ৮০ লাখ টাকা,
আর ৮০ লাখ টাকার ব্রিজটা কার জন্য?
০৪।
কার্টুন: আনন্দবাজার পত্রিকা।
ডাকাতের বউকে বিয়ে করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পুলিশ
ডাকাতের ভয়ে থানার দুয়ার মাড়াচ্ছে না পুলিশ!ডাকাতের বউকে বিয়ে করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পুলিশ
ফোনে যা-ও বা সাড়াশব্দ মিলছে, দু’দিন ধরে দেখা নেই এক সাব-ইনস্পক্টরের। রুলবুক মেনে তাঁর নামে 'নিখোঁজ' ডায়েরিও করে ফেলেছে বসিরহাট থানা।
ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, অপরাধ জগতে বাদুড়িয়ার শ্রীকাটি গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদের নামডাক বহু দিনের। উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক পাচার-সহ নানা অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এক বার পুলিশের চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে প্রিজন ভ্যান থেকে পালানোর চেষ্টাও করেছিল সে। আপাতত ধরা পড়ে দমদম সেন্ট্রাল জেলে।
রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই ফিরোজেরই বিবি ঘর করতে গিয়েছেন সাব-ইনস্পেক্টরের প্রেমে। সেই সাব-ইনস্পেক্টর, যিনি ফিরোজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছিলেন। থানায় যাতায়াত করতে-করতেই তাঁর সঙ্গে আলাপ বছর সাতাশের ফিরোজ-ঘরণীর। সেই আলাপ এমন জমে ওঠে যে বছর আটচল্লিশের সংসারী উর্দিধারী ঠিক করে ফেলেন, ফের নিকাহ্ করবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যজীবনে হঠাৎ এই বাঁক? সাব-ইনস্পেক্টরের ব্যাখ্যা, "শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওকে মারধর করত। হুমকি দিত। ওর জীবনের করুণ কাহিনী শুনেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। গত জুনেই জেলে থাকা স্বামীকে ডিভোর্স দেয় ও। দুই পরিবারের মত নিয়ে জানুয়ারিতে আমরা রেজিস্ট্রি করি।"
হুগলির চন্দননগরে তাঁর পরিবারে আছেন স্ত্রী আর বছর ষোলোর ছেলে। ‘অসুস্থ’ বলে থানায় জানিয়ে রোববার তিনি ছুটি নিয়েছিলেন। রাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়েটা সেরে ফেলেন। "আমার প্রথম স্ত্রীও এই বিয়েতে আপত্তি করেননি। আইন মেনেই সব হয়েছে" জানিয়ে দেন অফিসার।
এতে বলা হয়েছে, অন্য কেউ হলে হয়তো এ হেন আলাপের প্রতিক্রিয়া বিলাপেই ক্ষান্ত হত। কিন্তু ফিরোজ কি শুধু কেঁদে ভাসানোর লোক? বসিরহাট থানায় হুমকি ফোন আসা শুরু হয়েছে। ফিরোজ নয় শ্রীঘরে, তার দলবল তো আর খাঁচায় বসে নেই। ফোনে কখনও অকথ্য ভাষায় প্রেমের শ্রাদ্ধশান্তি করা হচ্ছে। কখনও বলা হচ্ছে, দু’জনকেই জানে মেরে দেওয়া হবে। ফিরোজের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে শীতলিয়া গ্রামে তার ‘প্রাক্তন’ শ্বশুরবাড়ির কাজিয়াও বেধেছে। পুলিশ এক বার গ্রামে গিয়েছিল। মেয়ের দাদা জানিয়ে দিয়েছেন, ডাকাত জামাইয়ের থেকে পুলিশ-বর ঢের ভাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই টানাপোড়েনে দ্বিধাগ্রস্ত পুলিশমহলও। জেলার পুলিশকর্তাদের একাংশের মতে, তদন্তকারী অফিসার হিসাবে অভিযুক্তের স্ত্রীকে বিয়ে করে বসাটা উচিত কাজ হয়নি। আর এক অংশ আবার বলছে, "কে কাকে বিয়ে করল, সেটা দেখা আমাদের কাজ নয়। দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক। সংখ্যালঘুদের নিয়ম-কানুন মেনেই বিয়ে হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয়, সেটা দেখতে হবে।"
বেগতিক বুঝে উপরমহলে সব জানিয়েছেন বসিরহাট থানার আইসি প্রসেনজিৎ দাস। তাঁর বক্তব্য, "গ্রামে উত্তেজনা রয়েছে। থানায় ফোন আসছে। আমাদের অফিসারের কোনও বিপদ ঘটলে তার দায় কে নেবে?"
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, চিন্তিত নববধূও। এটি তাঁর তৃতীয় বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্বামী ছিলেন দর্জি। দ্বিতীয় পক্ষ ডাকাত। তৃতীয় পক্ষ পুলিশ। তাঁর কথায়, "ভুল লোককে সঙ্গী করে অনেক কষ্ট পেয়েছি। এ বার এক জন সৎ মানুষকে বিয়ে করতে পেরে আমি খুশি।" প্রথম পক্ষের বছর সাতেকের মেয়ে তাঁর কাছেই থাকে। ফিরোজের দু’বছরের ছেলেও রয়েছে তাঁর সঙ্গে।
এখন ফিরোজ যদি ‘লভ কে লিয়ে কুছ ভি’ করে বসে?
"বিয়ে যখন করেছি, তখন স্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব তো আমারই" বলেন বটে সাব-ইনস্পেক্টর। কথাটার জোর কিন্তু গলায় বাজে না।
০৫।
একবার আমীরুল মুমিনীন হযরত আবু বকর (রাঃ) এর স্ত্রীর মিষ্টি খাওয়ার খুব ইচ্ছে হল। তিনি স্বামীকে মিষ্টি কিনে আনতে বললেন। সারা মুসলিম জাহানের আমীর আবু বকর জানালেন তার মিষ্টি কেনার সামর্থ নেই। আমীরুল মুমিনীনের স্ত্রী এরপর প্রত্যেক দিনের খরচ থেকে টাকা বাঁচিয়ে জমা করা শুরু করলেন। কিছু অর্থ জমা হওয়ার পর তা স্বামীকে দিয়ে বললেন মিষ্টি কিনে আনতে। আবু বকর জিজ্ঞেস করলেন এই অর্থ কোথা থেকে এসেছে। স্ত্রী বললেন প্রতিদিনের খরচ থেকে বাঁচিয়ে তিনি এই অর্থ জমা করেছেন। আবুবকর (রাঃ) তখন বললেন, এই পরিমাণ অর্থ তাহলে আমি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অতিরিক্ত নিচ্ছি?এটার তো তাহলে আমার আর দরকার নেই! এরপর তিনি সেই অর্থ স্ত্রীর জন্য মিষ্টি কেনার বদলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে আসেন।
আল্লাহু আকবর। আল্লাহু আকবর।
এই ছিল আমাদের সালাফদের অবস্থা। এত সহজ সরল, বাহুল্যমুক্ত আর বিলাসিতামুক্ত জীবন যাপন করেছিলেন বলে তারা আল্লাহর দ্বীনকে ভালোবাসতে পেরেছিলেন।
আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিজেদের অকাতরে বিলিয়ে দিতে পেরেছিলেন। দুনিয়ার চাকচিক্যে অভ্যস্ত হননি বলেই কাফেররাও এই সাদামাটা মুসলিমদের কথা শুনলে ভয়ে কাঁপত। আর আজ কাফেররা আমাদের ভয় পাবে কি আমরা আজ তাদের কাছে হাসির পাত্র।
দ্বীন থেকে সরে আসার ফলাফল এর চেয়ে ভাল হয় কি করে!!
০৬।
সুবাহানাল্লাহ! পবিত্র ক্বাবা শরীফের উপরের দিকের অংশ!
০৭।
কথাটি কি ঠিক?
০৮।
আমি কি বুঝাতে চেয়েছি একটু বুইঝা লন।
০৯।
এইবার একটি ভিডিও থেকে ঘুরে আসুন মানবতা কি বুঝতে পারবেন বলে আশা করা যায়
১০।
বিষয়: বিবিধ
২৫৩২ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
স্টাডি = ফেল
বাকিগুলা দেখতে ভাল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন