২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের ঘোষনা ও জনগণের প্রতিক্রিয়া
লিখেছেন লিখেছেন হাসনাতের ব্লগ ০৭ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:২৯:৩৬ রাত
।।ব্যারিস্টার হাসনাত তালুকদার।।
বিগত কয়েক মাস যাবত ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ বলে আসছেন ঈদের পর তুমূল আন্দোলন শুরু হবে। সেই আন্দোলনের মাধ্যমে তারা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবেন। তাদের সেই হুমকী ক্ষমতাসীন দল আমলে নেয়নি। বরং তারা বলেছে তাদেরকে আন্দলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। কারন তারা আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তারা এটিও বলছেন আন্দোলন কি জিনিষ বিএনপি বরং সেটি আওয়ামিলীগের কাছে শিখতে পারে। তবে প্রকাশ্যে সরকারের গলাবাজ নেতারা যাই বলুক, ঘড়ে-বাহিরে সমর্থন হারিয়ে তারা যে প্রলাপ বকছেন এ ব্যাপরে সন্দেহ নাই। তাই তাদের কথার খুব বেশী গুরুত্ব আছে বলে মনে হয়না। তবে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলন যেহেতু জনগণকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে, জোনগণের ভোটে এবং ভাতের আধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালিত হবে তাই জনগণ এ ব্যাপারে কি ভাবছে বা জনগণের ভাবনা নিয়ে আন্দোলনে আগ্রহী পক্ষের কি করনীয় সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ন।
৫ই জানুয়ারী ২০১৪ কেন্দ্র করে গড়ে উঠা আন্দোলন ব্যার্থ হবার পর বিভিন্ন মহল জোটবদ্ধ দল গুলোর আন্দোলনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নতোলে। যদিও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চেষ্টা এবং আত্মত্যাগের কমতি ছিলনা, কতিপয় শীর্ষ নেতার অপরিকল্পিত ও অপরিপক্ক নেতৃত্ব, স্বার্থপরতা, অপিণামদর্শীতা,পারস্পারিক অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতায় সারাদেশে জমে উঠা আন্দোলন ঢাকা কেন্দ্রিক ব্যার্থতার কারনে মুখ বুজে পরাজয় বরণ করে। আর সরকার ৫ই জানুয়ারী কেন্দ্রিক আন্দোলনে জোট নেতাদের পারফর্মেন্সকে বিবেচনায় নিয়ে তাদের হারানো আত্নবিশ্বাস ফিড়ে পায়। তারা বিশ্বাস করতে শুরু করে আভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক ভাবে সরকার যতই একঘরে হোক, আন্দোলন করে সরকার হটানোর ক্ষমতা বর্তমান বিরোধী জোটের নেই। আর এই বিশ্বাস থেকেই তারা আবার সংগঠিত হয়ে লুটপাট আর গণতন্ত্র হরণের কাজে মনোনিবেশ করেছে।
২০ দলীয় জোট নেতারা তুমূল আন্দোলনের সূচনাকাল নির্ধারন করেছেন রমজানের ঈদ পরবর্তী সময়। তাদের ঘোষনা, রণ হুংকার সবই ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। আর এসব দেখে সাধারন মানুষও তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে জণগন যে মন্তব্য করছেন সেগুলোকে সংক্ষেপে প্রকাশ করতে গেলে তার চেহারা দাড়ায় নিম্ন রুপঃ
১) আন্দোলনের ডাক দিয়েই বিএনপি নেতারা অসুস্হ হয়ে যায়। তখন তারা চিকিৎসার নামে বিদেশ পাড়ি জমায়।
২) আন্দোলনের ডাক দিয়ে নেতারা মাঠে থকেনা।
৩) কেউ কেউ পুলিশ ডেকে নিজেই গ্রেপ্তার হয় যাতে আন্দোলনে শরীক হতে না হয়।
৪) সরকারী দলের নেতাদের সাথে গোপন আঁতাত করে নিজের পিঠ বাঁচান।
৫) বাঘা বাঘা নেতারা টকশো আর সামাজিক মাধ্যমে সরব থাকলেও জেল-জুলুমকে তারা যমের মতই ভয় পায়। জেল ফাকি দিতে প্রয়োজনে তারা বোরকা পরে পালায়।
৬) এসি রুমে বসে ভবিষ্যতে এমপি-মন্ত্রী হবার সপ্নে বিভোর, তারা রাস্তায় নামতে অপারগ।
৭) সমস্ত নেতৃত্ব সুবিধা ভোগীদের হাতে, দলকে বিপদে রেখে তারা নিজে পালিয়ে যায়।
৮) বিভিন্ন স্তরে চামবাজ, চাঁদাবাজ, লোভী টাকার কুমির বসে আছে। তারা টাকা দিয়ে সব কিছু মেনেজ করতে চায় কিন্তু ময়দানে নামার সক্ষমতা তাদের নেই।
৯) ছাত্রদল, যুবদল আর শ্রমিকদল অকর্মায় ভরা। তারা শিবিরের সহযোগীতা ছাড়া মাঠে নামতে অপারগ। কিন্তু জামাত-সরকারে চলছে আঁতাত।
এসবের পর ২০ দলীয় জোট কিভাবে আন্দোলন করে সরকার হটাবে?
এখন সাধারন মানুষের মন্তব্য গুলোকে এক এক করে সামনে নিয়ে আসা যাক।
বিরোধীদলীয় জোটকে ২০ দলীয় জোট বলা হলেও মূল দল বিএনপির বাহিরে জামায়াতে ইসলামীর ৩/৪ ভাগ সমর্থন ছাড়া বাকী দল গুলোর সম্মিলিত ভাবে কত ভাগ সমর্থন রয়েছে সেটি রীতিমত গবেষণার বিষয়। সুতরাং বিএনপি-জামাত নেতাদের কর্ম তৎপরতার উপর আন্দোলনের সাফল্য-ব্যার্থতা নির্ভর করবে এটিই স্বাভাবিক। ইদানিং বিভিন্ন ছলছুতায় বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বিদেশ ভ্রমন আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হার আরও বাড়বে যখন আন্দোলন তুঙ্গে উঠবে। ২০ দলীয় জোটের প্রধান দল হিসাবে বিএনপি যদি সত্যিই একটি সফল আন্দোলন আশা করে, তবে যত দ্রুত সম্ভব ঘনঘন বিদেশ ভ্রমনকারী তথাকথিত নেতাদের গুরুত্ব পূর্ন পদ থেকে সরাতে হবে।
আন্দোলনের ডাক দিয়ে নেতারা মাঠে থাকেনা। এটি একজন সাধারন কর্মীর প্রতি চরম অবজ্ঞা আর স্বার্থপরতা ছাড়া আর কিছুই নয়। বুকের রক্ত যদি দিতে হয় তবে যিনি সফল আন্দোলনের মেওয়া ভোগ করবেন, তিনিই প্রথম দিবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় কর্মীরা যখন তাদের জীবন বাজী রাখে, তখন নেতা সরকার দলীয় কোন আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করে থাকেন আর টিভিতে আন্দোলনের ফলোআপ দেখেন। জামায়াতের মাঠ কর্মী যখন ঘাতকের তপ্ত বুলেট কোমল বুকে আলিঙ্গন করে, নেতা তখন সরকারের সাথে গোপন আঁতাতে ব্যাস্ত।
গত আন্দোলনে দেখা গেছে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা আন্দোলনের মাঠে ছিলেন না, মিটিং মিছিলে ছিলেন না। কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল আত্মগোপন অবস্থা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে। যদি রাজপথের মিটিং-মিছিল থেকে তারা গ্রেপ্তার হতেন, দল তাদের জন্য গর্বিত হতো, সহকর্মীরা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরার উৎসাহ পেত, আন্দোলন বেগবান হতো। কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে নিজেকে দূরে রেখে, আত্মগোপনে থেকে, দলকে কোনরুপ সহায়তা না করে হঠাৎ পুলিশের কাছে পাকরাও হয়ে তারা বরং আন্দোলনরত নেতাদের হতাশ করেছেন। সেকারনে অনেকেই মনে করেন এসব নেতা কার্যত নিজস্ব লাইনের পুলিশ ডেকে নিজেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিএনপি কি এসব নেতার নেতৃত্ব থেকে মুক্ত?
আওয়ামিলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার অলআউট ইনিংসটি খেলছে। তারা জানেন ইতিমধ্যেই অনেক কুকর্ম করেছেন। ক্ষমতা থেকে কোন কারনে সরে গেলে মাসুল গুনতে হবে। তাই যেকোন মূল্যে তারা ক্ষমতায় থেকে যেতে চাইবে এটিই স্বাভাবিক। সুতরাং এমন একটি লড়াকু বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ফিটনেস রয়েছে এমন ব্যাক্তিকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। ভীরু, কাপুরুষ, হৃদরোগ-ডায়াবেটিস সহ নানা প্রকার শারীরিক ও মানষিক রুগাক্রান্ত ব্যাক্তি যদি নেতৃ্ত্বে থাকেন তবে সেই নেতা আন্দোলনের মাঝপথে পালিয়ে যাবেন সেটিই স্বাভাবিক।
আন্দোলন কোন ছেলেখেলা নয়, এসি রুমের ভেতর বসে এক কাপ গরম ক্যাপাচিনো খাওয়া নয়। ৫২, ৬৯ বা ৯০ এর সফল আন্দোলনের পেছনে ছিল নেতাদের একাগ্রতা, দক্ষতা এবং জনসম্পৃক্তা। নেতৃত্ব যদি গনবিচ্ছিন্ন ব্যাক্তির হাতে পরে তবে সেই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনা। অনেক স্থানীয় এবং কেন্দ্রিয় নেতৃত্বে বসে রয়েছে কিছু স্বার্থন্বেসী লোক। তাদের সততা, দক্ষতা, শিক্ষা বা যোগ্যতা না থাকলেও হঠাৎ উপার্জিত অর্থের জায়গামত সদব্যাবহার তাদের নেতা বানিয়েছে। এমন কোটিপতি নেতার জীবনের দাম ও মায়া দুটিই বেশী। এরা কখনোই আরাম আয়েশ ছেড়ে মাঠে নামতে পারবেনা। এরা পয়সা দিয়ে কেনা মানুষ দিয়ে আন্দোলনে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে চায়। আন্দোলন সফল করতে এরা কোন প্রকার ঝুকি নিতে নারজ। এদের কাছে আন্দোলনের সফলতা মানে এমন কিছু করা যাতে তার প্রতি শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। গত আন্দোলনে এমন অনেক টাকাওয়ালা দুর্নিতিবাজ নেতার সাক্ষাত পাওয়া গেছে যারা গ্রুপিংয়ের নামে পুলিশ দিয়ে, আওয়ামি ক্যাডার দিয়ে নিজ দলের আন্দোলনরত নেতা-কর্মী হয়রানি করেছে। নিজেরা আন্দোলনের মাঠে না থাকলেও পলায়নপর আওয়ামি বাহিনীকে টাকা দিয়ে মাঠে রেখেছে যাতে তার প্রতিপক্ষ আন্দোলনে সফলতা না পায়। এমন চোর-চোট্টা নেতার করাল গ্রাস থেকে বিএনপি কি মুক্ত হতে পেরেছে?
একসময় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন ছিল ছাত্রদল। এই ছাত্রদলের নেতৃত্বে এসেছেন মেধাবী ছাত্রনেতা জালাল, নীরু, বাবলু, রিজভী,ইলিয়াশ, রতন, আমান-খোকনদের মতো নেতা। আওয়ামি ছাত্রলীগ ও জাসদ ছাত্রলীগের সম্মিলিত শক্তির চেয়েও সৌর্য-বীর্যে ছাত্রদল এগিয়ে ছিল। আজ ছাত্রদল বলে দেশে কিছু আছে বলে আঁচ করা যায়না। আন্দোলন-সংগ্রামে সদা অগ্রনী ভমিকা পালনকারী ছাত্রদল গত আন্দোলনে ঢাকায় কি পরিমান ব্যার্থ ছিল লিখে শেষ করা যাবেনা। তাদের ব্যার্থতার কারনেই বিএনপির মতো দলকে শুনতে হয়, জামাত-শিবিরের সহায়তা ছাড়া বিএনপি বিএনপি মাঠে নামতে পারবেনা। অথচ জামাত-শিবির থেকে ছাত্রদল অন্তত ১০গুন বেশী শক্তিশালী হবার কথা। ছাত্রদলকে কতটুকু সংস্কার করা হয়েছে?
দেশে এখন যে অবস্থা বিরাজ করছে বাম, ডান, উত্তর-দক্ষিন, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই চান এই সরকার বিদায় নিক। কিন্তু বিদায় বললেই তো সরকার সুরসুর করে বিদায় নেবেনা। এই অবৈধ সরকারকে তাড়াতে হলে একটি সুপরিকল্পিত ও সুশৃংখল কিন্তু তীব্র আন্দোলন দরকার। আর এমন তীব্র আন্দোলন তখনই গড়ে উঠে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন সৎ,যোগ্য, শারীরিক ও মানষিক ভাবে বলিষ্ঠ কোন জানবাজ নেতা। এমন নেতার পেছনে জনগণ সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে যায়, নেতার নির্দেশ পালনে জীবন বিলিয়ে দিতে রাজী হয় এবং জীবন দেয়। দেশে যখন এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, কেবল তখনই ঘাতকের বুলেট গণশক্তির নিকট পরাজিত হয়। ৫২, ৬৯ কিংবা ৯০ এর আন্দোলনের দিকে নজর দিলে আমরা এমনটাই দেখতে পাই। বহির বিশ্বে আরব বসন্ত, পিনুচেট, মার্কোস বা চসেস্কো বিরোধী আন্দোলনেও সেটিই হয়েছে। এখন বিএনপির দরকার সৎ ও যোগ্য একটি নেতৃত্ব শ্রেনী সৃষ্টি করা যাদের কথা জনগণ বিশ্বাস করবে, যারা সাধারন জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারবে। আর এটি করতে পারলেই আন্দোলনে সাফল্য পাওয়া যাবে। মনে রাখতে হবে স্বৈরাচারের পতন যতই অনিবার্য হোক, তার পরাজয় কেবল তখনই তরান্যিত হয় যখন জনগণ এক কাতারে রাস্তায় নেমে আসে। আর জনগণ তখনই রাস্তায় নেমে আসে যখন তারা মনে করে আন্দোলনকারী পক্ষ অবশ্যই সততা, দক্ষতা আর শক্তি-সাহসে ক্ষমতাসীনদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। অযোগ্য, অসৎ, অদক্ষ, দুর্বল কিংবা বোরকা পরে পলায়নপর নেতার নির্দেশে কোন আন্দোলন হয়নি, হবেওনা । আন্দোলনে সফলতা চাইলে দরকার সেই সকল সৎ, বিশ্বস্ত ও সাহসী নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসা যারা কর্মীকে নিজের সন্তান বলে ঞ্জান করবে, কর্মীর আগে নিজের জীবন বাজী রাখবে, আন্দোলনের বুকে ছুড়ি মেরে বিদেশ পালাবেনা বা সরকারের সাথে গোপন আঁতাত করবেনা। সেই নেতা জানে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশাপাশি অবৈধ সরকারের প্রয়োগকৃত আইন বহিঃভূত শক্তি মোকাবেলায় কি কৌশল প্রয়োগ করতে হয়।আর এমন নেতার নেতৃত্বে জনসম্পৃক্ত আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারলে বর্তমান গনবিচ্ছিন্ন সরকার পতনে সময় নেবে সর্বোচ্ছ তিন থেকে ছয় মাস।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে,ঠিক তেমনি রাজনীতিতেও একটি অঘোষিত প্রবাদ রয়েছে নেতামী করা তারই সাজে জুলুম পোহাতে পারে যে! দুঃখজনক কিন্তু সত্য দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির সে অর্থে কোন নেতৃত্বই নেই,একজন নেতাকেও দেখলাম বিগত ৬ বছরে সত্যিকারার্থে বিপ্লবী ভূমিকা রাখতে!অনেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের দুষে কিন্তু কই আমিতো তৃণমূলেও অমন একজনকে উঠে আসতে দেখলাম না যে নিজের যোগ্যতা বলে কেন্দ্রীয় নেতাদের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারে যে আন্দোলন করতে হলে চর্বি ঝরাতে হয়!অন্যদিকে জামায়াত সফল হয়েছে সে জায়াগাতেই,তাদের ১ম সারি জেলে গিয়েছে ২য় সারি চলে এসেছে,২য় সারি জেলে গিয়েছে ৩য় সারি-৪র্থ সারি নেতৃত্বে চলে এসেছে এবং খুব বুদ্ধীমত্তার সাথেই দলকে পরিচালনা করেছে! তাই আজ দিন শেষে একটি জিনিষই মনে হচ্ছে তা হলো ডান হোক আর বাম হোক,উপরে হোক আর নীচের দিকেরই হোক একটি দলের একটি নির্দিষ্ট আদর্শ থাকা চাই নচেত ঝড়ের মুখে এভাবেই উলটে যাবে!সর্বশেষ কথা একটাই তা হচ্ছে দিনশেষে আন্দোলন না করতে পারার কারণে দেশবাসীর উপর যে জুলুমের খড়গ চেপে বসেছে তার দায়ভার ঐ ভীরু-কাপুরুষ নেতাদেরও নিতে হবে কারণ ক্ষমতার পালাবদলে আপনিই যে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়ে দেশ কাপানোর স্বপ্নে বিভোর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন