শেখ মুজিব-হাসিনাঃ টেলিকথন
লিখেছেন লিখেছেন হাসনাতের ব্লগ ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:৩৭:৫০ রাত
।। ব্যারিস্টার হাসনাত তালুকদার।।
একথা আমরা সবাই জানি হাসিনা পুত্র চমক জয় একজন তথ্য বিশারদ। সম্প্রতি সে একখানা পদ্ধতির আবিস্কার করেছে যা দিয়ে অনায়াশে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে যে কোন ব্যাক্তির সাথে কথা বলা যায়। সেই যন্ত্রের এমন মহিমা যে উহার মরফত পরপারের মুর্দার সাথেও কথা বলা যায়। আবিস্ক্বত যন্ত্র খানা কেমন কাজ করে সেটা বুঝতে চমক প্রথমেই পক্ দিল নানা শেখ মুজিবকে। তিনি কল পেয়েই দরাজ গলায় বললেন, দে তোর মাকে দে। চমক সাথে সাথেই মাকে কানেকশান দিয়ে দিল। শেখ মুজিব কহিলেন,আমি যাহা বলি মনযোগ দিয়ে শোন।
তুইতো জানিস আমি একজন মুহুরীর ছেলে। সেই হিসাবে তেমন কোন ধন সম্পদের উত্তরাধিকারী ছিলাম না। নির্দিষ্ট কোন আয়-রোজগারও আমার ছিলনা। স্বাধীনতার আগে আমি প্রায়ই জেলখানায় থাকতাম। তখন খাবার কষ্টে তোরা সাদা জাও খাইতি। কিন্তু দেশ স্বাধীন হলে আমার চেহারা ফিরে যায়। দুর্ভিক্ষের দিন গুলিতে গরীব না খেয়ে মরেছে,পুরো জাতি সাদা জাও খেয়েছে। তবে তোদের জন্য আমি পোলাও মাংসের কমতি রাখিনাই। তুই নিজেতো আরও উন্নতি করেছিস। ভাগিনা সেলিম বলল,তোর ঘোষ-দূর্নিতির বিষয়টা আগে ও দেখভাল করত, এখন কমিশনের টাকা নিজ হাতেই নিস। ভাল কথা নাতি জয়কে নাকি আমেরিকাতে পঞ্চাশটা ব্যাবসা খুলে দিয়েছিস,সুইস ব্যাংকে ৩০ বিলিয়ন টাকা জমিয়েছিস, মাসাল্যাহ। নিজের নাতি-পুতির উন্নতির কথা শুনে কার না ভাল লাগে বল? তবে তোরে একটা কথা বলা দরকার। তুই জিয়ার ভাংগা সুটকেস নিয়া টানাটানি করিস ক্যান? ওইসব করলে কিন্তু ওরাও আমার আদি ইতিহাস নিয়া টানাটানি করব।
শোনলাম,তোর শাসন আমল আসলেই ইসলামপন্থিরা দৌরের উপর থাকে। ওদেরে জঙ্গী খেতাব দিয়া ওদের তাড়ানোর কথা বলে পশ্চিমাদের অনুকম্পা নিস।কথায় কথায় ওদের হত্যা করিস। কার বুদ্ধিতে তুই এই সব করিস? আমি বুঝতে পারছি নাস্তিক মতিয়া,ইনু,মেনন-লেনিনরা তোর মাথা ভাল ভাবেই ধুলাই করেছে? ওরা কে তুই কি জানিস? একটু পরে ওদের পরিচয় দিব।
পনরই আগষ্ট আমার মৃত্যু দিন। তুই দলবল নিয়ে ঘটাকরে দিনটা পালন করিস। ঐদিন খালেদা জন্ম দিন পালন করে। এতে আমিতো কোন সমস্যা দেখিনা। আমার মৃত্যুর দিন কি কেউ জন্ম নিবেনা? আর ঐ দিনে জন্ম নেওয়া যে কেউ তার জন্ম দিন পালন করবে এটাই তো স্বাভাবিক। তুই বলিস খালেদার ছুরি তোর বুকে লাগে। তাহলে শুন তোর কোন ছুরি আমার বুকে লাগে। আমার চামরা দিয়ে মতিয়া ডুগডুগি বাজায়, ইনু কেবল আমার নেতা-কর্মীই হত্যা করে নাই, আমার মৃত্যুর পর ট্যাকের উপর উঠে লাফাইছে। আর ওই দুই খাটাস এখন তোর মন্ত্রী। ওদের কথায় তুই উঠিস,বসিস। আমাকে ধ্বংসের আয়োজকরা যখন তোর পৃষ্ঠপোষকতা পায় তখন ওইটা আমার বুকে কেবল ছুরি না,কামানের গোলার মত বিধে।
আরেকটা কথা তুই জানিস পচিশ মার্চ রাতে সবাই যখন প্রাণ ভয়ে পালায় আমি তখনও বাসায়। কথা ছিল ইয়াহিয়া আমাকে নিরাপদেই রাখবে। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার খাতিরেই ওরা আমাকে পশ্চিম পাকিস্থান নিয়া যায়। আমার দলের নেতা-পেতারা কয়দিনর মধ্যেই খান সেনাদের ভয়ে ভারতে পালাইয়া যায়। কথা মতো পুরো যুদ্ধ কাল জুরে জুনেজুরা তোদের দেখা শুনা করে। এমন সময় জিয়াই কিন্তু স্বাধীনতার প্রকাশ্য ঘোষনা দিয়া জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আমি নয়টা মাস ভূট্টোর মেহমান তখন সে জেড ফোর্স নিয়ে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছে।এমন লোকটাকে তুই পাকিস্থানের চর বলিস ক্যান?
আর একটা কথা বলেই শেষ করব। শুনেছি তোর সরকারে সাবেক সৈরাচার এরাদকে রাখছিস। ওকে তোর বিশেষ দূত নিয়োগ করছিস। ভাল কথা, ওরে হাতে রাখলে বিএনপিরকে সাইজ করতে তোর খুব সুবিধা হবে। তবে পিতা হিসাবে একটা কথা না বলে পারছি না, পুলাটার সাথে বেশী ঢলাঢলি করিস না। শুনছি ভাতিজার চরিত্র ভালনা। পিতা হিসাবে ব্যাপারটা আমারে খুব ভাবায়।
কথা এই পর্যন্ত হতেই লাইন কেটে যায,আর যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
647
বিষয়: বিবিধ
১৫৩০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাবনারই কথা না ভেবে উপায় আছে . . .
মন্তব্য করতে লগইন করুন