হাসিনা গোপালীর গোপালভার বুদ্ধিজীবি

লিখেছেন লিখেছেন হাসনাতের ব্লগ ০৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:০৬:২৪ সকাল

`হাসনাত`

গোপালভার নামটি সকলের কাছে এতই পরিচিত ও জনপ্রিয় যে,এই নামটির নতুন করে পরিচয় পেশ করার কিছুই নাই। সে, সব সময় মজার মজার কথা বলত এবং সভা মাতিয়ে রাখত। সময়ের দীর্ঘ পরিক্রমায় নতুন প্রজন্ম গোপালভারকে যখন প্রায় ভুলতে বসেছে,ঠিক তখনই গোপালী রানীর “গোপাল রাজ্যে” বেশ কিছু গোপালভারের আবির্ভাব ঘটেছে। এরা যখনই কোন বক্তৃতা,বিবৃতি বা টকশোতে কথা বলছে তখনই সাধারন মানুষ হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে ।

৫,জানুয়ারীর ভোটার এবং একই সাথে প্রার্থীবিহীন এই নির্বাচন যে গণতান্ত্রিক বাংদেশকে আবার বাকশাল রাজ্যে পরিণত করার নীল নকশার নির্বাচন সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠে তখনই,যখন তিনশত সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনে গোপালীরা সিলেকশনে পাশ করে। বাকী আসন গুলোতেও বিরোধী দলের কোন প্রার্থী ছিলনা,গোপালদের (গরুর পাল) সাথে প্রতিযোগীতায় ছিল কিছু গৃহ পালিত কুপাল (কুকুরের পাল;ইনু,মেনন,রওশন,আজাদ...)। গোপাল-কুপাল নির্বাচনে গণতন্ত্রের নামে গরীব জনসাধারনের ৬০০ কোটি টাকা অপচয়ে যে ভোট রঙ্গ অনুষ্ঠিত হল,কতিপয় হলুদ মিডিয়ার সবুজ সংবাদ কর্মীর কল্যাণে দেশবাসী তথা বিশ্ববাসীর সেটা অবলোকন করার সুযোগ ঘটল। জনসাধারন দেখতে পেল কোন কোন ভোট কেন্দ্রে সারাদিনে একজন ভোটারও ভোট দিতে গেলনা,কোথাও ২০,৫০,১০০ বা ২০০ ভোটার ভোট দিল,একই ভোটার বার বার ভোট দিল,শিশু ভোটার ভোট দিল,ভূয়া ভোটার ভোট দিল,কোথাও আবার দরজা বন্ধ করে সীল মারার ব্যাবস্থা করা হল। এত কিছুর পরও সাধারন মানুষ অনুমান করল সারাদিন যে হারে ভোট পরেছে,সেটা কোন ভাবেই ৫% এর বেশী হবেনা। নির্বাচন পর্যবেক্ষক ফেমা জানাল ভোট পরেছে ১০%। আর সরল অংকে দক্ষ নির্বাচন কমিশন একরাত যোগ-বিয়োগ,গুন-ভাগ শেষে পরদিন জানাল ভোট পরেছে ৪০% এর উপর।

কমিশন থেকে প্রাপ্ত এই ভোটের হার কতটা নিরেট,শুদ্ধ এবং গ্রহনযোগ্য সেটা বুঝাতে গোপালভারেরা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে,ইংল্যান্ডেও ৪০% এর বেশী ভোট কাস্ট হয়না,যেটা আমাদের দেশে হয়েছে। আর যেহেতু ৪০% ভোট কাস্ট হলেও ইংল্যান্ডের নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হয়,সুতরাং গোপালী নির্বাচন আন্তর্জাতিক ভাবে গ্রহনযোগ্য হতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে গ্রহনযোগ্য পরিমাপের ধুয়া তুলে গোপালভারেরা হাসিনা গোপালির সমস্ত অপকর্ম চাপা দিতে চাচ্ছে। এই নতুন গোপাল ভারেরা একবারও বলছেনা উন্নত বিশ্বে ৪০% কাস্টিং ভোটও গ্রহনযোগ্য হতে পারে,তবে সেখানে প্রধান বিরোধী দল বিহীন নির্বাচন কল্পনাও করা যায় না,সেখানে ভূয়া ভোটার বা শিশু ভোটারও ভোট দেয়না,কেন্দ্র দখলের ঘটনাও ঘটেনা। নৈতিকতা বর্জিত,বিবেক,বুদ্ধি ও আত্ন সম্মান ক্ষমতাসীনদের কাছে বন্ধক রাখা ভারেরা বলছেনা, যে নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠ মতের প্রতিফলন ঘটেনা,সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে, কাস্টিং ভোটের পারসেন্টেজ যেটাই হোক,সেই নির্বাচন গ্রহন যোগ্য হতে পারেনা।

বিষয়: রাজনীতি

১৮৪৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

159857
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৩৬
হতভাগা লিখেছেন : ভোট কতগুলো পড়েছে তার চেয়ে বেশী প্রশ্ন উঠবে, যেখানে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীই নেই সেখানে কেন জাল ভোট দেওয়ার দরকার পড়ে গেল ?
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১৭
114349
সাইদ লিখেছেন : ভোট যেখানে আছে সেখানে জাল ভোট তো পড়বেই।আওয়ামী মগের মুল্লকের এই দেশে এই প্রশ্ন কেউ করলে তাকে ক্রসফায়ারে ফেলা হবে.এখন সাবধানে কথা বলতে হবে.ভোটের অধিকার হরণের পর এখন কন্ঠের অধিকার হরণ করা হবে.
159867
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১৩
সাইদ লিখেছেন : বিকাল তিনটার পর যখন অস্বাভাবিক ভাবে ভোট বাড়তে শুরু করলো তখন গোপাল ভাড়দের উচিত ছিল ভোটের টাইম ২-৩ ঘন্টা বাড়িয়ে দেওয়া।গোপাল ভাড়রা এতো বিনোদন যখন দিলো তখন একটু সময় বাড়িয়ে দিয়ে বিনোদনটা পরিপূর্ণ করতে পারতো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File