৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন-আওয়ামী প্রত্যাশা ও জাতির হতাশা
লিখেছেন লিখেছেন হাসনাতের ব্লগ ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৪:৪৫:১৮ বিকাল
“হাসনাত”
দাতাদের আদেশ,নির্দেশ,অনুরোধ বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ কিংবা দেশ অচল করে দেবার হুমকি,কোন কিছুই ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন থেকে সদ্য স্বৈরাচার খেতাব প্রাপ্ত দল আওয়ামিলীগকে হটাতে পারেনি ।যতই বাধা আসুক বা বদনামের ভাগদার হতে হোক, নির্বাচন তারা করেই ছারবেন ।ভোটার এবং প্রার্থী বিহীন এই তথাকথিত সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার নির্বাচন থেকে গণতন্ত্র, দেশ-জাতি বা একরোখা আওয়ামিলীগ কতটুকু লাভবান হবে সেটাই দেখার বিষয় ।
জাতিসংঘ,যুক্তরাষ্ট্র,ইইউ এবং চায়না সহ বিশ্বের সকল দাতা গুষ্ঠী ও উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র ও সংস্থা একদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে ।এ সকল রাষ্ট্র ও সংস্থা সকল দলের অংশ গ্রহনে একটি অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় ।জাতিসংঘ মহা সচিব বানকি মুন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরী টেলিফোনে তাদের শংকা ও আশার কথা প্রধান মন্ত্রীকে জানিয়েছে ।কিন্তু প্রধান মন্ত্রী তাদের শংকা উড়িয়ে দিয়েছেন । অবশ্য এ ক্ষেত্রে তিনি ভারতকে সাথে পেয়েছেন । অন্য ভাবে বলতে গেলে ভারতের আশ্বাস,আসকারা আর পরামর্শেই তিনি একলা চলতে শুরু করেছেন ।
উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে অযাচিত বারাবারির ফল যা হতে পারে তা এক কথায় ভয়ংকর । যুক্তরাষ্ট্রের স্থগিত করা জিএসপি সুবিধা বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন না হলে পূনরায় বহাল হবার সম্ভাবনা নেই,বরং ইইউর জিএসপি সুবিধা থেকেও দেশ বঞ্চিত হতে পারে । আমাদের দেশে ব্যাপক ভিত্তিতে বিনিয়োগকারী দেশ চায়না বর্তমান অবস্থার পরিবর্তনে রাজনৈতিক দল গুলোর আচরনে হতাশা প্রকাশ করেছে। সরকারের কূটনৈতিক ব্যার্থতা আর বৈশ্যিক মন্দায় মধ্য প্রাচ্যের প্রায় হারানো শ্রম বাজার বন্ধ হয়ে যেতে পারে । গবেষনা ছাড়াই বলা যায় বর্তমান অচলাবস্থা চলতে থাকলে গার্মেন্টস ব্যাবসা লাটে উঠবে।
আমাদের ভৌত-অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাতিসংঘের ভূমিকা এখনও অদ্বিতীয় । সরকারের দুর্নিতি ও অসহযোগীতার কারনে ইতিমধ্যে অনেক গুরুত্ব পূর্ন প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে গেছে যার অন্যতম, বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু । বাংলাদেশ পুলিশ ও সেনা বাহিনী শান্তি মিশনে কাজ করে দেশের জন্য সম্মান এবং বৈদাশিক মুদ্রা দুটোই উপার্জন করেছে । জাতিসংঘের নির্দেশ অমান্যের কারনে শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অংশ গ্রহন সংকোচিত হয়ে যাবে এবং এক পর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে । শুধু তাই নয় অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক অবরোধের মুখে পতিত হতে পারে বালাদেশ ।
৫ই জানোয়ারির ভোটার ও প্রার্থী বিহীন নির্বাচন যে কোন ভাবে হয়ে গেলেই প্রধান মন্ত্রী ও তার দল আওয়ামিলীগ আগামী পাঁচ বৎসর দুধে-ভাতে থাকবেন এমনটি আশার কোন কারন নাই । গণতন্ত্রের মানষ কণ্যা উপাধীটি অচল হবে । ১৫ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে আর কোন টকশো বুদ্ধিজীবি একক ভাবে দায়ী করতে পারবে না,আওয়ামীলীগ গণতন্ত্র ও ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী গণমানুষের একটি দল,এ দাবীটিও অচল হবে ।সর্ব বৃহৎ বিরোধী দল বিএনপির অসহযোগীতা ও জামাতি তান্ডবে তৃণমূল আওয়ামি নেতারা আরও বেশী বেশী শহর মূখী হবে এবং কারও কারও জীবন বিপন্ন হবে । তবে এত কিছুর পরও শেখ হাসিনা, বেগম জিয়ার মত বলতে পারবে দেখেন বিশ্ববাসি,আমিও তিন বারের প্রধান মন্ত্রী ।
সকল পক্ষের বিরোদ্ধে দাড়িয়ে একমাত্র ভারত বর্তমান সরকারকে সহযোগীতা করে যাচ্ছে । অবস্থা এমন দাড়িয়েছে শেখ হাসিনা চাইলেও শুধু মাত্র ভারতের কারনে তিনি বিরোধীদলের সাথে আপোষ করতে পারবেন না । ভারত চায় যে কোন ভাবে একটি নির্বাচন করিয়ে নতুন সরকারের সাথে স্থায়ী ট্রানজিট চুক্তি বাস্তবায়ন করতে ।তাছাড়া ভারত জানে তার পরামর্শে আন্তর্জাতিক সকল পক্ষের সাথে বিরোধে জড়িয়ে সরকার এখন এক ঘড়ে । এই অবস্থায় ভারত যেভাবে যা চাইবে সরকার তা দিতে বাধ্য হবে, একটি গণতান্ত্রিক জনপ্রিয় সরকারের কাছে যা পাওয়া যাবেনা।
প্রধান মন্ত্রী চাইলে এখনও সময় আছে সকল বিরোধী দলকে সাথে নিয়ে একটি অবাধ,নিরপেক্ষ সুষ্ঠূ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে ক্রান্তি লগ্ন থেকে বের করে আনতে পারেন ।এতে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে, আবার বিনয়োগের পরিবেশ ফিড়ে আসবে,গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে আর বিদেশে আমাদের ভাব মূর্তি ফিড়ে আসবে ।সবাইকে অবজ্ঞা করে তিনি যদি স্বৈরাচারী প্রধান মন্ত্রী হয়ে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কান্ডারী হয়ে পথ চলেন,এই দেশ ও জাতী যেমন ধ্বংস হবে তেমনি ধ্বংস হতে পারেন তিনি নিজেও । এখন সিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্ব কেবলই তার।
হাসিনার কয়েদ খানা থেকে এরশাদ জীবন্ত ফিড়বেন কি!
আগের দিনে রাজারা তাদের বিরোদ্ধাচারনকারী প্রজা বা রাজ ক্ষমতার জন্য হুমকী বলে কেউ গণ্য হলে তাকে কয়েদ খানায় বন্দী করে রাখতেন ।এমন বন্দী শালায় যেমন ঠাই হত শত্রু পক্ষীয় লোকের,তেমনি ঠাই হত অনেক আপন জনেরও । ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেদ তার কাজিন “ কুইন মেরী অব স্কট” কে বন্দী করেছিলেন ।যাকে পরবর্তিতে রানীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার দায়ে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয় ।
ফ্রান্সের ইতিহাসে মহা নায়ক সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট । তার জীবনে অসংখ্য যোদ্ধে তিনি বিজয়ী হয়েছেন ।ওয়াটারলোর যোদ্ধে তিনি বৃটিশ এবং পার্শিয়ান আর্মির মিলিত শক্তির মোকাবেলা করেন । বৃটিশ আর্মির নৃতৃত্ব দেন ডিউক অব ওয়েলিংটন “আয়রন ডিউক” আর পার্শিয়ানদের নেতৃত্বে ছিলেন মার্শাল ভন ভাউচার ।এবার তিনি পরাজিত হয়ে বন্দী হন ।তার ঠাই হয় নির্জন দ্বীপ সেন্ট হেলেনার কয়েদ খানায় ।এখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।কথিত আছে তাকে স্লো-পয়জন আরসেনিকের মাধ্যমে হত্যা করা হয়,যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা হয়েছে তিনি আলসারে মৃত্যু বরন করেন।
মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ক্ষমতার দন্দ্বে তার আপন তিন ভাইকে হত্যা করেন ।পিতা শাহজাহান যাতে বাধা হয়ে না দাড়াতে পারেন,সেজন্য তিনি বৃদ্ধ সম্রাটকে তিনি আগ্রা দূর্গে আটক রাখেন ।সম্রাট ছিলেন অসুস্থ তাই তার সেবার জন্য বোন জাহানারাকেও পিতার সেবায় সেখানে থাকতে দেন ।মুক্ত আলোর মহামোতি,মূগল সম্রাজ্যের মহান অধিপতি,প্রেমের সমাধী তাজমহলের নির্মাতা শাহজাহান আর কখনওই আগ্রা দূর্গের বাহিরে যাবার অনুমিতি পাননি ।সেই কয়েদ খানাতে দীর্ঘ আট বৎসর বন্দি থাকার পর কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইহধাম ত্যাগ করেন ।
এবার আমাদের দেশের দিকে দৃষ্ট্রি দেওয়া যাক ।চুরি-চামারি সহ সকল প্রকার ফৌজদারী অপরাধ আর রাজনৈতিক অপরাধের জন্য একই ধরনের কয়েদ খানায় থাকার ব্যাবস্থা করা হয়েছে । শেখ মুজিবের শাসন আমলে এত অধিক সংখ্যক লোককে কয়েদে ঢোকানো হয়েছিল যে আর জায়গা অবশিষ্ট ছিলনা ।ফলে রক্ষীবাহিনীকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল নতুন কোন লোক কয়েদখানায় নেবার প্রয়োজন হলে তাকে যেন কয়েদ খানায় না নিয়ে বরং হত্যা করা হয় ।এমন আদিষ্ট হবার কারনেই প্রায় চল্লিশ হাজার বাম নেতা-কর্মি হত্যা করে রক্ষীবাহিনী, যাদের রক্তের উপর দাড়িয়ে আছেন আজকের তথ্য মন্ত্রী ইনু ।
৭৫`এ শেখ মুজিবের পতন হলে বাকশালী মহামোতিদের পতন হয় ।তাদের কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালালেও বেশীর ভাগ এমপি-মন্ত্রীর জায়গা হয় নাজিম উদ্দীন রোডের জেলখানায় । শাহ্ মোয়াজ্জেম,তাহের উদ্দীন ঠাকুর,কে এম ওবায়েদ সহ অসংখ্য নেতা আওয়ামিলীগ নেতা খন্দকার মুশতাকের সাথে হাত মিলিয়ে রক্ষা পেলেও জেলখানার ভেতর হত্যা কান্ডের শিকার হন জাতীয় চার নেতা ।জেনারেল এরশাদ কয়েদ পদ্ধতির কিছুটা উন্নতি সাধন করেন ।তিনি নাজিমউদ্দীন রোডের পরিবর্তে দুই নেতৃকে হাউজ এরেস্ট করেন । আর এরশাদ পদ্ধতির আর একটু উন্নতি সাধন করে উদ্দীন সরকার দুই নেতৃকে রেখেছিল সংসদ ভবনের সাব জেলখানায় ।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে এক বৎসরের ভেতরেই এক অভিনব কয়েদ খানার আবি্রভাব হয় লালবাগ মাদ্রাসা,যখানে ফজলুল হক আমিনি বন্দী হন ।মাদ্রাসার ছাত্রদের পড়াচ্ছেন,রাজনীতি করছেন,এমনকি সংবাদ সম্মেলনও করছেন মাদ্রাসার ভেতর ।কিন্তু মাদ্রাসার বাহিরে তিনি যেতে পারছেন না ।এ এক অভিনব কয়েদ খানা যার স্রষ্টা রানী হাসিনা ।ছেলে গুম পরে ফেরত,মামলা, গোয়েন্দা চাপ আর বন্দী জীবনের ঘানি টেনেই পরপপারে পাড়ি দেন এই শায়েকুল হাদিস আল্লামা..।গত চারদিন আগে জেনারেল এরশাদকে গ্রেপ্তারের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টনমেন্ট থানায় । সেখান থেকেই তাকে বন্দী করে রাখা হয় সিএমএইচ এ ।তিনি যতই বলছেন অসুস্থ নন,তবু তাকে রিলিজ দেওয়া হচ্ছে না, ঘনিষ্ঠজনদেও কাছে ভীরতে দেওয়া হচ্ছে না ।বরং তাকে অসুস্থতার কথা বলে চেক-আপ করা হচ্ছে,রক্ত নেওয়া হচ্ছে এমনকি ঔষধও গেলানো হচ্ছে ।একই সাথে দলের ভাঙ্গন আর জেলের ভয় দেখানো হচ্ছে ।এখন পর্যন্ত যতদূর জানা যায় পল্টিবাজ এরশাদ এখনও পল্টি দেননি ।আর সে কারনেই তার কয়েদ হাসপাতালেরও অবসান হচ্ছে না ।
সাধারন কয়েদখানা,নির্জন কয়েদখানা,হাউজ এরেষ্ট এসবতো আগেই ছিল ।কর্ম ক্ষেত্রকে কয়েদখানা বানিয়ে সেখানে আমিনিকে আমৃত্যু বন্দী রাখার কৃতিত্ব একমাত্র রানী হাসিনার ।সিএমএইচের মত একটি সামরিক হাসপাতালে একজন সাবেক জেনারেল কে বন্দি রাখারও এক মাত্র ক্ষমতা তার ।আর এজন্যই বুঝি উজির আশরাফ দুই দিন আগে বলেছেন,হাসিনার রাজ্যে সব সম্ভব ।সত্যই তাই,হাসিনার রাজ্যে সব সম্ভব । তা না হলে এমন কোন রাজ্য আছে যেখানে প্রতিদিন ১০/১৫ জন লোক পুলিশের গুলিতে মারা যায়,কোথায় নির্বাচনের আগেই সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য পাশ করে যায়,কোথায় পদ ত্যাগ করলেও সেটা গ্রহন হয়না,সেটা সম্ভব একমাত্র অসম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। এসবের জন্য রানী হাসিনা নোবেল কমিটিতে বিবেচিত হবেন বলে আশা করা যায়। তবে সেটা আমার ভাবনার বিষয় নয় ।
আমার ভাবনার বিষয় হল, সম্রাট নেপোলিয়ান সেন্ট হেলেনা থেকে জীবিত ফেরেননি । সম্রাট শাহজাহান মৃত্যু বরন করেন আগ্রা ফোর্টে,আর চার নেতাও নাজিম উদ্দীন রোডের কয়েদ খানাতেই জীবন দেন ।পল্টিবাজ এরশাদ এখন রানী হাসিনার ভোটার বিহীন এমনকি প্রার্থী বিহীন নির্বাচনকে কিছুটা হলেও বৈধতা দেওয়ার শেষ অস্র ।যে এরশাদ ৮৬`এ রানী হাসিনাকে বিরোধী দলে বসিয়েছিল, ৯৬`এ ক্ষমতায় বসিয়েছিল,০৮`এ ক্ষমতায় বসিয়েছিল,এবারও গৃহ পালিত বিরোধীদল হয়ে সহযোগীতা করবে এটাই ছিল স্বাভাবিক প্রত্যাশা ।কিন্তু বলা নেই,কথা নেই হঠাৎ করেই নির্বাচনের মাঠ ত্যাগের ঘোষনা দিলেন ।আর সে কারনে সব চেষ্টা ব্যার্থ হবার পর সিএমএইচ পদ্মতির অবতারনা করা হয়েছে ।এখন এরশাদ পল্টি দিয়ে জীবন বাচাবেন, না চিকিৎসার নামে হত্যা কান্ডের শিকার হবেন সেটাই দেখার বিয়ষ ।
সখিনা-মোর্শেদ ও একটি লং ড্রাইভ
সখিনার প্রস্তাব পেয়ে মোর্শেদ সানন্দ চিত্ত্বে রাজী হয়ে গেল। কথা হল দুজনে মিলে আজ একটি লং ড্রাইভে যাবে। মোরশেদ বলল,লং ড্রাইভে যাব এটা খুবই ভাল কথা,কিন্তু ব্যাপারটা কি? ব্যাপার একটা আছে এবং সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ন, তবে তুমি রাজী হয়েছ এতেই আমি খুশী, বলল সখিনা। কথা মত সখিনার সাথে মোর্শেদের লং ড্রাইভ শুরু হল। বিশেষ কোন গন্তব্য নেই,তবে দুজনেই আজ রাতটা নির্জন রাস্তায় ড্রাইভ করবে আর সেই সাথে প্রয়োজনীয় কিছু আলাপ সারবে বলে সিদ্ধান্ত নিল।
সখিনার বাগান বাড়ির গেইটে এসে মোর্শেদ গাড়ি বদল করে সখিনার গাড়িতে উঠে পড়ল। সখিনার আলিসান লিমুজিনে তখন বিস্বস্ত ড্রাইভার ছাড়া আর কেউ নেই। প্রসস্ত ছিটে খুব আয়েশ করে বসেছিল সখিনা। এবার মোর্শেদ স্মিত হেসে সখিনার পাশে
বিষয়: বিবিধ
১০১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন