মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অজানা অধ্যায় ৷৷

লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ৩০ মার্চ, ২০১৪, ১০:১৫:৪৩ রাত

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর যখন পাকিস্তান দিখন্ডিত হয়ে নতুন দেশ বাংলাদেশ তৈরী হয়, তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তাকরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় পার্লামেন্টে দাড়িয়ে অতিউল্লাস করে বলেছিলেন

“হাজার সাল কি বদলা লে লিয়া”

অর্থঃ “হাজার বছরের প্রতিশোধ নিয়ে নিলাম”

ইন্দিরা প্রতিশোধ নিয়েছে সেটা বুজলাম, কারন ৪৭ সালে তার বাবা দাদার বিরোধিতার পরেও মুসলিম সমাজ আলাদা রাষ্ট্র পাকিস্তান কায়েম করে, এছাড়াও ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে বাংলাদেশী সেনারা বীরত্বের পরিচয় দিয়ে ভারতকে পরাজিত করেছিল ৷৷ তাই স্বাভাবিক ভাবে বলা যেতে পারে ইন্দিরা এইসব বিষয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে ৷৷

তবে সেই প্রতিশোধ তো হাজার বছরের নয়, মাত্র ২৪ বছরের !! তাহলে শ্রীমতি ইন্দিরা কেনো বললেন হাজার বছরের প্রতিশোধ নিয়েছেন !!!

আসুন একটু ইতিহাস দেখি;

প্রায় হাজার বছর আগে এই উপমহাদেশে মুসলমানগন আগমন করেন, মুসলমান দাঈ গন হিন্দু সমাজে দাওয়াতের কাজ করেন, তার ফলশ্রুতিতে লাখো লাখো হিন্দু মুসলমান হতে থাকেন, ধীরে ধীরে ভারতের শাসন ভার মুসলমানদের হাতে ন্যস্ত হয়, ইংরেজরা ক্ষমতা দখল করার আগ পর্যন্ত মুসলিম সমাজ উপমহাদেশ শাসন করে ৷৷

অন্যদিকে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন এক উগ্র হিন্দু পরিবারের সন্তান, ইন্দিরার বাবা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জহরলাল নেহুরু এবং দাদা পন্ডিত মতিলাল নেহুরু দুইজনই ছিলেন হিন্দু মহাসভার নেতা ৷৷ হিন্দু মহাসভা ছিল উগ্রহিন্দুদের রাজনৈতিক সংগঠন ৷৷

এর দ্বারা স্পষ্টই হয়ে যায় যে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী হাজার বছরের প্রতিশোধ বলতে কি বুজিয়েছেন ৷৷ শ্রীমতি গান্ধী এটাই বুজিয়েছেন যে, হাজার বছর আগে উপমহাদেশ মুসলিমগণ দখল করেছিল ! হাজার বছর পরে এসে শ্রীমতি গান্ধী উপমহাদেশের একটি অঞ্চলকে মুসলিম সমাজের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন ৷৷ এটাই হলো হাজার বছরের প্রতিশোধ ৷৷

তবে শেখ সাহেব শ্রীমতি ইন্দিরার সকল দাবি পুরন করেননি, তাই শ্রীমতি গান্ধীর সপ্ন সম্পুর্ন বাস্তবায়ন হয়নি ৷৷ এই বিষয়ে শেখ সাহেব একটা ধন্যবাদ পেতে পারেন ৷৷ তবে শেখ সাহেবের বেটি শ্রীমতি গান্ধীর সেই সপ্ন পুরনে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন বলেই মনে হচ্ছে...!!

এখানে অনেক প্রশ্ন দাড়াতে পারে ইনশা আল্লাহ আপনাদের দোয়া থাকলে কিছুদিনের মধ্যে এইসব বিষয়ে “ইতিহাসের কাঠগড়ায় শেখ মুজিব” নাম একটি পূর্ণাঙ্গ পুস্তুক লেখার ইচ্ছা আছে, সেখানে সব বিষয়ের উত্তর পাওয়া যাবে আশা করছি ৷৷

বিষয়: রাজনীতি

১৭৬৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

200550
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৫৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভারতিয় উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পরপরই কুমিল্লার বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা আশরাফউদ্দিন চেীধুরিকে নেহরু চিঠি লিখে বলে ছিলেন তাদের কাজ চালিয়ে যেতে। কংগ্রেস কেবল সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে পাকিস্তানকে মেনে নিয়েছে। তাই ইন্দিরা গান্ধির এ দাবি স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি তখনও প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাধারন মানুষের মন বুঝতে পারেননি। যদিও তার সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল মানেকশ তা বুঝেছিলেন। বরং এই বিজয় তাকে একক ডিক্টেটর হতে উৎসাহিত করেছিল যা পরবর্তিতে ভারতের ইতিহাসের ইমার্জেন্সির কালো অধ্যায় হিসেবে স্বিকৃত।
200772
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪২
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : ভাই সাধারন কিছু মানুষ হয়তো জানেনা। কিন্তু শিক্ষিত সমাজের অধিকাংশই এই কাহিনি জানে। কিন্তু জেনেও না জানার ভান করে নিজেদের স্বার্থে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File