মুজিবের ৭ মার্চের ভাষন; কৌশল নাকি পাকিস্থান প্রীতি !!
লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ০৭ মার্চ, ২০১৪, ১০:০১:৫৯ রাত
আজ ৭ মার্চ, আওয়ামীদের মতে আজকেই স্বাধীনতা ঘোষনার দিন ! বস্তুতই এই দিনটাকে স্বাধীনতা ঘোষনা দেয়ার জন্য ঠিক করা হয়েছিল, মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সহ তত্কালীন পুর্বপাকিস্থানের সব নেতাই সেদিন স্বাধীনতা ঘোষনার পক্ষে ছিলেন । আওয়ামীলীগের বৃহত একটি অংশও চেয়েছিল মুজিব সেদিন তার ভাষনে স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষনা দিয়ে দেক ।
কিন্তু বাধ সাধলেন সয়ং মুজিব !! মুজিব কিছুতেই স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষনা দেতে রাজি হলেননা !! মুজিব দুরন্ত রাজনৈতক কৌশল অবলম্ভন করলেন । মুজিব তার ১৮ মিনিটের ভাষনে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না । মুজিব কেন সেদিন স্বাধীনতার দেননি তা নিয়ে অনেক বিশ্লেষন আছে, অনেকের মতে মুজিব বিচ্চিন্যতাবাদির অপবাদ থেকে বাচতে চেয়ে ছিলেন । কারন মুজিব যদি সেদিন স্বাধীনতার ঘোষনা দিত তাহলে পাকিস্তান সরকার তাকে ভারতপন্থী বিচ্চিন্যতাবাদী বলে বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করত, তাতে মুজিবের প্রতি বিশ্ব বাশির সমর্থন হারিয়ে যেত ৷
তবে আমি মনে করি মুজিব চাননি যে পাকিস্থান দ্বিখন্ডিত হোক, তাই সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিননি । মুজিব চেয়েছিল অল-পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী হতে, এর অনেক প্রমান আছে । যেমন মুজিব সেদিন ঘোষনা দেননি বিভিন্য কারনে, কিন্তু ২৫ মার্চ যখন মুজিবকে পাকিস্থান নিয়ে যাওয়া হয় তখন স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা দেননি কেনো ??
যাক সে কথা; তবে মুজিবের ভাষন দেয়ার যোগ্যতা ভালো ছিল তা স্বীকার করতেই হয় । "রক্ত যখন দিয়েছি আরো দেবো" (তবে নিজের চৌদ্দগোষ্টিকে ভারত পাঠিয়ে দেবো)
বিষয়: বিবিধ
১২১৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখানে কি স্বাধীনতার কথা উচ্চারণ করা হয় নি ?
মনে খটকা লাগে , ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা দেবার পর ৮-২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু কি নিয়ে/কিসের আশায় ইয়াহইয়া- ভুট্টোর সাথে ঢাকা-করাচি আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন