যে কারনে হত্যা করা হয়েছিল দেশ প্রেমিক বিডিআর অফিসারদের ৷
লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৬:৩০:১০ সন্ধ্যা
১/১১ পটপরিবর্তনের পর জেনারেল মইন ক্ষমতায় আসে, দেড় বছরের মাথায় জেনারেল মইন বুজতে পারে তার পক্ষে ক্ষমতা স্থায়ী করা সম্ভব নয়, কারন দেশী বিদেশী অনেক চাপ ছিল ৷ ভারত, আমেরিকা, বৃটেন এই তিন দেশ তখন মইনের সাথে সমযোতা করে, সিদ্ধান্ত হয় ভারতের পছন্দ অনুযায়ী হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনা হবে ৷ তারপর হাসিনাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়, হাসিনার মুক্তির পর ভারতের সাথে হাসিনার কিছু চুক্তি হয় ৷ চুক্তি গুলার মধ্যে একটা ছিল বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রন ভারতের হস্তগত করা ৷
২০০৯ সালের নাটকীয় নির্বাচনের ফলে হাসিনা ক্ষমতায় আসে, এবং ভারত চুক্তি অনুযায়ী সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রন নিতে তত্পর হয়ে উঠে ৷ কিন্তু এইকাজে প্রধান বাধা হয়ে দাড়ায় তত্কালীন বিডিআর বাহিনী, সঙ্গত কারনেই বিডিআরের প্রধান শত্রু হলো ভারতীয় বিএসএফ এবং ভারত, কারন তারা সবসময় ভারতের সাথে লড়াই করে থাকে ৷
আর ভারতের কাছেও বাংলাদেশের প্রধান শত্রু হলো বিডিআর, কারন বিডিআরই তাদের অন্যায়ের জবাব দেয় ৷ তাই ভারতিয়রা প্রথমেই টার্গেট করে বিডিআরকে ৷ প্রথমে তারা বিডিআরের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটায়, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' (RAW) এর প্রচুর সদস্যকে সৈনিক সাজিয়ে বিদিআরে ঢোকানো হয়, 'র' সদস্যরা বিডিআরের ভিতরে থাকা দুর্বলতা গুলা দিয়ে বিডিআরকে ঘায়েলের সিদ্ধান্ত নেয় ৷
বিডিআরের অন্যতম প্রধান দুর্বলতা ছিল তাদের চেইন অব কমান্ড, বিডিআরের সিনিয়র অফিসার সেনাবাহিনী থেকে আসতো, এই বিষয়টা বিডিআরের নিচের সৈনিকদের মধ্যে অসন্তুষ্টির কারন হয়ে দাড়িয়ে ছিল ৷ আর ভারত এটাকেই পুজি করে বিডিআরের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে ৷
ভারত সিদ্ধান্ত নেয় বিডিআরের সকল অফিসারদের এক সাথে হত্যা করার, এর জন্য তারা বেছে নেয় ২৫ ফেব্রুয়ারীকে, কারন সেদিন ছিল বিডিআরের বাত্সরিক অনুষ্ঠান, দরবার হলে এই অনুষ্ঠান হয় এবং এই অনুষ্ঠানে বিডিআরের সকল অফিসার উপস্থিত থাকে, তাই এই দিনকেই ভারতীয় 'র' বিডিআর হত্যার দিন হিসেবে ঠিক করে ৷
সে অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে হাসিনা উপস্থিত হয়নি, শুধু তাই নয় সে অনুষ্ঠানে হাসিনা সরকারের কোনো এমপি মন্ত্রী বা উপদেষ্টাও উপস্থিত হয়নি !! আসলে তারা জানতই এমন একটা হত্যাকান্ড ঘটবে, তাই নিজেরা সাবধানে অনুষ্ঠানে যাওয়া থেকে বিরত থাকে ৷
এরপরের ঘটনা আমরা সবাই জানি, জাতির সুর্য সন্তানদের, জাতির বীর সেনানীদের, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীদের নির্মম ভাবে হত্যা করে, দেশকে পঙ্গু করে দেয় ৷
বিষয়: বিবিধ
১২৬২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
২, এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে কি কারণ ছিল ?কারা জড়িত ছিল ?এবং তাদের কি কোনো সাজা হয়েছে বা হবে ?
৩ , এই হত্যাকান্ডের পেছনে কি বিদেশী রাষ্টের ইশারা রয়েছে ? বা বিদেশী কোনো রাষ্টের ইশারা রয়েছে কি না তার খুজ নেওয়া হয়েছে ?
৪ , সরকারের ভুমিকা কি ছিল ? প্রশাসনের সকল স্থরের ভুমিকা কি ছিল ?এসব তদন্ত করা হয়েছিল ?
মীর জাফর মঈন
পিলখানা ট্রাজেডি ও মহামান্য মরণের সওদাগরগণ
আজকের এই দিনটি জাতির জন্যে এক ভয়াবহ দিন। এই একদিনে যত সংখ্যক সেনা অফিসার হারিয়েছি পুরো মুক্তিযুদ্ধে তত সংখ্যক হারাই নি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই দিন সেনাবাহিনীর মনোবলটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে ।
এই দিনটিকে কেন যেন আমাদেরকে ভুলিয়ে দেয়ার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পিলখানা ট্রাজেডি যেখানে আজকে প্রধান আলোচনা হতে পারতো সেখানে ক্রিকেট ও জঙ্গী প্রধান শিরোনাম হয়ে পড়েছে।
দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে এদেশের মিডিয়া যতটুকু আতংক ও বেদনাবোধ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে কিংবা করছে আজ আমাদের দেশের এতবড় ভূ-রাজনৈতিক সর্বনাশ নিয়ে সামান্য মাতম করতেও অনেকেই অনীহা দেখাচ্ছে । কীভাবে এটাকে চাপা দেয়া যায় সেই চেষ্টাই দৃষ্টিকটুভাবে দৃশ্যমান।
কোথা থেকে যেন সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে তা মালুম হচ্ছে না । শায়েখের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সিনেমাটিক কায়দায় ছাড়া পেয়ে গেছেন । কিন্তু একই শায়েখকে র্যাবের হাতে ধরিয়ে দেয়া রাকিব ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন । ক্রসফায়ার নয় - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থুক্কু দিয়ে বলেছেন , এটা বন্ধুক যুদ্ধ।
হাছান মাহমুদ ও আবুল মালগন এই কাজের জন্যে আগ বাড়িয়ে বিএনপি-জামায়াতকে দোষারূপ শুরু করে দিয়েছেন । তাদের এসব বুদ্ধিদীপ্ত কাজের দরুন পুিলশ -লীগ, সাংবাদিক -লীগ, বুদ্ধিজীবি-লীগের মতো করে জেএমবি -লীগের অবস্থান ও চেহারা আরো স্পষ্ট হয়ে পড়ছে।
এই 'শায়েখ'কে পাকড়াও করা কর্ণেল গুলজার নিহত হওয়ার তিন দিন আগে বিডিআরে ফোর্সড ট্রান্সফার হয়েছিলেন । অধিকাংশ অফিসারকে এভাবে তাদের মরনই যেন ট্রান্সফার করে নিয়ে এসেছিল। জেনারেল শাকিলের ছেলে এই ধরনের অনেকগুলি মূল্যবান কথা বলেছেন। সেই কথাগুলি জাতির ভাবনায় অনেক খোরাক সরবরাহ করেছে।
দেশের মানুষ যখন আজকের দিনটিতে এই ধরনের কথাগুলি নিয়ে বেশী করে ভাবতো তখন প্রথম আলো জেনারেল মঞ্জুরের হত্যা নিয়ে বোমা ফাটানোর মত কিছু তথ্য বের করছেন!
এই এরশাদকে নিয়ে যতটুকু খেলার সেই খেলাটুকু বোধহয় এখন শেষ হয়ে গেছে। সব আলামত দেখে মনে হয়, এরশাদ এখন (আধিপত্যবাদের) ব্যবহৃত কনডমের চেয়েও অপাংক্তেয় হয়ে পড়ছে। ময়লার ডাষ্টবিনই এখন এরশাদকে রাখার স্বস্তিকর জায়গা।
কাজেই এই মতি ভাইদের মতিগতি বোঝা আসলেই দায়।
এরাই ঠিক করেন আমরা কখন কোনটা নিয়ে ভাববো, কীভাবে ভাববো, কতটুকু ভাববো।
সবকিছু দেখে মনে হয়, মরণের একেক সওদাগরকে আমরা আমাদের জীবন পথের একেক ভাগ্যবিধাতা বানিয়ে রেখেছি
সূত্র মিনার রশিদের ফেসবুক
মন্তব্য করতে লগইন করুন