মানব জমিন পত্রিকার ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের দাত ভাঙ্গা জবাব ৷
লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:০৮:৪৪ রাত
আজকের মানব জমিনে হেফাজতকে নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে ৷ প্রতিবেদনটিতে কিছু অযুক্তিক ও অসত্য বিষয় আনা হয়েছে, আমরা মানব জমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর কাছে এমন দায়িত্ব হীনতা কোনো ভাবেই আশা করিনি ৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি সাহেব হুজুর সাহেবজাদা আনাসের প্রতি দুর্বল, এবং আনাসের কথা মতই হুজুর হেফাজতকে চালান ৷ এটা সম্পুর্ন মিথ্যা এবং কাল্পনিক ধারনা, হেফাজত চলে কেন্দ্রীয় আলায়ে আহলে শুরা তথা সাব কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৷
আনাস সে কমিটির একজন কনিষ্ট সদস্য মাত্র ৷
হ্যা সন্তান হিসেবে আনাস হুজুরের কাছের মানুষ, বৃদ্ধ বয়সে এসে ব্যক্তি জীবনে হুজুর সন্তানের প্রতি আস্থা রাখবেন এটাই স্বাভাবিক, তবে হেফাজতের বিষয় হুজুর আনাসের উপর নির্ভর করছেন এইটা একেবারেই ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক চিন্তা ৷ বরং হেফাজতের ব্যপারে হুজুর আল্লামা জুনাইদ সাহেবের উপর অনেক বেশি আস্থা রাখেন ৷
প্রতিবেদনে আনাসের সম্পত্তির বিবরন দেয়া হয়েছে, আনাস হুজুরের সন্তান হলেও সে এখন ছোট বাচ্চা নেই, সে নিজেই নিজের জীবন চালনা করছে, তার সম্পত্তি তার কাজকর্ম সম্পুর্ন তার ব্যক্তিগত বিষয়, কারন সে প্রাপ্ত বয়স্ক একজন লোক ৷ আর আমাদের জানা মতে আনাসের এমন কোনো সম্পত্তি নেই যা দেখে চোখ কপালে তুলে পত্রিকায় প্রতিবেদন করা যায় ৷ আনাসের বর্তমান সম্পত্তি নিম্মমধ্যবিত্য মানুষের সম্পত্তির সমান, যেটা কোনো ভাবেই অস্বাভাবিক নয় ৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মামলা প্রত্যাহার ও মাদ্রাসার মসজিদের জন্য অনুদানের বিনিময়ে হুজুর সরকারের সাথে অতাত করেছে ! এটা একে বারেই গাঁজাখুরি কথা, হুজুর যদি সরকারের সাথে অতাতই করত তাহলে হেফাজত নিয়ে এত কিছু হতনা ৷ হাসিনার পক্ষ থেকে হুজুরকে কম প্রলোভন দেখানো হয়নি, টাকা-পয়সা এবং কি সংসদে ৫০ টি আসনও দেয়ার কথা বলা হয়েছিল ! কিন্তু হুজুর কখনই তাতে রাজি হননি ৷
সমান্য মসজিদের কাজের টাকার জন্য হুজুর সরকারের সাথে অতাত করবেন !! এর চয়ে হাস্যকর কথা আর কি হতে পারে !! যেখানে হুজুর কওমী মাদ্রাসার সরকারী সীকৃতিটাও নিতে রাজি হননি সেখানে এইসব কথা সত্যি হাস্যকর ৷
আর হাজার কোটিপতি বসে আছেন মসজিদ করে দিতে কিন্তু হুজুর তাতে রাজি হচ্ছেন না, হুজুর আ'ম পাবলিক থেকে ১০/২০ করে নিয়ে মসজিদ করতে চাইছেন, যাতে মসজিদের প্রতি সবার মহব্বত থাকে ৷
প্রতিবেদনের এক জায়গায় বলা হয়েছে হেফাজতের জন্য টাকা তোলা হয়েছে ! কিন্তু আমাদের জানা মতে হেফাজতের কোনো পান্ড নেই যেখানের জন্য টাকা তোলা হয়, আর কেউ তুলেছে বলেও আমাদের জানা নেই, তাই এই অভিযোগটা একেবারেই অসত্য ও ভিত্তিহীন ৷
প্রতিবেদনটির শেষের দিকে কিছু লোকরে সাক্ষাতকারে কথা বলা হয়েছে যারা হুজুরের নেতৃত্বের বিষয় নাখোশ !! তারা নেতৃত্বের পিরবর্তন চেয়েছে, কিন্তু তাদের নাম দেয়া হয়নি !! আমরা দাবি জানাচ্ছি তাদের নাম প্রকাশ হোক, আমরা দেখতে চাই কে এমন লোক যার কাছে আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেবের চয়েও বড় আলেম আছেন !! মূলত তারা হেফাজতকে ভাঙ্গার ও হেফাজতের বিষয় মানুষকে বিভ্ব্রান্ত করার চেষ্টা করছে সংখায় তারা অল্প, তাদের প্রতিহত করতেই হবে ৷
পরিশেষে বলব মানব জমিন পত্রিকার প্রতি আমাদের যথেস্ট আস্থা ছিল, কিন্তু তারা এভাবে একটা দায়িত্য জ্ঞানহীন কাজ করবে তা মেনে নেয়া যায়না ৷ মানব জমিন পত্রিকার পক্ষ থেকে এই ভুয়া প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার কারনে দুঃক্ষ প্রকাশ করা উচিত ৷
বিষয়: বিবিধ
২৪৭৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুঃখজনক হল মানব জমিন উক্ত কমেন্ট টি পাবলিশ করেনি। ইডিশান এর নামে গায়েব করে দিয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন