ভালবাসা দিবসের ভয়াবহ পরিনতি...৷

লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:১৭:৩৯ রাত

সিয়াম বয়স নভেম্বরে ১৭ হয়েছে, স্কুল জীবন শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে ৷ কলেজে ভর্তি হবার কিছু দিনের মধ্যেই নাহিদার সাথে পরিচয় হয়, নাহিদা সিয়ামের এক বছরের জুনিয়র ৷ অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সম্পর্ক অনেক গভীর হয়ে যায় ৷ ফেব্রুয়ারী মাস আসতেই সিয়াম এবং নাহিদার মনে এক অন্যরকম ভালো লাগার সৃষ্ঠি হয়, তাদের সম্পর্কের প্রথম ভালবাসা দিবস তাই মাসের শুরু থেকে অনেক প্লান করে রাখে ৷ ১৪ তারিখ সকাল ১০ টায় তারা এক সাথে হয়, নাহিদা কমলা রঙের শাড়ি আর সিয়াম পরেছে লাল রঙের পাঞ্জাবি, দেখতে দুজনকেই প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ তরুনীর মত দেখাচ্ছিল ৷

বন্ধুদের সাথে দেখা সাক্ষাত করে, দুপুরে একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া সেরে বিচে বেড়াতে যায় সিয়াম এবং নাহিদা ৷ বিচে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরির পর পার্কে একটা রুম ২ ঘন্টার জন্য ভাড়া করে, উদ্দেস্য ছিল কিছুক্ষণ একান্ত গল্প করবে..৷ গল্পে করতে করতে.. এক পর্যায় সিয়াম নাহিদার হাতে কিস করে.. নাহিদাও জবাবে সিয়ামকে আলিঙ্গন করে.., ইচ্ছে না থাকা সত্যেও যা হবার তাই হয়ে যায় ৷

ঐ ঘটনার পর ২/৩ দিন সিয়াম ও নাহিদা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ রাখলেও ২/৩ দিন পর সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় ৷ তবে তারা ভালবাসা দিবসের বিশেষ মুহূর্তটা নিয়ে কোনো আলোচনাই নিজেদের মধ্যে করতনা, সেদিন কিছু হয়েছে সেটা একে অপরকে বুজতে দিতনা ৷

দিন যায়.. সপ্তা যায়.. এক মাস পেরিয়ে দ্বিতীয় মাস আসে.., নাহিদা বুজতে না পারলেও তার পরিবারের লোকজন বুজতে পারে নাহিদার মধ্যে পরিবর্তন এসেছে..! ডাক্তারি পরীক্ষার পর স্পস্ট হয়ে যায় নাহিদা মা হতে চলেছে !!!

এই কথা শুনে নাহিদার পরিবারের লোকদের মাথায় আসমান ভেঙ্গে পরে !! নাহিদা সব গঠনা পরিবারের লোকদের কাছে খুলে বলে ৷ নাহিদার শিক্ষক বাবা যায় সিয়ামের পরিবারের কাছে, সব কিছু শুনে সিয়ামের পরিবারের লোকদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায় !!

নাহিদার পরিবার থেকে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়, কিন্তু সিয়ামের পরিবার তা কিছুতেই রাজি হচ্ছিলনা, কারন সিয়ামের বড় ভাই ও বড় বোন এখনো অবিবাবিতি আর ১৭ বছরের সিয়াম বিয়ের কি বুজবে !!

এর মধ্যে এক কান দুই কান করে পুরা এলাকায় এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পরে ৷

সিয়াম ভাবে তার ভুলের জন্যই আজ এই অবস্থা হয়েছে তাই সে আত্মহত্যা করতে চায়, অনেক গুলা ঘুমের ঔষদ খেয়ে পেলে ৷ তবে মারা যায়নি, ওয়াশ করে ঔষদ বের করা হয় ৷

বাধ্য হয়ে দুই পরিবার সমযোতা করে, নাহিদার পেটেই বাচ্চা নস্ট করে ফেলা হয়, সিয়াম ও নাহিদা দুইজনেই মানুষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরে, ডাক্তার বলেছে সিয়াম পরিপূর্ণ সুস্থ হতে সময় লাগবে...৷ নাহিদার অবস্থাও না মরে বেছে থাকার মত...৷

কেউ জানেনা সিয়াম ও নাহিদা কখনো আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে কিনা...৷ আর দুই পরিবারের যে সম্মানহানি হয়েছে তা তো ফিরিয়ে আনা অসম্ভব ৷ এটাই হলো অবৈধ ভাববাসা ও কথিত ভালবাসা দিবসের বিষাক্ত ছোবল ৷

গল্প নয় বাস্তব....

বিষয়: বিবিধ

১২৬৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

177118
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০৫
বিদ্যালো১ লিখেছেন : hmm. Shoitan ache taile kano ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File