পাকিস্তানি অভিনেত্রী বিনা মালিকের অবিশ্বাস পরিবর্তন !!
লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৪৬:২৮ সকাল
ছবির এই মহিলাটির নাম বিনা মালিক, সঙ্গত কারনে তার বিস্তারিত পরিচয় দেয়া সম্ভব নয়, এক কথায় তাকে বলা যায় পাকিস্তানের অশ্লীলতার রানী ৷ গত এক মাস আগেও সে গোটা পাকিস্তানকে অশ্লীলতা দিয়ে কাপিয়েছে, তার অশ্লীলতার বর্ননা দেয়া অসম্ভব ৷ অশ্লীলতা দিয়ে পাকিস্তানের যুবসমাজকে গ্রাস করে ফেলেছিল ৷
তবে এইসব পরিচয় বর্তমানে বিনা মালিকের জন্য অতীত বলা যেতে পারে ৷ আল্লাহর অশেষ রহমতে মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের দাওয়াতে আল্লাহর এই বান্দির জীবনে অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে ৷
পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষ আলেম দাওয়াতে তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা তারিক জামিল সাহব জানতে পারেন যে বিনা মালিক নামে এক পাকিস্তানি মেয়ে অশ্লীলতার পসরা খুলে হাজার হাজার যুবকের চরিত্র নস্ট করছে, তখন মাওলানা তারিক জামিল সাহেব বিনা মালিকের কাছে দেখা করার সময় চান, গত জানুয়ারী মাসের শুরুর দিকে বিনা মালিক তারিক জামিল সাহেবকে দেখা করার সময় দেন, সময় পেয়েই মাওলানা সাহেব বিনা মালিককে ইসলামের উত্তম আদর্শের প্রতি দাওয়াত দেন, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে অল্প সময়ের মধ্যেই বিনা মালিক নিজের ভুল বুজতে পারেন এবং দাওয়াত কবুল করেন ৷
আল্লাহর শুকরিয়া যে বিনা মালিক এক সময় শরীরে কাপর রাখতনা সেই বিনা মালিক ওয়াদা করেন আর কখনই মাথা থেকে কাপর ফেলবেননা !!
পাকিস্তানি গ্লামার জগতে আকাশচুম্বি ক্যারিয়ারকে এক রকমের আনুষ্ঠানিক বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন বিনা মালিক ৷ মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের দাওয়াতের উছিলায় শুধু বিনা মালিক হেদায়েতের রাস্তা দেখল যে তা নয়, সাথে পাকিস্তানও অশ্লীলতা থেকে একধাপ মুক্ত হলো
এই ঘটনা থেকে স্পস্ট বুজা যায়, দাওয়াত পৌছানো কতটা জরুরী, দাওয়াতের মেহনত করা কতটা জরুরী ৷ আল্লাহ আমাদের সকলকে দাওয়াতের গুরুত্ব বুজার তাওফিক দান করুক (আমিন)
পরিশেষে বলব, আমরা যে যেখানেই আছি সেখান থেকেই কিছুনা কিছু দাওয়াতি কাজ করি, বলা যায়না কার কথার উছিলায় আল্লাহ কাকে হেদায়েত দান করেন ৷
✍লেখকঃ
সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার
বিষয়: বিবিধ
১৭০৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জুনায়েদ জামশেদ এর ইতিহাসও তারিক জামিল সাহেবের হাতে ধরে।
একই পেশার এই লোকও তো গিয়েছেন হজ্জে । পরে এসে ধুম-৩ করলেন , সাথে ক্যাটরিনা । সমকামিতার পক্ষেও কথা বললেন ।
বীনাকে তার ব্যতিক্রম ভাবার কোন কারণ নেই । হয়ত সাম্প্রতিক ব্যাপক সমালোচনা থেকে বাঁচতে হজ্জকে বেছে নিয়েছেন । এতে কিছু কালের জন্য সমালোচনা এড়ানোও যাবে , আবার ধার্মিক হিসেবেও পরিচিতি আসবে ।
কথা হলো , এর ফলে সে কি তার আগের কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে পারবে ? তাহলেই বোঝা যাবে তার এই সাজ মেকি না আসল ।
ছবিতে যেভাবে পোজ দিয়েছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, বেশ বদল করলেও তার স্বভাব কিন্তু আগেরটাই আছে ।
এসব প্রচারণা করে কিছু ইসলাম বিদ্বেষী সাইট । এর আগে প্যারিস হিলটনকে নিয়েও এরকম কাহিনী ফাঁদা হয়েছে ।
বোকা মুসলমানরা সবসময়ই এদের ফাঁদে পা দেয় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন