বাংলাদেশীদের পেটের ভাত কেড়ে নিতে চাইছে হাসিনা ৷
লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:৩৯:৩৫ দুপুর
দুবাই সরকার বাংলাদেশীদের জন্য সকল প্রকার ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে ৷ “ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০-এর ভেন্যু” নির্বাচনে বাংলাদেশ দুবাইকে ভোট না দিয়ে রাশিয়াকে ভোট দেয় !! সেই কারনেই দুবাই সরকার বাংলাদেশের বিষয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷
বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের দ্বিতীয় বৃহৎ দেশ দুবাই, কিন্তু হাসিনার হটকারী সিদ্ধান্তের কারনে দুবাইয়ের শ্রমবাজার সম্পুর্ন ভাবে হারাচ্ছে বাংলাদেশ ৷ এবং কি টুরিস্ট ভিসাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৷ এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের বাণিজ্যিক সম্পৃক্তিকে নানাভাবে গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী এ দেশ।
দুবাইতে কয়েক লক্ষ বাংলাদেশী রয়েছেন, অনেকে সেখানে স্থায়ী ভাবে ব্যবসা বানিজ্য করছেন, এবং তাদের টাকা দিয়েই সরকার চলছে ৷ এখন ভিসা না পেলে বাংলাদেশীদের কি অবস্থা হবে তা চিন্তা করাও মুশকিল ৷
হাসিনা আমাদের দেশেও বাচতে দেবেনা, বিদেশেও শান্তিতে থাকতে দেবেনা ৷ আল্লাহ জানে বাংলাদেশের মানুষের কপালে কি আছে ৷
বিষয়: রাজনীতি
১৫৭৫ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দেখিয়ে দিন বাংলাদেশীরা যেখানে হাত দেয় সেখানে সোনা ফলে ।
''এই তো দেখি মহা পন্ডিত !! বিদেশ থেকে দেশে এসে কিসের ভেতর খাটা খাটনি করবে ?''
০ যে কাজ করতে দেশে ইগোতে লাগে সে কাজ বাইরে গিয়ে ঠিকই করে । দেশের অনেক ক্ষেত্র আছে কাজ করার ।
মহাপন্ডিতগিরির কিছু এখানে নাই । এ কথায় চির গোলামদের গোলামী করা বন্ধ হয়ে যাবার ভয়ে অনেকেই ভিত তা বোঝাই যাচ্ছে ।
দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে থাকলে দেশে থেকেই তা করা যায় । অন্যদেশের চাকরগিরি করার চেয়ে নিজের দেশের করা শ্রেয় ।
যে প্রবাসীদের ঘামের উপর বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে তাদের প্রতি অপমানকর মন্তব্য করে মারাত্মক অপরাধ করেছেন। আপনার মধ্যে সামান্যতম হুস থাকলেও এজন্য দুঃখ প্রকাশ করুন।
কিন্তু আপনি যা বলেন নিঃ
- দেশের বাহিরে যেতে না পারা - দেশের ভিতরে থাকা বেকার মানুষের সংখ্যা কত?
- মিডল ইস্ট হতে ডে লেবার শ্রেনীর মানুষ ফিরে যদি কৃষি কাজ করতে চায় - তবে সে জমি কোথায়, যদি রিক্সা চালাতে চায় - তবে সে সুযোগ কোথায়, যদি কন্সট্রাকশান ওয়ার্কার হতে চায় - তবে সে পরিমান কন্সট্রাকশান ওয়ার্ক কোথায়? আপনি নিশ্চয়ই বলবেন না যে ঐ লোকগুলো দেশে এসে নিজেরা এক একজন এন্টিপ্রিনিওর হয়ে যাবে নিজেরাই কন্সট্রাকশান প্রজেক্ট শুরু করবে।
আমার মনে হয় - আওয়ামীলীগ যে কাজটা খুব ভাল ভাবে করতে পেরেছে - তা হল তার ভক্ত শ্রেনীকে পুরোপুরি অন্ধ আওয়ামী বানাতে পেরেছে - তা সে বিরাট বড় ইকোনোমিস্ট হোক, কিংবা সুশীল হোক, কিংবা আইনজীবি বা পলিটিশিয়ান হোক। এই শ্রেনীটা এতটাই আওয়ামী হয়ে পড়েছে যে - তারা আওয়ামীলীগের কোন কিছুর মধ্যেই কোন ভুল, কোন মিথ্যা, কোন জালিয়াতি, কোন বোকামী, কোন নেগেটিভিটি দেখতে পায়না - লিটারেলী এক একজনকে অন্ধ আওয়ামীলীগারে রূপান্তর করছে - যা মূলতঃ দিনকে দিন বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট বোঝা হয়ে পড়ছে। কোন দেশ এর দ্বারা ই সম্ভব না যে সীমিত আয় দিয়ে দেশের এক বিরাট অন্ধ জনগোষ্ঠিকে পোষা।
প্রথম কমেন্টে তো প্রবাসীদের প্রশংসাই করলাম ।
২য় কমেন্টে আমি প্রবাসীদের স্যাটায়ারের মাধ্যমে পারত পক্ষে দেশে এসে দেশের জন্যই কাজ করার আহবান জানিয়েছি ।
যারা বিদেশে গিয়ে এত খাটা খাটনি করে বিদেশের অর্থনীতিতে ভালই অবদান রাখছে , দেশে তার অর্ধেক করলেও দেশ অনেক এগিয়ে যেত ।
কিন্তু মাহফুজ ভাইদের মত যারা তাদের মধ্যে ''বিদেশ থেকে দেশে এসে কিসের ভেতর খাটা খাটনি করবে ? মাথার ভেতর ??'' দেশে এসে দুবাইয়ে যেরকম পরিশ্রম করে সে রকম পরিশ্রম করাকে যারা পারতপক্ষে হীন মনে করে তারা দেশে থাকলে বরং দেশের ক্ষতি বৈ ভাল কিছু হবে না । এদের মত মানুষ চায় দেশ যাতে এগিয়ে না যায় , পরমুখাপেক্ষী থাকে ।
বাইরের দেশগুলো যখন ব্রেইন ড্রেন ঠেকাচ্ছে এবং বাইরের থেকে নিজেদের ব্রেইন ফিরিয়ে এনে তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে এবং তারা স্বতঃষ্ফূর্ত ভাবে আসছেও দেশের সেবা করতে প্রবাসের জীবনকে তুচ্ছ করে দেশের সেবায় নিজে থেকে অবদান রাখতে , সেখানে আমাদের প্রবাসীরা দেশের সেবা দেশে থেকেই করতে ইগো সমস্যায় ভুগছে ?
দুঃখ প্রকাশ আমার না আপনাদের করা উচিত । আপনাদের জন্যই এই সব আরাবিয়ান কান্ট্রিদের কাছে আমাদের সবসময়ই মিসকিন হয়ে থাকতে হয় । কিছু হলেই তাদের থ্রেট আসে যে বাংলাদেশীদের বের করে দেবে বলে। আর এর ফলেই আপনাদের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে যায় । আপনাদের যদি সে রকম মনোবল থাকতো তাহলে তাদের এই থ্রেটকে থোড়াই কেয়ার করে চলে আসতেন দেশে । প্রমাণ করে ছাড়তেন যে দুবাই কতই না ভুল করেছে আপনাদের তাড়িয়ে দিয়ে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন