বিএনপির সাথে জামাত থাকবে কিনা তা বিএনপি-ই ঠিক করবে ৷
লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৬:১৬:২১ সন্ধ্যা
বেগম জিয়াকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আওয়ামীরা বলছে জামাত ছেড়ে আসতে হবে, আপনার অভিমত কি ?
বেগম জিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপি কারো নির্দেশে চলেনা, বিএনপি তার নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলে ৷ বিএনপির সাথে কে থাকবে না থাকবে সেটা বিএনপি ঠিক করবে ৷
গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে, বিএনপির সাথে কে থাকবে সেটা বিএনপি ঠিক করবে ৷
এরা (জামাত) একসময় তাদের (আওয়ামীদের) সাথে ছিল, তারা এক সাথে আন্দলন করেছে ৷ কাজেই কে আমাদের সাথে থাকবে তা আমরাই ঠিক করব ৷
বিষয়: রাজনীতি
১০৮৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসলামের ইতিহাসের আলোকে সত্য।
কারণ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুক্তি অনুযায়ী তিনি ছিলেন সর্বেসর্বা, ইসলাম ছিলো বিজয়ী, যে কোন ব্যাপারে মতভেদ-বিবাদ হলে আল্লাহর আইন অনুযায়ী তা মীমাংসা হতো আর বর্তমানে যে সব চুক্তি-সনদ সাক্ষরিত হয় তাতে ইসলামের/আল্লাহর আইনের কোন অংশতো থাকেই না বরং অপর পক্ষের দয়ার উপর ইসলাম পন্থীরা টিকে থাকেন। আর অধিকাংশ/সকল যৌথ সিদ্ধান্ত হয় অনৈসলামিক রীতি-নীতি অনুযায়ী, যাতে দ্বীন ইসলামের দিকে ভ্র“ক্ষেপও করা হয় না কিংবা নিজেদের খেয়াল-খুশীকেই প্রাধান্য দেয়া হয়, যার কোন বৈধতা ইসলামে নেই।
কিন্তু জামায়াত মানবরচিত সংবিধানে পরিচালিত মন্ত্রিসভার সদস্য ছিল। বাকী মন্ত্রী, সদস্য ও সরকার যখন দুর্নীতিতে নিমর্জ্জিত ছিল জামায়াত থেকে কোন ধরনের প্রতিবাদ করতে দেখা যায় নাই যা দূর্বল ঈমানের পরিচায়ক ও দূর্নীতি ও অপকর্মের সমর্থন করার নামান্তর।
এই কারনেই জামায়াতের দুর্দশ। যতক্ষন না জামায়াত জোট থেকে বের হয়ে ইসলামিস্টদের সাথে জোট করবে জামায়াতের পতন ঠেকানো সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশের মানুষ জামায়াত-শিবিরের উপর এত ক্ষ্যাপা যে কারও যদি পেট কষা হয়ে যায় তাহলে সবাই এক বাক্যে বলবে যে এটা জামায়াত- শিবিরের কাজ ।
জামায়াত যদি মনে করে বি এনপির সংগ ছাড়লে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে এবং আওয়ামী লীগ আরো জুলুম বাড়িয়ে দিবে তা ভুল। কারন বি এনপি নিজের নেতা কর্মীদের ক্রস ফায়ার থেকে রক্ষা করতে পারছেনা সেখানে জামায়াতকে বাচাবে। বিএনপির সংগ ছাড়লে অস্তিত্ব সঙ্কট হলে সেই অস্তিত্বের দরকার নেই। জামতের কাজ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছাড়া করা না, ইসলাম প্রতিষ্টা করা। যদি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে তাহলে কখনও সফল হবে না। দুই দলই তাগুতী শক্তির ধারক ও বাহক উভয়কেই বর্জন করা উচিত।
বিএনপির সাথে আদর্শগত আকাশপাতাল পার্থক্য থাকা সত্বেও জোট করতে পারলে ইসলামী দলগুলোর সাথে অনেক ছাড় দিয়ে জোট করতে সমস্যা কোথায়?
তাই , জামায়াতের নিজেদের অস্তিত্ব ও নীতি ধরে রাখার জন্যই বিএনপিকে প্রয়োজন ।
এজন্য বিএনপির হরতালে বিএনপির কেউ না নামলেও শিবির নামে ।
কিন্তু তাদের নিয়ে বিএনপি ভালই বাটে পড়েছে । এখন বাইরের কথাও শুনতে হচ্ছে জামায়াতকে নিয়ে ।
জামায়াত যদি ৭১ এ তাদের অবস্থান নিয়ে ক্ষমা চাইতো , তাহলে আওয়ামী লীগ আর চেতনার খেলা খেলতে পারতো না ।
কি সমস্যা ছিল জামায়াতের - ইগো প্রবলেম ? কি ক্ষতি হত জামায়াতের ক্ষমা চাইলে ? বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমা করতে জানে ।
এখন যখন সব কিছুর রায় হয়ে কার্যকর হয়ে যাচ্ছে , তখন গোলাম আজম ''কেন ৪২ বছর আগে যুদ্ধ করার পক্ষে যান নি ''সেটা নিয়ে কৈফিয়ত দেওয়া হচ্ছে । বঙ্গবীরও নাকি জামায়াতের এই দূরদর্শিতার প্রশংসা করে ২-১ টা লাইনও বলেছিলেন ।
কিন্তু জামায়াত আজ যখন নিশ্চিন্হ হয়ে যাচ্ছে এবং চেতনাবাজরা যখন তাদের চেতনার ব্যবসার ফসল একের পর এক তুলেই যাচ্ছে ; তখন এই দূরদর্শিতার কথা কি কোন কাজে আসবে ? এটা তারা কেন ঘাদানিকের সময়ই স্টার্ট করে নি জোরে শোরে ?
জাহানারা ইমাম মারা যারার পরে তারা তো আওয়ামী লীগের সাথেই আন্দোলনে নেমেছিল তত্ত্বাবধায়কের জন্য বিএনপির সাথে কোয়ালিশনে থাকার পরও ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন