ইজতেমা বিরোধী এক হালুম মন্তব্য করেছে;
লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:৪২:৫৫ সন্ধ্যা
“যদি ইজতেমার দ্বারা মুসলিম উম্মার কোনো উপকার হত তাহলে এই সরকার ইজতেমা কখনই হতে দিতনা, তার মানে ইজতেমা দ্বারা মুসলিল উম্মার কোনো উপকার হয়না”
এই হালুমের মন্তব্য শুনে মনে হলো হালুম্গুলা কিছুদিন পর বলবে;
“নামাজ পরার দ্বারা যদি ইসলামের কোনো উপকার হত তাহলে এই সরকার নামাজ পড়তে দিতনা, তার মানে নামাজ দ্বারা ইসলামের কোনো উপকার হয়না”
ইজতেমার মাধ্যমে মানুষকে কালিমার দাওয়াত পৌছে দেয়ায় উদ্দেশ্য, আজ বিশ্ব মুসলমান কালিমা ভুলতে বসেছে, ১০ শতাংশ মানুষও কালিমার উদ্দেশ্য সমন্ধে সঠিক ভানে অবগত নয় ৷
যে মুসলমান কালেমার উদ্দেশ্যই জানেনা তাকে দিয়ে আপনি হুকুমত কায়েম করবেন কি কিভাবে !! আগে তাকে কালেমা সেখান তারপর হুকুমতের আমল করিইয়েন ৷ তাবলিগ ও ইজতেমা সে কাজটিই করে যাচ্ছে ৷
বিষয়: বিবিধ
২১৬৬ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু আমার এখানে হালুম বলা উচিৎ হলো?
ইজতেমা অবশ্যই আল্লাহর একটি নেয়ামত।
আল্লাহ তাদের মেহনতকে কবুল করুন। আমিন।
অনেক পোলা পাইন ও তো মেট্রিক অবসরে যায় শতে ১০ জন ছাত্র ও তো দেখিনা যে এরা পাক্কা তাবলিগের অনুসারি হয়ে গেছে।
সওয়াবের উদ্ধেশ্যে শুধু তিন জায়গায় ভ্রমন করা যাবে।মক্কা, মদিনা, মসজিদুল আকসা।
সারা বছর তাবলিগের সাথে কোন সম্পর্ক নাই শুধু আখেরি মুনাজাতে অংশ নিতে যাওয়া এইটা কোন ধরনের ইবাদত।
তাবলিগে আমি নিজে ও গিয়েছি কই উনাদের মুখে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন কথা নাই।
না অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে সরকারের রোষানলে পড়তে হবে তাইনা।
ইসলামে সুবিদাবাদ লোকিকতার কোন স্থান নাই।
হক এবং নাহকের পারাক এখানে।সত্য কথা বললে কে রাগ হবে গোস্বা হবে তাতে কিছু আসে যা না।
রাসুল সঃ এর সাথে আবু জেহেল আর মক্কার কাফের দের ধন্ধ এই জায়গায় ছিলো শুধু হকের উপরেই।
২য়ত লোক সমাগত বেশী হলে সেটা মকবুল হয়ে যায়। এটা কোন শরয়ী মানদন্ড নয়।
আপনার দেয়া নামকরনটা মন্দ না। গ্রহন করতে ও অসুবিধা নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
সবারই ভুল থাকতে পারে, সেটা ভুল জানলে আবার শুধরে নিতে হবে!
৬ নম্বরের ১ নম্বরে - কালেমার ব্যাখ্যায় সেখানে বলা হয়, সমস্ত বয়ানের সারমর্ম, এক কথায় – “ভাই সব কিছু আল্লাহ থেকে হয়, অন্য কোন কিছু থেকে কিছু হয় না”।
৬ নম্বরের ৬ নম্বরে বলা হয়, অনেক কিছুর মধ্যে, এটা – “তো ভাই আমাদের মেহনত করতে হবে দাওয়াতের, কেননা - দাওয়াত থাকবে তো দ্বীন থাকবে, দ্বীন থাকবে তো দুনিয়া থাকবে”।
প্রশ্ন তুললে অনেক তোলা যায়, ব্যাখ্যা করতে গেলেও আলোচনা বেড়ে যাবে, যারা প্রশ্ন তুলবে এবং যারা সে প্রশ্নের ব্যখ্যা করবে – তাদেরকে এক জায়গায়ই আসতে হবে সমাধানের জন্য।
এখানে কেউ প্রশ্ন তুললে কেমন হবে যে ১ নম্বরে বলা হলো সব কিছু আল্লাহ থেকে হয়, কোন কিছু থেকে কিছু হয় না। তবে ৬ নম্বরে এসে দাওয়াত থেকে দ্বীন হবে কেমনে? আর দাওয়াত না দিলে দ্বীন মিটে যাবে কেমনে? সব কিছু আল্লাহ থেকে হলে? তাহলে দাওয়াত কেন দিচ্ছে? দ্বীনও আল্লাহ থেকেই টিকে থাকার কথা না? ১ নম্বরের সূত্রে?
এরকম অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা-সমালোচনা থাকবে, আমি বলবো না বা বলার যোগ্যতা রাখি না এ ব্যাপারে ভুল কিংবা শুদ্ধের।
দাওয়াত দিতে হবে এতে মুসলিমদের কারই কোন দ্বিমত নাই, আমার দেখা যেখানে তারা দ্বিমত করে – তা হচ্ছে এরকম ইস্যুতে, ঘটনা বর্ণনায়, ব্যাখ্যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন