যুগের শ্রেষ্ঠ দায়ী মাওলানা সা'দ সাহেব ৷
লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:০৯:২৩ রাত
মাওলানা সা'দ কান্দলভি সাহেব; বয়স কতই হয়েছে কিন্তু আল্লাহ তার রহমত যেনো হজরতের জবানের মধ্যে ঢেলে দিয়েছেন ৷ মাওলানা ওমর ফালনপুরি (রহ) এর পর এমন মনমুগ্ধ বয়ান আর শুনা যায়নি ৷ দীর্ঘক্ষন বয়ান করেন মানুষ ধ্যানের সাথে শুনেই যান ৷ গতকাল সন্ধার পর হজরত আ'ম বয়ান রেখেছিলেন, ইনশা আল্লাহ আগামীকাল হেদায়েতের কথাও হজরত বলবেন ৷
হজরতের কথাগুলা একবার মন দিয়ে শুনলে দিলে গেথে যায়, হজরতের ঈমানী আলোচনা সমন্ধে আমার শ্রদ্ধেও উস্তাদ ক্বারী আব্দুল আমিল সাহেব একবার বলেছিলেন "সা'দ সাহেবের বয়ান যেনো একটা ঈমান মাপার মিটার, বয়ান শুনে নিজেই নিজের ঈমানের পরিমাপ করতে পারে৷"
হজরতের দাওয়াতি বয়ান একেবারেই অন্যরকম !! দাওয়াতি মেহনত যে এই উম্মতের জিম্মাদারী তা হজরত খুলে খুলে সমজিয়ে দেন ৷ মনযোগ সহকারে হজরতের বয়ান শুনার পর যে কোনো মানুষের বুজে এসে যায় দাওয়াতি মেহনত কি এবং কেনো ৷
মাওলানা সা'দ সাহেব হলেন দ্বিতীয় হজরত'জি মাওলানা ইউসুফ সাহেব (রহ) এর নাতি মানে মাওলানা ইলিয়াস সাহেব (রহ) এর ছেলের নাতি ৷ সা'দ সাহেবের পিতা হলেন মাওলানা হারুন সাহেব (রহ) ৷ আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত এক দায়ীর পরিবারে আরেক যুগ্য দায়ীকে পাঠিয়েছেন, সত্যিকার অর্থেই সা'দ সাহেব ইলিয়াস (রহ) এর যুগ্য উত্তরাধিকারী ৷
সা'দ সাহেবের আমল আখলাক কেমন এই গঠনায় বুজা যায়:-
"একদিন নেজামুদ্দিন মারকাজে এক সাথী জরুরতে টয়লেটে গেলেন সেখানে একজন লোক টয়লেট পরিষ্কার করছিলেন, লোকটি সাথিটিকে বললেন "ভাই তারাতারি জরুরত থেকে ফারেগ হয়ে ঘুমিয়ে যান, সকালে সা'দ সাহেবের বয়ান আছে তা শুনতে হবেনা !!" সাথীটি জরুরত সেরে ঘুমিয়ে গেলেন ৷ সকালে সা'দ সাহেবের বয়ান শুনতে মিম্বারের কাছে গিয়ে দেখেন রাতে যে লোকটি টয়লেট পরিষ্কার করেছেন সেই লোকটি বয়ান করছেন !! মানে তিনিই সা'দ সাহেব৷
আল্লাহ তা'আলা হযরতকে হায়াতুত তাইয়েবা দান করুক (আমিন) ৷
বিষয়: বিবিধ
১৭৮৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন