যারা আওয়ামিলিগের সাথে বিএনপিকে তুলনা করে তারা মিথ্যাবাদি। (পর্ব ১)
লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৪৯:১০ দুপুর
অনেক পণ্ডিত মসাই বলে থাকেন বিএনপি আওয়ামিলিগ এক। বিএনপি খারাপ আমি তা মানি। তবে আওয়ামিলিগের সাথে বিএনপির তুলনা করা চরম অন্যায়। যারা এমনটি করে থাকে তারা মিথ্যাবাদি, তারা ধোঁকাবাজ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান নামে শেখ মুজিব দেশবাসিকে ধর্ম নিষিদ্ধের একটা দলিল উপহার দেয়। যেটা কে বর্তমানে "বাহাত্তরের সংবিধান" বলা হয়।
৭৫ সালে মুজিবের মৃতুর পর জিয়া যখন রাষ্ট্র ক্ষমতা হাতে নেন তখন তিনি সংবিধানের শুরুতে "বিসমিল্লাহ" এবং দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেন।
এই কাজ টা করতে জিয়া কে কেও চাপ দেয়নি, কোন দল বা গুষ্টি আন্দোলন করে নি। যারা আজ আওয়ামিলিগ বিএনপি কে এক বলছে তাদের তখন জন্মই হয়নি।
এতে জিয়ার পার্থিব ভাবে কোন লাভ হয় নি। বরং তত্কালীন বাম নেতারা তার উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়েছিল।
বিশেষ করে ভারত এটা কে সহজে মেনে নেয়নি। এত কিছুর পরেও জিয়া শুধু নিজের বিশ্বাস থেকে সংবিধানে "বিসমিল্লাহ" এবং দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করে ছিলেন।
ভেবে দেখুন আজ হেফাজতের প্রথম দাবি "সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস পুণ স্থাপন করা" এত আন্দোলন করেও হাসিনা সরকার কে তা মানানো যাচ্ছে না। যা নতুন কিছু নয় আগেও ছিল।
কিন্তু জিয়া সম্পূর্ণ নিজের আগ্রহে এই কাজ গুলা করেছেন। কোন আন্দোলন বা দাবি অথবা ভোটের রাজনীতি ছাড়াই।
তাহলে কি করে বিএনপি আওয়ামিলিগকে এক বলা হচ্ছে ?? বিএনপির দোস থাকতেই পারে এজন্য বিএনপির সমালোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু আওয়ামিলিগের সাথে বিএনপি কে মিলানো যেতে পারে না। এটা চরম অন্যায়।
আর যদি বুজে শুনেই বিএনপি আওয়ামিলিগ কে এক বলা হয়ে থাকে তাহলে সন্দেহ ছাড়াই বলে দেয়া যায় তা মিথ্যা বলছে শুধু মাত্র রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য ধোকাবাজি করছে।
(চলবে)
বিষয়: রাজনীতি
১২৯১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
* বিএনপি পারে নি আওয়ামী লীগকে আওয়ামী লীগ কর্তৃক বাতিল করা একদা আওয়ামী লীগেরই চাওয়া কেয়ারটেকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য আওয়ামী লীগকে বাধ্য করাতে ২০১৩ তে
০ ২০০১ এ বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ব্রুট মেজরিটি পেয়েও নিজেদের সুবিধার জন্য কেয়ারটেকারকে বাতিল করতে পারে নি
* ২০০৮ এর নির্বাচনে এসে বছর দুয়েকের মধ্যেই আওয়ামী লীগ একদা নিজেদেরই দাবী কেয়ারটেকারকে বাতি করে দিয়ে নিজেদের জন্য সুবিধা করে নিয়েছে ।
০ বিএনপির হরতাল , অবরোধগুলো মানুষের জনজীবনে কোন প্রভাব ফেলতে পারে নি , দাবীও আদায় করতে পারে নি তারা ।
* আওয়ামী লীগের আন্দোলনগুলো দাবী আদায় না করে থামে নি
যুক্তি দেবেন কি?
সহমত-
তবে আপনার লিখাটা ভালো লাগলো ধন্যবাদ
তিন চার হাজার টাকার মতো !
আমি নিজে তার বেতনের কাগজ দেখেছি।
সেখান থেকে ১৫০ টাকা রাষ্ট্রপতির রিলিফ
ফান্ডে জমা দিতেন।
বাকি টাকাটা দিয়ে সংসার চালাতেন।
জিয়া খুব পরিমিত খাবার খেতেন।
তার বাড়ির হাঁড়িতে অতি সাধারণ খাবার হতো।
একটা তরকারি, একটা ডাল, একটা সবজি।
মন্ত্রীদের দেখেছি তার বাসায় খেতে বললে রাজি হতো না।
কারণ এতটুকু খেয়ে তো তাদের পোষাবে না।
রাষ্ট্রপতি জিয়া বলতেন, এর বেশি তো এফোর্ট করতে পারি না।
ঢাকার বাইরে গেলে ডিসিরা খাবারের আয়োজন করত।
সেখানেও কড়া নির্দেশ ছিল—একটা ভাজি, একটা ডাল,
একটা মাছ বা মাংস।
এর বেশি খাবার করা যাবে না।
একটা ঘটনা বলি :
তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল
মডেল স্কুলে পড়ত।
ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল আমার পরিচিত।
তার কাছে শুনেছি, কোকো তার কাছে পড়তে আসত।
তার পায়ে ছিল ছেঁড়া জুতো।
একদিন প্রিন্সিপাল কোকোকে বললেন, ওই
ছেঁড়া জুতো বদলাচ্ছো না কেন?
কোকোর উত্তর—বাবাকে বলেছিলাম, তিনি বলেছেন কয়েকদিন
পরে কিনে দেবেন।
একজন রাষ্ট্রপতি তার ছেলের এক জোড়া জুতো কিনতেও হিমশিম
খাচ্ছেন।
একটা পুরনো হাতঘড়ি ছিল তার।
ঘড়িটি খুব দামিও ছিল না।
অনেকে বলত, ওটা স্যার অনেক পুরনো হয়ে গেছে।
ওটা বাদ দিয়ে একটা ভালো ঘড়ি কিনুন।
কারণ ওটা আর আপনার হাতে মানায় না।
জিয়া শুনে শুধু মুচকি হাসতেন।
একবার এক জনসভায় ভাষণ দিতে যাবার পথে দর্শকদের ভিড়
ঠেলে তাদের সঙ্গে হাত মেলাতে মেলাতে এগুনোর সময়
অথবা জনসভায় ভাষণ দিয়ে ফেরার পথেও হতে পারে—ঠিক
মনে নেই আমার, ঘড়িটা জিয়ার হাত থেকে খুলে পড়ে যায়
অথবা খোয়া যায়।
সে জন্য তার যে কি আফসোস—ঘড়িটার শোক তিনি অনেক দিন
ভুলতে পারেননি।
বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরকালে প্রাপ্ত সব উপঢৌকন বা উপহার
সামগ্রী তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বলে গণ্য করতেন।
সেসব তিনি বঙ্গভবনে তোষাখানায় পাঠিয়ে দিতেন।
এমনকি তার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া যে অল্প
কয়েকবার তার সফরসঙ্গী হন, তিনিও যেসব উপহার
সামগ্রী পেয়েছেন, তা ব্যবহার করতে পারেননি।
তোষাখানায় জমা দিতে হয়েছে।
এই লোকটাকে সৎ বলব না তো কাকে বলব ?"
-
---(সৈয়দ আবদাল আহমেদের সাথে সাক্ষাতকারে শহীদ জিয়ার
প্রেস সচিব ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদি
দুই রহমান: বাংলাদেশের দুই সৈনিক।
একজন আপোষকামী। আরেকজন আপোষহীন।
একজন ধরা দিয়েছেন। আরেকজন বিদ্রোহ করেছেন।
একজন জনতাকে উত্তেজিত করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছেন। দেশ বাঁচাতে অন্যজন অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পরেছেন।
একজন নিজের লোকদের শরনার্থী বানিয়েছেন। নিজের লোক নিয়ে অন্যজন যুদ্ধের ময়দানে চললেন।
একজন চাইলেন পাকিস্তান কনফেডারেশন। অন্যজন বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করলেন।
একজন মুক্তদেশে ফিরেই ক্ষমতায় বসলেন। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করলেন অন্যজন।
একনেতা দেশ চালাতে গিয়ে চরমভাবে ব্যর্থ হলেন। রাষ্ট্র পুনর্গঠনে চুড়ান্তভাবে সফল হলেন অন্যজন।
একজন দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষ মারলেন। সবুজ বিল্পব দিয়ে ফসল ফলিয়ে অন্যজন খাদ্যে স্বয়ম্ভর করলেন।
একজন রক্ষী বাহিনী দিয়ে তিরিশ হাজার হত্যা করেছেন। সারাদেশ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করলেন অন্যজন।
একজন গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন জারী করলেন। বিলুপ্ত সেই গণতন্ত্র অন্যজন ফিরিয়ে দিলেন।
একজনের সময় দেশের টাইটেল হয় তলাবিহীন ঝুড়ি। ঝুড়িতে তলা লাগিয়ে অন্যজন করেছেন চাল রফতানী।
একজন রিলিফের সি-প্লেন আর হেলিকপ্টারে ঘুরে বেড়ান। সারা বাংলা পায়ে হাটলেন অন্যজন।
একজন কেবল চাটার দল নিয়ে দেশ চালিয়েছেন। অন্যজন সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত তৈরী করেছেন।
একজন নিজের কম্বলটাও খুঁজে পান নি। অন্যজন দেখিয়ে দিয়েছেন সততা কাহাকে বলে।
একজন হীরার মুকুট দিয়ে ছেলে বিয়ে দিলেন। নিজের জামা কেটে সন্তানদের পরিয়েছেন অন্যজন।
একজনের সময় টেবিলে অস্ত্র রেখে সব হয় তিহাত্তর পাশ। অন্যজন গণশিক্ষায় সাক্ষর করালেন বাংলাদেশ।
একজন ফারাক্কার অনুমতি দিয়ে উত্তরবঙ্গ বানালেন মরুভূমি। অন্যজন গ্যারন্টি সহ পানি আনলেন মরা পদ্মায়।
একজন মেনে চললেন সাউথ ব্লকের শাসন। সার্ক বানিয়ে দাদাগিরির গলা টিপে ধরলেন অন্যজন।
একজনের মৃত্যুর পরে নিজের দলই বলে ফেরাউনের পতন। অন্যজনের শাহাদতে সারা দেশ ও পৃথিবী হয় শোকে মুহ্যমান।
যেখনেই মুজিব ব্যর্থ, সেখানেই সফল হলেন জিয়া।
আওয়ামীলীগের দাবী, শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্ব ছিলো নাকি পর্বতের মতন। কিন্তু, জিয়াই সেই ব্যক্তি, যিনি মুজিবের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারতেন। ক্যাপ এবং সানগ্লাস না নামিয়ে মুজিবের সাথে কেবল সমানে সমান নয়, চলেছেন এক ডিগ্রি বেশী। আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এবং যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান রাজনৈতিক নেতা তাজউদ্দীন পর্যন্ত স্বাধীন দেশে মুজিবের হাতে যখন বিতাড়িত, তিরস্কৃত; সেই সময় মুজিবের সামনে জিয়ার স্মার্টনেস ছিল এমনি।
ষোলো বছরের কনিষ্ঠ হলেও কৃতিত্ব, অবদান ও যোগ্যতার বিচারে দ্বিতীয় জন প্রথম জনের চেয়ে এগিয়ে গেছেন অনেক বেশী।
পজেটিভ ক্ষেত্রে ১০০ নাম্বারে সাফল্যের স্কোরিং-
১। বিদ্যূৎ খাতঃ BAL (৭০%), BNP (২০%)
২। শিক্ষা খাতঃ BAL (৫৫%), BNP (৬৫%)
৩। যোগাযোগ খাতঃ BAL (২৫%), BNP (৭০%)
৪। কৃষি খাতঃ BAL (৬৫%), BNP (৬০%)
৫। সামরিক খাতঃ BAL (৫৫%), BNP (৪০%)
৬। দারিদ্রতা দুরীকরনঃ BAL (৪৫%), BNP (৩৫%)
৭। পরিবেশ উন্নয়নঃ BAL (২৫%), BNP (৬৮%)
৮। জননিরাপত্তাঃ BAL (৪৫%), BNP (৬০%)
৯। সন্ত্রাস নির্মূলঃ BAL (২৫%), BNP (৫৫%)
নেগেটিভ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার স্কোরিং-
১। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসঃ BAL (৮০%), BNP (৪৫%)
২। দূর্নীতিঃ BAL (৮০%), BNP (৭০%)
৩। জঙ্গীবাদঃ BAL (২০%), BNP (৬০%)
৪। নাস্তিকতার প্রসার ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ঃ BAL (৮৭%), BNP (৩০%)
৫। ধর্মহীনতা ও ইসলাম বিরোধীতাঃ BAL (৮০%), BNP (১৫%)
৬। অপসংস্কৃতির প্রসারঃ BAL (৮৫%), BNP (৩৫%)
৭। স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারঃ BAL (৮০%), BNP (৭০%)
৮। সরকারী প্রতিষ্ঠানের দলীয়করনঃ BAL (৭৭%), BNP (৪৫%)
এবার কিছু জিনিসের ব্যাখ্যা দিব। শিক্ষা খাতে বিএনপিকে ৭০ ও আম্লীগকে ২৫ দেয়ার কারন কি? আম্লীগের আমলে যদিও A+ এর ছড়াছড়ি দেখা গেছে-
কিন্তু এখানে সরকারের কোন ভুমিকা নেই। এটা শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও নীরিক্ষকদের খাতা দেখার ক্ষেত্রে বাড়তি উদারতার ফসল। অন্যদিকে নকল
বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য এই ক্ষেত্রে বিএনপিকে এগিয়ে রাখতেই হচ্ছে। অন্যদিকে বিদ্যূৎ খাতে আম্লীগের ব্যর্থতার চেয়ে সফলতার পাল্লাই ভারী।
এদিক দিয়ে তারা বিএনপির চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকবে। সন্ত্রাস দমনে উভয়েই ব্যর্থ- কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের অবদানে আম্লীগ নিরঙ্কুশভাবেই এগিয়ে থাকবে।
আমরা যদি overall চিন্তা করি- তাহলে বলতে হয় BAL বা BNP কেউ কারো চেয়ে কম যায় না। তবে এতকিছুর পরও আমি BAL এর চেয়ে BNP কে বেটার বলবো-
কারন আমি এখানে যতগুলো দিক নিয়ে আলোচনা করেছি তার মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় ধর্ম ও মূল্যবোধ। এই দুইটা জিনিসের সাথে অন্যান্য সকল উন্নয়ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
দূর্ণীতি-সন্ত্র াস-হত্যা-জঙ্গীব াদ এগুলোর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল ধর্ম তথা ইসলাম। সুতরাং যারা ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়- তাদের কাছে কখনোই সন্ত্রাস, দূর্নীতি ইত্যাদি অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ আশা করা যায় না। তাদের কাছে আর যাই হোক সুশাসন কামনা করা যায় না। যার ধর্ম নেই তার কোন মূল্যবোধ নেই, তার কোন চরিত্র নেই, অসৎ কাজ করতে তার কোন বাধা নেই, ঠিক তেমনি সৎ পথ অবলম্বন করার কোন বাধ্যবাধকতাও তার নেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন