কুরআন বোঝার জন্য ৭টি টিপস
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নীল বালক ২৪ জুন, ২০১৪, ০৫:১২:৩০ বিকাল
১। সবসময় নিজের নিয়্যাহ-কে(intention) পরিশুদ্ধ করুন।
২। আপনি আরবি ভাষা না বুঝে থাকলে কুরআনের একটি নির্ভরযোগ্য অনুবাদ ব্যবহার করুন।
৩। কখনো একটি আয়াতকে অন্যান্য আয়াত এবং সেই বিষয়ক হাদিস থেকে বিচ্ছিন্ন করে অধ্যয়ন করবেন না।
৪। রাসুল (স.) ও সাহাবিগণের ব্যাখ্যাকে অগ্রাধিকার দিন।
৫। কোন আয়াত বা সুরা নাযিলের পেছনে কোন বিশেষ কারন বা ঘটনা থাকলে সেদিকে খেয়াল রাখুন এবং তার প্রাসঙ্গিকতা উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন।
৬। ফিকহ ও আকীদা সম্পর্কিত আয়াতসমূহ সবসময় একজন আলিমের সাথে বসে স্পষ্ট করে নিন।
৭। কুরআনকে আরো গভীরভাবে বোঝার জন্য এর নীতি/তত্ত্বসমুহের (Uloom Al-Quran/Sciences of the Quran) বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করুন।
[ http://myummah.co.za/ হতে সংগ্রহীত ও অনূদিত ]
বিষয়: বিবিধ
৯৯৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ক. বিশ্ব - স্রষ্টা মানুষকে জ্ঞান ও চিন্তার ক্ষমতা এবং ভালো -মন্দ বাছাইয়ের প্রতিভাসহ নিজের খলীফার দায়িত্ব দিয়েছেন।
খ. মানুষকে তিনি অজ্ঞানতার অন্ধকারে ছেড়ে দেননি। ইন্দ্রিয় ,বুদ্ধি ,ইলহাম ও অহীর মাধ্যমে জ্ঞান দানের ব্যবস্থা করেছেন । তাই প্রথম মানুষকেই রাসূল হিসেব পাঠিয়েছেন । তাঁকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন তারই নাম ইসলাম ।
গ. প্রথম মানুষ থেকেই জানান হয়েছে যে ,সমস্ত সৃষ্টির উপর আল্লাহরই কর্তৃত্ব রয়েছে । সবার বিধানদাতা একমাত্র তিনিই । কেউ স্বাধীন নয় ,আনুগত্য পাওয়ার অধিকার একমাত্র তাঁরই । মানব দেহ সহ সবার জন্যই তিনি আইন রচনা করেন এবং তা নিজেই জারী করেন ।
ঘ. সমগ্র সৃষ্টিজগতে ব্যবহার করার অধিকার একমাত্র মানুষকেই দেয়া হয়েছে এবং বস্তুজগতকে ব্যবহারের যোগ্য একটি দেহতন্ত্র এজন্যই তাকে দান করা হয়েছে।
ঙ. বিশ্বজগত ও মানব দেহকে ব্যবহার করার ব্যাপারে মানুষকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়নি ,স্বায়ত্বশাসন দেয়া হয়েছে মাত্র।
চ. এ স্বায়ত্বশাসনটুকুও কর্মসম্পাদনের ব্যাপারে দেননি , কর্মের ইচ্ছা ও চেষ্টার ক্ষেত্রে মাত্র দিয়েছেন।
ছ. নবীর মাধ্যমে প্রেরিত বিধানকে মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়নি। ইচ্ছাশক্তি ও চেষ্টা সাধনাকেস্রষ্টার বিধান অনুযায়ী ব্যবহার করলে দুনিয়াতে শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি, আর অন্যথা হলে দুনিয়ায় অশান্তি ও আখিরাতে শাস্তি হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
জ. মানুষের পার্থিব জীবন আখিরাতের তুলনায় ক্ষণিকমাত্র এবং পার্থিব জীবনের ফলাফলই আখিরাতে দেয়া হবে। তাই দুনিয়ার জীবনটা পরীক্ষা মাত্র। প্রতি মুহূর্তেই এ পরীক্ষা চলছে।
ঝ. এ পরীক্ষায় মানুষ কি কারণে ফেল করে ? বস্তুজগতের প্রতি বস্তুজ্ঞান সর্বস্ব ও নীতিজ্ঞান বর্জিত দেহের তীব্র আকর্ষণ রয়েছে। নাফস বা দেহের (বস্তুগত অস্তিত্ব) দাবী ও রুহের (নৈতিক অস্তিত্ব ) স্বাভাবিক সংঘর্ষে মানুষের পরাজয় হলেই সে পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়।
ঞ. দুনিয়ায় মানুষের কর্মের শুধু বস্তুগত ফলই প্রকাশ পায়, নৈতিক ফল সামান্যই দেখা যায়। তাই নৈতিক জীব হিসাবে মানুষকে পরকালেই কর্মের নৈতিক ফল দেয়া হবে ।
ট. রুহ বা নৈতিক সত্তা বা প্রকৃত মানুষ যদি জগৎ ও জীবন এবং দুনিয়া ও আখিরাত সম্পর্কে জ্ঞান পেতে চায় তাহলে বস্তুগত জ্ঞান মোটেই যথেষ্ট নয় । অহীর মাধ্যমে তাকে এমন কতক মৌলিক জ্ঞান পেতে হবে যা ঈমানের (অদৃশ্যে বিশ্বাস ) মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব ।
ঠ. জীবন সমস্যার মোকাবেলা করে জীবনকে সঠিক পথে চালাবার বাস্তব শিক্ষা দেবার জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসুল পাঠানো হয়েছে।
ড. সব নবীর দ্বীনই (আনুগত্যের নীতি-- আল্লাহর আনুগত্য ) এক ছিল অবশ্য সমাজ বিবর্তনের প্রয়োজনে তাঁদের সবার শরীয়াত এক ছিল না ।
ঢ. মানব সমাজের পূর্ণ বিকাশের যুগে সর্বশেষ রাসূল পাঠানো হলো। মূল দ্বীনের চিরন্তন শিক্ষা ও পূর্নাঙ্গ শরীয়াত ,কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যেই রয়েছে ।
ণ. পূর্ববর্তী সব কিতাব বিকৃত হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক ছিল । সর্বশেষ কিতাব চিরস্থায়ী থাকবে ।
ত. এক স্রষ্টা তাঁর প্রিয় মানব জাতির জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিধান বা ধর্ম পাঠাননি। একই মূল বিধান (স্রষ্টার আনুগত্য -ইসলাম ) প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে পূর্ণাঙ্গরূপে মুহাম্মদ (সা) -এর নিকট প্রেরিত হয়েছে।
থ. নবীগণ তাঁদের দায়িত্ব যথাযথই পালন করেছেন। কিন্তু যখনই দুটো শর্ত পূর্ণ হয়েছে তখনই ইসলামী বিধান বিজয়ী হয়েছে--- একদল যোগ্য লোক তৈরী হওয়া ও জনগণ এর সক্রিয় বিরোধী না হওয়া --- এ দুটো শর্ত একত্র না হলে বিজয় অসম্ভব ।
দ. মুহাম্মদ (সাঃ)- কে সর্ব যুগের জন্য মানব জাতির উৎকৃষ্টতম আদর্শ হিসাবেই পাঠানো হয়েছে এবং একমাত্র তাঁর অনুসরণের মাধ্যমেই আল্লাহর সন্তুষ্টি ,পার্থিব সাফল্য ও পরকালীন পুরস্কার পাওযা সম্ভব ।
ধ. সকল নবী ও রাসূলকে অনুসরণ করার একমাত্র উপায় হলো মুহাম্মদ (সাঃ)- এর অনুসরণ।
ন. আল্লাহ পাক তাঁর দ্বীন ও শরীয়াতকে মুহাম্মদ (সাঃ)- এর মাধ্যমে পূর্ণ করায় আর কোন রাসূল বা পাঠাবার প্রয়োজন রইল না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন