চোরে চোরে মাসতুতো ভাই >>>>> আওয়ামীদের ভারতপ্রীতী (ভারতীয় পুলিশের বেশির ভাগ অফিসার অযোগ্য, অলস ও দুর্নীতিগ্রস্ত। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন) আওয়ামীমনারা দুঃখ পাইলে আমার কিছু করার নাই।

লিখেছেন লিখেছেন মিষ্টি স্বপ্ন আরিফ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:১৮:৫৫ দুপুর



ভারতীয় পুলিশের বেশির ভাগ অফিসার অযোগ্য, অলস ও দুর্নীতিগ্রস্ত। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সোমবার ‘ইন্ডিয়া : মোস্ট পুলিশ অফিসার্স আর আনফিট টু সার্ভ ইজ নাউ এন অফিসিয়াল পজিশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করে।

হংকংভিত্তিক কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের দণিাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো রিপোর্টে পুলিশ মহাপরিচালক (ডিজিপি) কে এস বালসুব্রামানিয়ান বলেন, সাব-ইন্সপেক্টর পর্যায়ের বেশির ভাগ পুলিশ অফিসার দুর্নীতিগ্রস্ত, দায়িত্ব পালনে অযোগ্য এবং ভয়াবহ রকমের অলস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুশীল সমাজের প থেকে এ ধরনের অভিযোগ আগেও উত্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। সাধারণ মানুষও মনে করে পুলিশ অফিসাররা ইউনিফর্ম পরিহিত দু®কৃতিকারী। কিন্তু এখন রাজ্য পুলিশের প্রধান ব্যক্তি এ নিয়ে রিপোর্ট পেশ করায় এটাই প্রমাণিত হলো যে সুশীল সমাজ এবং জনসাধারণের ধারণাটি নিছক অনুমান-নির্ভর ছিল না, বরং নিরেট সত্য।

কেরালা পুলিশ প্রধানের এই রিপোর্ট সাধারণভাবে পুরো ভারতের েেত্র প্রযোজ্য বলে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়। ভারতে পুলিশ অফিসারের সংখ্যা ১৫ লাখ, ৮৫ হাজার ৩৫৩ জন। ফলে এসব সদস্য দেশের সেবা করতে অযোগ্য প্রমাণিত হলে তা যেকোনো দায়িত্বশীল সরকারের জন্য বিব্রতকর খবর।

এতে জানানো হয়, ভারতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অফিসাররা যে আনফিট তা কোনো খবর নয়। তবে যা দুঃখজনক, তা হলো বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের অনীহা।

কেরালার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোদিয়েরি বালকৃষ্ণান একবার বলেছিলেন যে রাজ্যে পুলিশ কনস্টেবলদের মধ্যে দুর্নীতির হার অত্যন্ত বেশি, অবিলম্বে এর সুরাহা করতে হবে। তিনি কেরালার পুলিশ কনস্টেবলদের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছিলেন। এর পরপরই সাবেক ডিজিপি জ্যাকব পুনস রাজ্যের হাইকোর্টে একটি অ্যাফিডেভিট দাখিল করে জানান, ৬০৫ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত চলছে। এসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছিল। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস পুলিকেশি, মহাপরিদর্শক তমিন থ্যাচানকেরি, উপমহাপরিদর্শক এস শ্রীজিতের মতো অফিসারের নাম ছিল এই কুখ্যাত তালিকায়।

এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন জানায়, ভারতের মতো দেশগুলোতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে পরিকল্পিতভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত, অযোগ্য ও অত্যন্ত মনোবলহীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকিয়ে রাখা হয়। মতা গ্রহণকারী সরকারগুলোই চায় না অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো ভারতেও পুলিশ যোগ্য হোক, স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করুক। কারণ কেবল পুলিশ সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করলেই সরকারগুলোর দুর্নীতি ও অপরাধভিত্তিক কর্মকাণ্ডের রাশ টেনে ধরা সম্ভব।

বিষয়: বিবিধ

১০১৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

182513
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪১
সজল আহমেদ লিখেছেন : ভাল পোষ্ট।
182682
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৫
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ঠিক বলেছেন ভাই
182801
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০১
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : তোরা আমারে মাইরালা না হলে রেন্ডিয়া পাঠাইয়া দে।
182876
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বাংলাদেশ পুলিশ এর অবস্থা তার চাইতেও খারাপ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File