দৈনিক ইনকিলাব: একটি মুনাফিক পত্রিকা
লিখেছেন লিখেছেন মিষ্টি স্বপ্ন আরিফ ১৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:৪২:৩১ দুপুর
এমন কিছু ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠী সব যুগে বিদ্যমান। যারা এ কূল ও কূল দুই-ই রক্ষা করতে গিয়ে সব-ই হারায় অথচ তারা মনে করে যে তাদের অবস্থান সুদৃঢ়। কিন্তু তারা প্রত্যেকের কাছেই ফেলনার। এর সর্বশেষ উদাহরণ দৈনিক ইনকিলাব। জোট আমলের আগে ইনকিলাব তাদের সর্বোচ্চ মিত্র জামায়াতের সাথে সম্পর্ক রেখে চলেছে। আমি অনেক শুনেছি জামায়াতে ইসলামীর নেতা সাঈদী সাহেব তার ওয়াজে ইনকিলাব কেনার জন্য মানুষের কাছে অনুরোধ করছেন কিছু কিছু জায়াগায় জোর তাগিদ দিচ্ছেন। এই ইনকিলাবই আবার জোট শাসনের সময় তার মিত্রদের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটায় যা তৎকালীন বিরোধীদের খোরাক যোগায়। এইখানে অবশ্যই বাহাউদ্দিনের দিল্লি যাতায়াত ও টাকা লেনদেন সংক্রান্ত অনেক কথা আসে যা এখনকার বিষয় নয়।
কিন্তু তাদের চরিত্র ঠিকই আগের মতই রয়ে যায়, এবার তাদের নব্য মিত্র আওয়ামী লীগের সমালোচনা শুরু করে (তা অবশ্য জামায়াতের মত অত প্রকট করে নয়) সখ্য করে হেফাজতের সাথে। বর্তমান ইনকিলাবে হেফাজতের তেল বাদে অন্য কোন কিছু নেই। মাঝে মাঝে দুয়েকটা জামায়াতের খবরও দেখি। সময়মত হেফাজত প্রশ্নেও যে ডিগবাজী দিবে তা তাদের ইতিহাস বলে।
সর্বশেষ সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ভারতীয় বাহিনীর অংশগ্রহণ সংক্রান্ত একটা রিপোর্টেই- বেচারাদের তালা মেরে দিল। এ বিষয়ে ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়েছে। তাদের বক্তব্য 'এরকম স্পর্শকাতর বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন।' বুঝলামনা এটা কেমন হল- যদি রিপোর্ট সঠিক হয় তাহলে তাদের ক্ষমা প্রার্থনা তাদের পুরনো সুবিধাবাদী চরিত্র-ই স্মরন করিয়ে দেয় আবার যদি রিপোর্টটি সঠিক না হয় তবে তাদের আসলে সাংবাদিক বা স্বাভাবিক মানুষই বলা যায় না। আবার এরা নিজের ইসলামের মুখপাত্র দাবী করে। সত্যিই সেলুকাস।
অনেকেই বলে যে আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি বন্ধ কিন্তু নয়া দিগন্ত চালু কেন বা এরা কি কোন আপোষে আছে কিনা। এ বিষয়ে আমার মনে হয় নয়া দিগন্ত কোন খবর যথাযথ প্রমাণ ছাড়া অন্তত প্রধান খবর করে না এবং সেখানে সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব বজায় থাকে।
হয় ইনকিলাবকে তাদের সকল বদচরিত্র ত্যাগ করে পুনরায় নতুন করে শুরু করতে হবে তানা হলে ইসলাম প্রিয় মানুষদের উচিত তাদের ত্যাগ করা।
বিষয়: বিবিধ
১৫০২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন