কারে শুধাই মনের দুঃখ
লিখেছেন লিখেছেন মিষ্টি স্বপ্ন আরিফ ১৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:৪০:০৯ বিকাল
কদিন আগের কথা। কোন এক কারণে কাকতালীয়ভাবেই সাক্ষাৎ হলো আরিফ হায়দারের সাথে। পরিচয় দিতে গেলে বলতে হবে উনি শিল্পকলা একাডেমীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।তার বিশাল সাদাকালো মোছ ও মাথায় আধপাকা চুলের পাখির বাসার মতো স্থুপ। কথা হলো বেশ খানিকটা। বয়সে আমার চেয়ে প্রায় আড়াইগুন হলেও। আংকেল বলে সম্বোধনটা তিনি মেনে নিতে পারেননি। আগত্যা বাবার বয়সী লোককে ভাই বলে ডাকতেই ক্ষান্ত হলেন। তার যুক্তি তিনি বেশী বয়সী নন।
যেহেতু তিনি বিনোদন নিয়েই ব্যাস্ত তাই আমি সিনেমার হালচাল নিয়েই আলোচনার চেষ্টা করলাম।বাংলাদেশের সিনেমা কেন পিছিয়ে আছে? এর উত্তর উনি সরাসরি দেননি। আমিই বলেছিলাম যেহেতু সিনামাগুলো মানসম্মত গল্প বা রুচিসম্মত দৃশ্যের অভাব। অভিনেতারাও দক্ষতার দৌড়ে অনেক দূরে।কিন্তু এসব বিষয় নিয়ে তিনি মোটেও আগ্রহ দেখালেন। তারপরে আমি সিনেমার অশ্লীলতা নিয়ে তুললাম। এ অশ্লীলতায় গা ভাসিয়ে ভেসে যাচ্ছে অগণতি যুবক-যুবতী। একারণে ভদ্র রুচির মানুষরা হল ত্যাগ করেছেন বেশ শক্তপোক্তভাবেই। আর বখাটের একটা নিয়মিত চলাচল হয় সিনেমা হলগুলোতে। এ ব্যপারে তার দর্শণ শুনেই হা হলাম। বললেন, শোনো, আরিফ, একটা ইংলিশ সিনেমা দেখছো?
আমি বললাম: হ্যা অনেক সিনেমাই দেখেছি, কিন্তু আপনি কোনটার কথা বলছেন?
এটা সিনেমার কাহিনী শোন: নিয়মিত একটা ট্রেন নদীর পাশ দিয়ে যেত। নদীর পাড়ে এক রমণী নিয়মিত গোছল করত নগ্ন দেহে। এক যুবক যাত্রী নিয়মিত তাকিয়ে থাকতো কিছুর প্রত্যাশায়। রমনীটি যখন তার বসন (বস্ত্র) বুক থেকে নামাতো ঠিক তখনি ট্রেন সেই স্থান পার হয়ে যেতো। এভাবে কয়েকদিন কাটলো। যুবক তার লোভাতুর দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে থাকে কিন্তু রমনীর দেহ দর্শন আর হয় না। একদা যুবক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, 'ট্রেনটি কি একদিনও একটু লেট করবে না???'
কারে কী বলি????
বিষয়: বিবিধ
১৪১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন