যুদ্ধাপরাধীদের সাহসী প্রহরীর সাথে কিছু আলাপচারিতা...........
লিখেছেন লিখেছেন মিষ্টি স্বপ্ন আরিফ ১৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:২৩:২৪ বিকাল
চাকরীরর সুবাদে অনেক লোকের সাথে মিশি। পুরানো ঢাকায় চাকরী করি। অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে গত কয়েকদিনে, অনেকের সাথে আলোচনা হয়েছে। অনেক ভালো লেগেছিলো আবার অনেক খারাপও লেগেছিলো। ভালো এই ভেবে যে পৈশাচিকতা মিডিয়ার বদৌলতে আমরা জানলে বা শুনলেও এর মধ্যে কিছু অজানা থাকে যা হয়তো সব হারানোর পর কিছু জানা যাবে হয়তো সবই লুকায়িত থাকবে।
গতকাল (১২/০১/২০১৪) এক কারারক্ষীর সাথে আলোচনায় জানলাম তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী অভিযোগে অভিযুক্তদের ব্যবহার এবং আচার-আচরন সম্বন্ধে। এক কথায় বাকরূদ্ধ। আমি নই বক্তা।
প্রশ্ন করেছিলাম আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল কিনা। উত্তরে বলল- দেখা মানে! অনেক কথা হয়েছে ফাঁসির দিনও আমি সেখানে ছিলাম।
প্রশ্ন করলাম কেমন লোক ছিরলন তিনি? উত্তরে সে বলল: অনেক ভালো লোক।
তা সে ভালোক আপনার সামনে ফাঁসি দিল খারাপ লাগেনি। উত্তর: হ্যা, খারাপ লাগছে কিন্তু কিছু করার নাই। তবে সাবার মধ্যে সাঈদীসাব সবচেয়ে ভাল। (নিজেই সাঈদী সাহেবের কথা আগ বাড়িয়ে উল্লেখ করেন)
কিন্তু সবার ব্যাপারে বারবার প্রশ্ন করলাম এবং সে প্রত্যেকবার জামায়াত-শিবিরের প্রশংসায় পঞ্চমূখ। নানান প্রশংসা। আরো কয়েকজনের সাথে একান্তে আলাপ করেছি কারনদুয়েকজন সাথে আমার মোটামুটি পরিচয় আছে ব্যক্তিগতভাবে। তাদের বক্তব্য বিস্তারিত সময় পেলে লিখব।
সত্যি অবাক হলাম এই ভেবে যে অনেক মানুষই এখনো এদের মনে মনে একান্তভাবে সাপোর্ট করে। সত্যি এটা অন্য কারো বেলায় নাই। অন্য রাজনৈতিক নেতাদের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে জানালো কেউই জেলে খারাপ ব্যবহার করে না। কিন্তু শিবিরের ছেলে দেখলে মনে হয় একেকজন ফেরেশতা (আমার নয় ঐ ব্যক্তির কথা)।
বুঝলাম আন্দোলন চলবেই কারণ এটা আল্লাহর জিম্মা কোনো মানুষ এটা থামাবার শক্তি রাখে না। এখন সময় কম বিস্তারিত আরেক দিন লিখব। কাজে এখণই ব্যাস্ত হয়ে পড়ব।
বিষয়: বিবিধ
১১৯০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের হারানোর কিছু নাই কারন আমরা বেঁচে তাকলেও লাভ মরতে পারলে আরও বেশী লাভ।
যাজ্জাকাল্ল খায়ের
ধন্যবাদ
ও তার সন্ধানে কোন খানে বল আমি যাই৷"
মন্তব্য করতে লগইন করুন