একটি বাস্তব অবিশ্বাস্য দৃশ্য দেখলাম .....। (আজকে মনে পড়লো এই অবিশ্বাস্য ঘটানটি তাই আবার রিপোস্ট দিলাম))
লিখেছেন লিখেছেন মিষ্টি স্বপ্ন আরিফ ১০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৫২:৫৭ দুপুর
এই পোস্টের উপযুক্ত শিরোনাম আসলে যে কি হবে হবে সেটা আমার তেমন একটা বুঝে আসেনি। তাই উপরের নামটি দিলাম। ঘটনাটি মনে উঠলে এখনো আমি এর ব্যাখ্যা খুঁজে বেড়াই। ঐদিন যা দেখেছিলাম তা কখনো ভুলবার নয়। নির্মম, দুঃখের, বাকরুদ্ধকর এক কথায় অকল্পনীয়। নিজে না দেখলে হয়তো বিশ্বাস-ই করতাম না।
কয়েকদিন জ্বরে ভোগার পর অনেকটা জোর করেই হাসপাতালে গেলাম। নদীর এপার থাকি ওপারেই হাসপাতাল। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ডাক্তার দেখিয়ে পথ্য নিয়ে বাসায় ফিরছি। জরুরী বিভাগের পাশ দিয়ে হেটে বেরুচ্ছি।বাবুবাজার ব্রীজ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে যে গেটটি পরে সেটি থেকে। রাস্তার পাশ দিয়ে হাসপাতালের ড্রেন লাইন।যথারীতির অব্যবস্থাপনার চিত্র ঢাকনা নেই। কিছুদুর যেতেই দেখলাম কিছু মানুষের জট। জটলার মানুষজন ইহ!, এ্যাক! ইত্যাদি ঘৃণাসূচক বাক্যবান ছুড়ছে। ক্যেতুহলী হয়ে এগিয়ে গেলাম। তারপর যা দেখলাম-
এক মহিলা তার ছেলেকে পাশে রেখে ড্রেনের দুই পাশে দুই পা রেখে বসে আর তার পাশেই শুধৃমাত্র আন্ডারওয়্যার পড়া একটা দুপেয়ে জানোয়ার কিসব বিড় বিড় করছে আর কনডেন্স মিল্কের কৌটায় করে ড্রেনের ময়লা পানি নিজের মুখে ঢালছে। দু এক কৌটা মহিলার মুখেও দিল। মহিলাও বেশ গিলে ফেলল। এরপর ব্যাক্তিটি কৌটার সাথে যে ময়লা এসেছে তা নিজের মুখে নিয়ে থুথু মেরে মহিলার মুখে নিক্ষেপ করল আর মহিলাও গলধঃকরন করল। ওদিকে ব্যাক্তিটি বিড় বিড় করেই চলছে মাঝে মাঝে কালিমা আউড়াচ্ছে। একসময় মহিলার মাথায় সেই পানি ঢালতে লাগলো। মহিলার পর তার ছেলেকে নিয়েও সেই মাহাপবিত্র পানি ঢাললো তার গায়ে। অবুঝ ছেলে তেঁদে দিল। কিছু মহিলা ছেলে টেনে নিয়ে আসতে চাইলেও পারল না কারণ ঐ ভন্ড জানোয়রটার হাতে বড় একটা রডের মতো ছিল যা দিয়ে সে সবাইকে ভয় দেখাচ্ছিল আর ছেলের মা-ও তার ছেলেকে টেনে নিয়ে পানি ঢালতে দিল।
সেই সময়ে আমি যে অনুভব করছিলাম তা আজ ভষায় প্রকাশ করার মত শব্দ আমার ভান্ডারে নেই। ঘৃণায় শরীর রি রি করছিল। হতবাক করল বিবেকে। কি করার আমার তাও ভেবে পাইনি। প্রশাসনের কেউই এগিয়ে আসেনি। দুই একজন ব্যক্তি একটু আধটু বললেও কেউই প্রতিকার করা পন্থা পায়নি যেন। এদিকে লোকের মুখে শুনলাম এই ব্যক্তি কয়েকদিন আগে একজনের কাছ থেকে মোবাইল রেখে দিয়েছে। আরো কিছু প্রতারণার কথা শুনলাম।
মহিলাটি ঐ ভন্ডের কাছে এসছিলো চিকিৎসার জন্য!
বিবেকের নাড়া খেলাম প্রচন্ডভাবে। কোন সভ্যতায় আমাদেন বাস? কোন বিশ্বাসের বলে এমনটা হয়? কেন আমরা নির্বাক কিছুই কি করার নেই?
কি জানি, এর উত্তর আজো খুঁজি।
এই পোস্টের উপযুক্ত শিরোনাম আসলে যে কি হবে হবে সেটা আমার তেমন একটা বুঝে আসেনি। তাই উপরের নামটি দিলাম। ঘটনাটি মনে উঠলে এখনো আমি এর ব্যাখ্যা খুঁজে বেড়াই। ঐদিন যা দেখেছিলাম তা কখনো ভুলবার নয়। নির্মম, দুঃখের, বাকরুদ্ধকর এক কথায় অকল্পনীয়।
কয়েকদিন জ্বরে ভোগার পর অনেকটা জোর করেই হাসপাতালে গেলাম। নদীর এপার থাকি ওপারেই হাসপাতাল। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ডাক্তার দেখিয়ে পথ্য নিয়ে বাসায় ফিরছি। জরুরী বিভাগের পাশ দিয়ে হেটে বেরুচ্ছি।বাবুবাজার ব্রীজ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে যে গেটটি পরে সেটি থেকে। রাস্তার পাশ দিয়ে হাসপাতালের ড্রেন লাইন।যথারীতির অব্যবস্থাপনার চিত্র ঢাকনা নেই। কিছুদুর যেতেই দেখলাম কিছু মানুষের জট। জটলার মানুষজন ইহ!, এ্যাক! ইত্যাদি ঘৃণাসূচক বাক্যবান ছুড়ছে। ক্যেতুহলী হয়ে এগিয়ে গেলাম। তারপর যা দেখলাম-
এক মহিলা তার ছেলেকে পাশে রেখে ড্রেনের দুই পাশে দুই পা রেখে বসে আর তার পাশেই শুধৃমাত্র আন্ডারওয়্যার পড়া একটা দুপেয়ে জানোয়ার কিসব বিড় বিড় করছে আর কনডেন্স মিল্কের কৌটায় করে ড্রেনের ময়লা পানি নিজের মুখে ঢালছে। দু এক কৌটা মহিলার মুখেও দিল। মহিলাও বেশ গিলে ফেলল। এরপর ব্যাক্তিটি কৌটার সাথে যে ময়লা এসেছে তা নিজের মুখে নিয়ে থুথু মেরে মহিলার মুখে নিক্ষেপ করল আর মহিলাও গলধঃকরন করল। ওদিকে ব্যাক্তিটি বিড় বিড় করেই চলছে মাঝে মাঝে কালিমা আউড়াচ্ছে। একসময় মহিলার মাথায় সেই পানি ঢালতে লাগলো। মহিলার পর তার ছেলেকে নিয়েও সেই মাহাপবিত্র পানি ঢাললো তার গায়ে। অবুঝ ছেলে তেঁদে দিল। কিছু মহিলা ছেলে টেনে নিয়ে আসতে চাইলেও পারল না কারণ ঐ ভন্ড জানোয়রটার হাতে বড় একটা রডের মতো ছিল যা দিয়ে সে সবাইকে ভয় দেখাচ্ছিল আর ছেলের মা-ও তার ছেলেকে টেনে নিয়ে পানি ঢালতে দিল।
সেই সময়ে আমি যে অনুভব করছিলাম তা আজ ভষায় প্রকাশ করার মত শব্দ আমার ভান্ডারে নেই। ঘৃণায় শরীর রি রি করছিল। হতবাক করল বিবেকে। কি করার আমার তাও ভেবে পাইনি। প্রশাসনের কেউই এগিয়ে আসেনি। দুই একজন ব্যক্তি একটু আধটু বললেও কেউই প্রতিকার করা পন্থা পায়নি যেন। এদিকে লোকের মুখে শুনলাম এই ব্যক্তি কয়েকদিন আগে একজনের কাছ থেকে মোবাইল রেখে দিয়েছে। আরো কিছু প্রতারণার কথা শুনলাম।
মহিলাটি ঐ ভন্ডের কাছে এসছিলো চিকিৎসার জন্য!
বিবেকের নাড়া খেলাম প্রচন্ডভাবে। কোন সভ্যতায় আমাদেন বাস? কোন বিশ্বাসের বলে এমনটা হয়? কেন আমরা নির্বাক কিছুই কি করার নেই?
কি জানি, এর উত্তর আজো খুঁজি।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন