পুত্রের অপরাধে পিতার শাস্তি!! ৯০’র এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের কান্ডারী ‘চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বহিস্কারদেশ’ তুলে নেয়া উচিৎ

লিখেছেন লিখেছেন জিনান মামনি ১১ মে, ২০১৪, ০৩:০৫:১৫ দুপুর

পুত্রের অপরাধে পিতার শাস্তি!! ৯০’র এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের কান্ডারী ‘চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বহিস্কারদেশ’ তুলে নেয়া উচিৎ

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রী চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী আপাদমস্তক একজন জাতিয়তাবাদী নেতা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যর পর স্বৈরাচার এরশাদ যখন ক্ষমতা দখল করে রাজনৈতিক দল গঠন করেন তখন বিএনপি’র জাদরেল নেতারা সব খালেদা জিয়াকে ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। দলের চরম সেই দুর্যোগকালীন মুহুর্তে যে কয়েকজন সিনিয়র বিএনপি নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে অতন্দ্রপ্রহরীর ন্যায় রাজনৈতিকভাবে সংগ প্রদান করেছিলেন তাঁদের মধ্যে চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী অন্যতম।৯০’র স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সামনের কাতারে রাজপথে সরব উপস্থিতি ছিলো চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ।ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি একজন সৎ ও সংস্কৃতিমনা সহজ সরল ও ভদ্র মানুষ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। ২০০৭ সালে বিএনপি’র বাঘা বাঘা নেতারা যখন সেনা সমর্থিত কেয়ারটেকার সরকারের ফাঁদে পা দিয়েছিলো তখনও চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন অবিচল । কিন্তু তাঁর মতো আপাদমস্তক জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী একজণ নেতাকে একটি ঠুনকো অজুহাতে দল থেকে বহিস্কার করা হয় ।তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁর ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী ( অনেকেই ইরাদ সিদ্দিকীর মানষিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন)সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্ব সম্পর্কে কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ে অভিযোগ উত্থাপণ। পিতা হিসেবে তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তখন সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত থাকলেও ছেলের বক্তব্যের সাথে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলো না, শুধু তাই না তিনি ছেলের বক্তব্যের সাথে একমতও ছিলেন না। কিন্তু বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্ব ইরাদ সিদ্দিকীর সমস্ত বক্তব্যের দায় তাঁর উপরে চাপিয়ে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীকে কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে দল থেকে বহিস্কার করেন।কিন্ত আজ পর্যন্ত প্রবীণ এই রাজনীতিক তার বিরূদ্ধে এ ধরনের রাজনৈতিক অবিচার করা সত্ত্বেও দলের বিরূদ্ধে বা খলেদা জিয়াকে নিয়ে কোনো অযাচিত মন্তব্য করেননি বরং বিভিন্ন টিভি টকশোতে তিনি বিএনপির পক্ষে অবস্থান নেন। অথচ বিভিন্ন সময়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সম্পর্কে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগকারী দলছুট নেতাদের বিষয়ে বিএনপি রহস্যজনকভাবে বিভিন্ন সময়ে নীরব অবস্থান নিয়েছে। এমনকি বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অনেক নেতা বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেও দলে তাদের অবস্থান অত্যন্ত সুসংহত রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তাছাড়া অনেক নেতা সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে যারা দিনে বিএনপি’র বিপ্লবী নেতা সাজেন আবার রাতে আওয়ামী লীগের সাথে আন্দোলনকে ব্যর্থ করার শলাপরামর্শ করে তাদের অবৈধ অর্থবিত্ত রক্ষায় সচেষ্ট থাকেন, ফলশ্রুতিতে খালেদা জিয়া শত চেষ্টা করেও আওয়ামি লীগ সরকারের বিরূদ্ধে গতিশীল কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছেন।তাই বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্বকে এখন ভাবতে হবে , তারা কি একঝাঁক অনুগত কর্মচারীসর্বস্ব মেধাহীন নেতৃত্ব দিয়ে দল পরিচালনা করবেন, না চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর মতো দলের দুঃসময়ের নির্ভীক কান্ডারী , বিশ্বস্ত , মার্জিত , ভদ্রলোক ও আপাদমস্তক জাতীয়তাবাদী চেতনা ধারণকারী নেতাদের দলে ফিরিয়ে নিয়ে দলকে শক্তিশালী করবেন।বিএনপি ও বাংলাদেশের সকল জাতীয়তাবাতী শক্তির বর্তমানে যে চরম দুর্যোগকালীন সময় অতিবাহিত হচ্ছে , তখন চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর মতো নেতার রাজনীতিতে সক্রিয় ভুমিকা বড় প্রয়োজন ।অতএব বিএনপির উচিৎ অবিলম্বে চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বহিস্কারদেশ তুলে নিয়ে দলের বৃহত্তর কাজে তাঁর মতো অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ নেতাকে কাজে লাগানো।

(Collected)

বিষয়: বিবিধ

১৬৬৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

220242
১১ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০১
ভিশু লিখেছেন : তানভীর সিদ্দিকীকে ক্ষমা যায়, কিন্তু তাতে তাঁর এলাকায় বিএনপির পজিশনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না! দরকার নতুন ডেভোটেড আস্থাভাজন নেতৃত্বের!
220245
১১ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৪
বেআক্কেল লিখেছেন : হেই বেডা পোলাডারে দুইটা থাপ্পড় মাইরা পত্রিকা অলারে কইলে তো কাম চুইকা যাইত। অকর্মা বেডা না জাতির কুন উপকার কইরল না ব্যাটারে শাসন কইরতে জাইনল না নেত্রিরে খুশী কইরতে পারিল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File