মুরগির ব্যাপারীকে জামায়াত নেতা সাজিয়ে আ’লীগে যোগদানের কাহিনী...........

লিখেছেন লিখেছেন জিনান মামনি ১৯ মার্চ, ২০১৪, ০৪:৫৮:০০ বিকাল

গত সোমবার পাবনার বিভিন্ন স্থানীয়, অনলাইন ও জাতীয়সহ বেশ কিছু পত্রিকায় আতাইকুলা ইউপি জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকসহ জামায়াত-শিবিরের ২০০ নেতা-কর্মী আ’লীগে যোগদান করেছে মর্মে খবর প্রকাশিত হয়। পরের দিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় জামায়াতের কেন্দ্রসহ জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এক ভিন্ন চিত্র। পত্রিকায় প্রকাশিত মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক রাজার গ্রামের বাড়ি আতাইকুলা থানার শাখারী পাড়া। তার প্রতিবেশী আহমেদ আলী (৬৫), আব্দুল আলিম (৪০), ও প্রতিবেশী আব্দুস শুকুরের কাছে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, তিনি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক নন। তার নাম মুরগির ব্যাপারী রাজা। শুনেছি তিনি পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের হাতে আ’লীগে যোগদান করেছেন। তিনি জামায়াতের কিছুই না। তিনি এলাকার সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন হাটে তিনি মুরগির ব্যবসা করে মাত্র।

আব্দুর রাজ্জাক রাজার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী শাপলা খাতুন বলেন, আমার বাবা কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত নেই। তিনি কোনদিন কোন দল করে না। বিদ্যুতের সংযোগ পাবার জন্য সেদিন কুচিয়ামোড়া আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে পাবনা সদর এমপি গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের সাথে দেখা করতে যায়। পরের দিন শুনতে পেলাম আমার পিতা নাকি আ‘লীগে যোগ দিয়েছে। বাবার মুখে শুনলাম তাকে ব্লাক মেইল করা হয়েছে। এখন বুঝতে পারছি রাজনীতি কাকে বলে।

এ ব্যাপারে কথিত আব্দুর রাজ্জাকের (রাজা) মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তদবির করছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছিল না। আমার মেয়ে পড়াশোনা করে, আমার মতো গ্রামের অনেকেরই বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এলাকার আ’লীগ নেতারা আমাকে বলেন, এমপির সাথে আপনারা দেখা করে বিদ্যুৎ চাইলে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। তাই আমি তাদের পরামর্শে এলাকার পার্শ্ববর্তী কুচিয়ামোড়ায় এমপি এসেছে জেনে সেখানে বিদ্যুতের জন্য আবেদনকারী ৩০/৩৫ জন উপস্থিত হই। এ সময় এমপি আমার সাথে হ্যান্ডশেক করেন। কিন্তু পরের দিন জানতে পারি আমি নাকি আ’লীগে ২০০ নেতা-কর্মী নিয়ে যোগদান করেছি। আমি নাকি এই ইউনিয়নের নায়েবে আমীর। তিনি বলেন, জামায়াতের রাজনীতি তো দূরের কথা কোন দলের সাথেই আমি যুক্ত নই। আমি আতাইকুলা ইউপি জামায়াতের নায়েবে আমীর শুনে আমার খুব লজ্জা লাগছে। আমি মুরগির ব্যাপারী মাত্র। তিনি আরো বলেন, আমি একসময় চরমপন্থীর সাথে একটু উঠাবসা করতাম। কিšুÍ আমার ভাই ধলা সামাদ র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে মারা যাবার পর আমি আর ওদের সাথে উঠাবসা করি না।

উল্লেখ্য, এই খবর পাবনা সদর আসনের এমপি গোলাম ফারুখ খন্দকার প্রিন্সের পিএস শেখ রাসেল আলী মাসুদ সাংবাদিকদের কাছে ছবি সরবরাহ করে। সেই সূত্র ধরে সাংবাদিকরা খবর পরিবেশন করে।

Source.......Daily Newspaper

বিষয়: বিবিধ

১৩১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File