আ.লীগের কাছে জামায়াতকে হারালো বিএনপি!

লিখেছেন লিখেছেন জিনান মামনি ১৬ মার্চ, ২০১৪, ১০:২০:১৪ সকাল

বিএনপির জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ। জোটের প্রার্থীতা না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। যে বিদ্রোহ হারিয়েছে জামায়াত প্রার্থী লোকমানকে। বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু জাহিদ।

শনিবার অনুষ্ঠিত দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু জাহিদ প্রায় ৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে ১৯ দল সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান জামায়াত প্রার্থী লোকমান আহমদকে পরাজিত করেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫৮৩ ভোট। জামায়াত প্রার্থী পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৩৭ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী আলী আহমদ পেয়েছেন ২১ হাজার ৫২৮ ভোট।

লোকমান আহমদের পরাজয়ের পেছনে আলী আহমদকে দোষারূপ শুরু করেছেন জামায়াত সমর্থকরা। তারা বলছেন, বিএনপির একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়ে জোটের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে নিজে প্রার্থী হয়েছেন। আলী আহমদ না দাঁড়ালে লোকমান আহমদ বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারতেন।

তারা ভোটের হিসাব দেখিয়ে বলছেন, জোটের ভোটের হিসাবে উভয় প্রার্থীর ভোট একত্রিত করলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়ে প্রায় ১৭ হাজার বেশি হয়। এছাড়া দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ আরো কিছু ভোট নষ্ট করেছেন। তবে তার ভোটের সঠিক পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ায় সম্প্রতি আলী আহমদ ও ফয়েজ আহমদকে দল থেকে প্রথমে বহিষ্কার করা হলেও পরে আবার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে, উপজেলার ৬৮টি কেন্দ্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় জালালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। জামায়াতের প্রার্থী লোকমান আহমদের ঘাঁটি বলে পরিচিত জালালপুর কেন্দ্রে ভোটের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার বলে জানা গেছে।

বিষয়: বিবিধ

১৪০০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

192864
১৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
কুয়াশা লিখেছেন : জামায়তের উচিত বিএনপির উপর ভরসা না করে নিজেদের ভোট কি ভাবে বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দেয়া।
192866
১৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : মেরুদন্ডহীন বিএনপির সাথে জামায়াত না থাকাই উত্তম। এদের সাথে থেকে জামায়াত তার অনেক কর্মী হারিয়েছে। এখানে কতগুলো স্বার্থপর ভীতু নেতার আড্ডা যারা এদেশের আওয়ামী বিরোধী মানুষগুলোর অাশায় জুতা মেরেছে। ছি। লজ্জা লাগে এসব নেতা দেখলে।

দ্বিতীয়ত জামায়াত ভোটের রাজনীতিতে বিএনপিকে শতভাগ ভোট দিলেও বিএনপিতে দলীয় চেইন অব কমান্ড না থাকায় ভরাডুবিটা জামায়াতের বেশী হয়েছে। তাই অসংগঠিত এ দলটিতে থেকে নিজের ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই।

ধন্যবাদ আপনাকে।
192900
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:০৮
আবু জারীর লিখেছেন : জামায়াতকে জিততে হবে নিজের প্রচেষ্টায়। জোট থাক বা না থাক সেটা বিবেচনার বিষয় নয়। জোটের ভোট যেন হয় অতিরিক্ত যা জয় পরাজয়ে কোন ভুমিকা না রাখে।

কেউ যেন বলতে না পারে যে জামায়াত জিতেছে বিএনপির ভোটে।
192910
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:০২
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যন মাওলানা লোকমান সাহেব ছিলেন সত্যি একজন গণমানুষের নেতা। বিএনপির যে প্রার্থীর কারনে এই পরাজয়। সেই নেতা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন আমাদের সময়। ছাত্রলীগ থেকে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে পেঙ্গুইন থেকে সাফারী নেতা হয়ে গেলেন।
বিএনপি তাকে বহিস্কার করলেও পরে তা আবার প্রত্যাহার করে।
জামায়াত স্থানীয় ভাবে নয় কেন্দ্রীয় ভাবে বিষয়টা নিয়ে এখনই সিদ্দান্ত নেয়া প্রয়োজন।
তৃতীয় পর্বের যে আটজন বিজয়ী হয়েছেন। তার মধ্যে ৬ জন জামায়াত প্রার্থীকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের মোকাবেলা করতে হয়েছে। এই যদি হয় চিত্র। তাহলে কেন এত মাখামাখি?
দক্ষিণ সুরমা উপজেলাটা নিশ্চিত ছিল জামায়াতের। এখন কি করা উচিত?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File