পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে কেউ লিখে না!!!!!
লিখেছেন লিখেছেন আলোকর্বর্তিকা ০৪ জুন, ২০১৪, ০৩:০৪:১১ দুপুর
নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ।অনেক পুরুষকে সোচ্চার হতে দেখি
কিন্তু পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাউকে সোচ্চার হতে দেখিনা
অথচ সমাজের আনাচে কানাচে শতশত পুরুষ নির্যাতিত হচ্ছে নানা ভাবে !! আমি একজনকে বলতে শুনেছি এই মাসেই তাকে ফ্লাট কিনতে হবে না হয় স্ত্রীপক্ষথেকে সমস্যা আছে। আর একজন কে বলতে শুনেছি তার স্ত্রী শশুর-শাশুডীর সাথে থাকবে না । তাকে আলেদা বাসা নিয়ে দিতে হবেঅ এবং সে বাধ্য হয়ে আলেদা বাসা নিয়ে দিয়েছে । এসব বি পুরুষ নির্যাতন নয়!!!!!!!!
বিষয়: বিবিধ
১২৯৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেখানে শরিয়তেই বলা আছে একটা বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে স্বামী তার স্ত্রীকে প্রহার করতে পারবে , সেটার বিপক্ষে আপনারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন করেছেন !
আল্লাহ যেখানে পুরুষদের বলে দিয়েছেন শর্ত সাপেক্ষে ৪ টা পর্যন্ত বিয়ে করতে , সেখানে আপনারা আইন বানিয়েছেন যে এ ব্যাপারে আগের স্ত্রীর অনুমতি লাগবে !
আজ যদি আপনি আপনার স্ত্রীকে শরিয়ত মোতাবেক প্রহার করতে যান , সে কি আপনাকে এমনি এমনি ছেড়ে দেবে ?
যে পুরুষ সবার দায়িত্ব নেয় সে কেন দায়িত্ব ছেড়ে দেবে ?
সমাজটা যদি শরিয়ত মোতাবেক চলতো এবং আমাদের নারীরা যদি সত্যি সত্যিই ইসলামী শরিয়তের অনুসারী হত তাহলে (গাছেরটাও খায় আবার তলারটাও কুড়ায় এমন মানসিকতার না হত) তাহলে সমাজটা খুব সুন্দর ভাবে চলতে পারতো।
০ হ্যাঁ মশকরার মতই মনে হয় ।
ভাইজান , নির্যাতন কি শুধু শারিরীকভাবেই হয় ?
'' ফিতনা হত্যার চেয়ে জঘন্য '' - এটা পবিত্র ক্বুরআনে বলা আছে ।
আর ''নারীদের ছলনা ভয়ংকর'' এটাও বলা আছে পবিত্র ক্বুরআনে ।
তাই নারীরা ছলনা , ফিতনার মাধ্যমে পুরুষদের মনে আঘাত তথা মানসিক নির্যাতন করে , যার আসলে কোন পরিমাপই সম্ভব না ।
ইদানিং দেখা যায় বিভিন্ন ছবিতে এবং বাংলাদেশেও যে - গে / সমকামিতা নিয়ে নাটক , সিনেমা হয় । আবার কয়দিন আগে তাদের নাকি র্যালীও হয়েছে । নাটক সিনেমাতে এমন ভাবে এটাকে পেশ করা হয় যা সবাই হাসি ঠাট্টা হিসেবেই নেয় ।
কিন্তু এটা তো ভয়ানক খারাপ কাজ । পাত্তা না দিতে চাইলে এক সময়ে তা সনাজকে কলুষিত করবে , পরে কঠিন আযাব এসে হাজির হবে ।
মহান আল্লাহ কি পুরুষ নির্যাতনটাকে মশকরা মনে করে এর সাথে যে ইনভলড তাকে রেহাই দেবেন ?
আমরা পুরুষরাই নারী নির্যাতনের বিপক্ষে নিজেদের স্বজাতির অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেভাবে প্রতিরোধ বা প্রতিহত করি নিহতও হই , কোন নারী কি তার স্বজাতি কর্তৃক কোন পুরুষ নির্যাতিত হলে তার প্রতিবাদ করে ? এমন কি বোনও তার ভাইয়ের পক্ষে রাস্তায় নামে ?
আমাদের পুরুষদের বড় সমস্যা কি জানেন ? নারীরা যেভাবে নিজেদের কাজে(পুরুষ কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে ) পুরুষকে লাগাচ্ছে , পুরুষরা তো নারীদের কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে পুরুষদেরই সাপোর্ট পায় না নারীর সাপোর্ট তো দূরের কথা । মাস খানেক আগে একটা জরিপ এসেছিল এর পক্ষে টুডে ম্যাগাজিনেই।
নিজ স্বজাতির জন্য নিজেই যদি এগিয়ে না আসি তাহলে আত্মসন্মান নিয়ে চলা যাবে না ।
আর যতদিন এসব ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মনোভাব চলবে ততদিন সমস্যাও থাকবে ।
আমি মনে করি বাংলাদেশের ৮০%পুরুষ নিরবে-নিভৃতে নির্যাতন সয়ে যায় ।
আর এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া'র স্বপ্ন এই জনমে দেখলেও স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে ! ধন্যবাদ ।
আর যে ঘটনা লিখেছেন,বলুন তো এখানে কে কাকে নির্যাতন করছে?
নারী যদি দেখে পুরুষটা খালি মেও মেও করে তখনই চান্সটা লয়। পুরুষ থাকতে হবে পুরুষের মতো।
একটা নারী অন্য একটা পরিবার থেকে এসে স্বামীর পরিবারটা তছনছ করে দিবে আর পুরুষরা বলবে, আমাকে নির্যাতন করছে। বিষয়টা আমি মানি না।
নারীর অন্যায্য ও একতরফা আবদার রাখতে যায় কেন পুরুষেরা। পরামর্শ করে নিতে পারে না?
পুরুষ তুমি পুরুষ হও, নারী হও নারী
থাকবে না ঝগড়া, মিছে বাড়াবাড়ি!
বুঝেছেন এবার?
০ তো কি করা উচিত ? আইন তো একটা বানিয়ে রেখেছেন ।
নাকি মজা নেন !
আইন দিয়ে সংসার করে কেউ?
আইন দিয়েই তো আপনারা সংসার করেন যেখানে স্বামীর হাত পা বেঁধে রাখা হয় । টাকা তার , কিন্তু তা দেদারসে খরচ করবে আরেকজন , সংসার তার কিন্তু বসিং করবে আরেকজন ।
আপনারা সংসারে বসিং করেন স্বামীর উপর শরিয়তপরিপন্থীভাবে ।
দুনিয়াতে হয়ত নারীর প্রতি একরোখা পক্ষপাতিত্ব পরিবেশের জন্য পার পেয়ে যাবেন , পারবেন পরকালে আল্লাহর আইন পরিবর্তনের জন্য আল্লাহর হাত থেকে রেহাই পেতে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন