সব পুরুষকে বিবাহের বিষয়ে অবরোধ ডাকা উচিৎ
লিখেছেন লিখেছেন আলোকর্বর্তিকা ২৭ মে, ২০১৪, ০৪:৩০:৩৬ বিকাল
কোন ভূমিকা না করে সরাসরি পয়েন্টে আসছি। বর্তমানে অধিকাংশ নারী বিবাহের পর স্বামী ও স্বামী পরিবারের সাথে খুব ভাল আচরণ করে এবং তাড়াতাড়ি সন্তান নেওয়ার জন্য তাগিদ দেয়। সন্তান নেওয়া হলেই তাদের এ্যাকশন শুরু হয়ে যায়।
শ্বশুর শ্বাশুরিকে রাখা যাবেনা । স্বামীর আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়া যাবে না ইত্যাদি। এই কথাগুলো তার অনেক সময় সরাসরি বলে না কিন্তু আচরণ দিয়ে করে থাকে। বেচারা স্বামী হয়ে যায় অসহায়। অনেক সময় সে সন্তানে মুখের দিকে তাকিয়ে মা-বাবাকে ত্যাগ করে !!! আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজখবর নেয় না ! তার কি করার আছে!! মা-বাবার কথা চিন্তা করলে সন্তান হবে মা হারা (কারণ স্ত্রী তার শ্বশুর শ্বাশুরিকে কোন ভাবে মেনে নেয় না এই প্রেক্ষাপটে স্ত্রীকে ত্যাগ করা ছাডা কোন উপায় থাকে না) আর সন্তানের দিকে তাকালে মা-বাবাকে ত্যাগ করতে হয়। কি ভয়ংকর পরিস্থিতি একজন পুরুষের জন্য তাই না!!!!! তাই সব পুরুয়ের উচিৎ বিয়ের আগে এগ্রিমেন্ট করা উচিৎ যে তারা তাদের শ্বশুর শ্বাশুরিকে কখনও ত্যাগ করতে পারবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৪৬২ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০০ দেনমোহর এমন ধরতে হবে যার ফলে স্পর্শ করার আগেই শোধ করে ফেলা যায় ।
বেশী দেনমোহর ধার্য্য যদি নেক কাজ হত তাহলে রাসূল(সাঃ)ই তা করতেন সবার আগে ।
০০ আর সন্তান কিন্তু এক কথায় স্বামীর(বাবার)। কারণ, তালাক হয়ে গেলে সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর জন্য স্ত্রীকে স্বামী সন্মানী দেবেন । যদি বেশী মনে হয় তাহলে স্বামী পারবে অন্য কোন মহিলা দিয়ে তা করাতে ।
ইসলামী শরিয়তের বাইরে এসে যে নিয়ম করা হয়েছে তার সবকিছুই করা হয়েছে মহিলাদের ফেভারে ।
যেহেতু এগুলো আল্লাহর আইনের বিপরীতই,ফলে এর কনসিকুয়েন্স মানুষ জানতেই পারেনি যে এত ব্যাপক , সুদূরপ্রসারী ও ভয়াবহ হবে নিয়ম করার আগে ।
কিন্তু মহান আল্লাহ রাব্বুল 'আলামিন সবকিছুই জানেন বলে নিয়ম করে দিয়েছেন মানুষের জন্য ।
আপাতঃ তা কারও কারও কাছে পছন্দ না হলেও এটাই যে সর্বোতকৃষ্ট নিয়ম তা বলাই বাহুল্য । কারণ এই নিয়মের ব্যাতায় ঘটার ফলে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে । যার সমাধান করতে গেলেই আরেকটি সমস্যা সামনে এসে হাজির হচ্ছে।
তারা অসহায় ভাবে বলে বাচ্চাগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে এইসব সহ্য করি।
এই অজুহাত আমার কাছে মোটেও সম্মানজনক মনে হয়না। বাবা মা ঢাকায় বেড়াতে আসলে তার বাবা মাকে নিজের বাসায় নিয়ে দুইদিন রাখতেও পারেনা বউয়ের অনুমতি ছাড়া। বউয়ের এই ধরণের মানসিকতাকে সে অজুহাত হিসেবে না নিয়ে যদি সংশোধন করত বা করার চেষ্টা করত তবে তা সবার জন্যই লাভজনক হত।
যতই ধর্মের কথা বলেন না কেন স্বামী যে একটা বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে তার স্ত্রীকে প্রহার করতে পারে , তার বিপরীতে যে মনুষ্য আইন হয়েছে সেটাকেই তো আপনারা ফলো করছেন !
নিজেরাই এসব কাহিনী করে আবার পুরুষদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন ?
এসব ভন্ডামী কি না করলেই হত না ?
কিছু মনে করবেন না , আপনি কি তাদের রুমে গিয়ে দেখেছেন তারা কি করে!!
আপনার আপন ভাই-ভাবীরটা চাক্ষুষ দেখেন নি ! অন্যেরটা না দেখে আপন ভাই ভাবীরটা দেখুন ।
যে বাবা মা ছেলেকে এত বছর ধরে কোলে পিঠে মানুষ করলো সেই ছেলে কেন ৩ মাসের পরিচিত বৌয়ের জন্য বাবা মাকে ত্যাগ করে তা আপনার ভাইকে দেখে বুঝে নিবেন ।
নারী নির্যাতনের ব্যাপারটা খুব সচেতন ভাবেই পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন ।
আপনার মন্তব্যটাই হয়েছে এমন , ছেলেদের উসকানী দিচ্ছেন বউকে সংশোধন করার জন্য ( প্রকারান্তে বউয়ের প্রতি রিজিড হবার জন্য) যা আসলেই বলা আছে শরিয়তে। কিন্তু এটা করলে যে মনুষ্য আইন আছে আপনার ফেভারে যা শরিয়তেরই পরিপন্থী তা চেপে যান । মানে, গাছে তুলে মই কেড়ে নেবার মত অবস্থা।
কেন আপনাদের সংশোধন করতে হবে পুরুষদের ? আপনারা সংশোধন হতে পারেন না ? এটা কি কখনই মনে আসে না যে এরাই তারা যারা আমার স্বামীকে এতটা বছর মানুষ করেছে , আমাকে এদের সন্মান করা উচিত ।
এত কিছু বোঝেন , এত ব্যবসা চালান , এত মানুষকে নিয়ন্ত্রন করেন , এত এত লেখা পড়া আপনাদের - কিন্তু এসব বোঝানোর দরকার পড়ে কেন ?
সবসময়ই দেখা যায় , ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে মেয়েরা যদি কোন অনাচার করে তার দায় এসে পড়ে পুরুষদের ঘাঁড়ে । আর ভাল কিছু করলে তা তার একার সাফল্য , সেখানে পুরুষের আসার প্রশ্নই আসে না !
দেনমহর দিয়ে দিলেন কিন্তু আপনার সন্তান কে মা দিবেন কি ভাবে!!! নারীরা এই সুযোগটাকে কাজে লাগাচ্ছে
ভিটামিন- এন.আর (নির্ঘূম রাত)
ভিটামিন- কে.এ. (খাজুরী আলাপ)
ভিটামিন- জে.ঝি. (ঝগড়া ঝাটি)
ভিটামিন- এম.এ. (মান অভিমান)
ভিটামিন- এস.ডি. (সুখ দুঃখ)
ভিটামিন- বি.টি.বি. (বাজারের থলে বহন)
সহ আরো অনেক ধরনের ভিটামিন রয়েছে বিয়ে শাদীতে।
এত্তোগুলো ভিটামিনের ভারে চ্যাপ্টা হইবার আশংকা। হের লিগ্যা দু’খান ধইর্যা তৌবা কইরছি জীবনে আর কুনোদিন বিয়ে শাদী করুম না রে ভাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন