জামায়াত দেখে ভয় পাবার কিছু নেই
লিখেছেন লিখেছেন আলোকর্বর্তিকা ০২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৩৬:৫২ দুপুর
জামায়াত এখন একদম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিড়ানকে পরিণত হয়েছে। দলটি মার্কিনীদের পরামর্শ শুনে একদম খাদের কিনারায় যেমন চলে গেছে। তেমনি গণবিরোধী একটি ভ‚মিকার পক্ষে থাকার জন্য দেশব্যাপী যে জনবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে তাতে মনে করার কারণে নেই যে দেশে তারা একটি সশস্ত্র বিপ্লব করে ক্ষমতায় যাবার পায়তারা করছে। তারা যা করছে তার সোজা বাংলা হলো ত্রাসের সৃষ্টি করছে। জনমনে ভিতি ছড়ানো। আর এমন একটি নৈরাজ্য তৈরী করা যেখানে সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। আর সেই পরিস্থিতিতে একটি সিভিল মিলিটারি আমলা ক্যু সংঘটন করা যায়। আর এমনটিই যখন মার্কিনীদের চাওয়া তাহলে জামায়াতের সেই পথে হাটতে অসুবিধা নেই। ইতিমধ্যে তারা এ কাজে উলে¬খ্যযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। এতে জামায়াতের লাভের চেয়ে শেষ অংকে অপূরনীয় ক্ষতির স্বীকার হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা গেছে যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে-সে মিশন ব্যার্থ। এরপর কয়েক শ’ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে। তবে আন্দোলন শুরুর আগে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাসিঁর রায়ের পর যে নৈরাজ্য জামায়াত-শিবির ঘটিয়েছে যার ফলে সংগঠনটি দুটির এক শ’র উপর কর্মী নিহত হয়েছে। কয়েক হাজার চীরতরে পঙ্গু হয়েছে। বাকিদের একটি বড় অংশ জেলে। সরকার বিরোধী আন্দোলনের আগে এই অতিরিক্ত শক্তি ক্ষয়ের কারণে দলটি ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। এখন যা করছে তা হলো গেরিলা পদ্ধতিতে অ্যাকশান। এ পদ্ধতির অ্যাকশানে বেশি লোকের দরকার নেই। কিন্তু দলটি যুক্তরাস্ট্রের পরামর্শে অতিরিক্ত শক্তি ক্ষয়ের পরও না পারলো যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে। না পারলো আওয়ামী লীগ সরকারকে ফেলে দিতে। এখন সর্বশেষ দলটি ভরসা করছে সেনাবাহিনীর উপর। তবে জামায়াত-শিবিরের মনে রাখা দরকার গত ৫ বছরে সেনাঅভ্যন্তরে এমন সব গুনগত পরিবর্তন হয়েছে-সেখানে সাবেকি মুসলিম লীগ পরিবেশটি আর আগের মত উজ্জ্বল নেই। ফলে যারাই ক্ষমতায় আসুক ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দেবার সাহস করবে না বলেই মনে হয়। এমনকি বিএনপি এলেও। ফলে অযাথা শক্তিনাশ দলটির ভবিষ্যৎ বির্পযয় আরো ত্বরান্বিত করবে বলেই ধারণা করি।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১০৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন