দুর্লভ জামাই এবং কিছু ভুল
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নীল৫৬ ০২ জুন, ২০১৪, ০২:২৫:৩৩ দুপুর
অনেক সময় পাত্রপক্ষের প্রতারনায় পড়ে পাত্রীপক্ষ। উল্টোটা যে হয় না, তা না ; তবে কম । যে ধরনের পাত্রে ভুল হয়-তার কিছু ফিরিস্তি দিলাম-
ক. বিদেশী পাত্র অথবা প্রবাসী পাত্র । পাত্রীপক্ষ সরাসরি কিছু জানতে পারে না । শোনা কোথায় বিশ্বাস করে । পাত্রপক্ষ হয়তো বলে বিদেশে অনেক ভালো চাকরি করে ..ব্লা ব্লা ব্লা । পরে দেখা যায় কোনো রকম ছোটখাট একটা চাকরি করে ।চরিত্রের অবস্থা বারোটা । বিদেশে নির্ভরযোগ্য কেউ থাকলে তার মাধ্যমে খবর নিন ।
খ দুরের পাত্র -অন্য জেলার বা দুরের কোনো পাত্র যাকে আপনি সামনা-সামনি দেখার সুযোগ পান নি , সে হয়তো বলে বসবে সে মাস্টার্স পাশ আসলে মেট্রিক ফেল. কাছের পাত্রও এই প্রতারণা করতে পারে । আজকাল আবার জাল সার্টিফিকেট ও পাওয়া যায় । একটু পরীক্ষা করে নিতে হবে ।
গ. সশস্ত্র বা পুলিশ ইত্যাদি বাহিনীর পাত্র । এদেরকে মানুষ ভয় পায় বলে সঠিক খবর নিতে পারে না । এমনও দেখা গেছে, বলেছে সেনা বাহিনীর অফিসার কিন্তু আসলে সেনা বাহিনীতে চাকরিই করে না । অফিসারের চাকর অফিসারের ড্রেস পরে ছবি তুলে অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতে শোনা গেছে । এদের অনেকেই বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে মেয়েটাকে আটকে ফেলতে চায় । আর সৈনিক দেখা যায়, পরিচয় দিচ্ছে অফিসার । নন কমিশন অফিসার যেমন সার্জেন্ট দেখা যায় বলবে অফিসার আসলে সে তো অফিসার নয় । এভাবে প্রায়ই প্রতারণার জালে পড়ে যায় মানুষ ।
এক্ষেত্রে সরাসরি ইউনিটে অর্থাৎ যেখানে চাকরি করে সেখানে অধিনায়কের সাথে কথা বলে প্রকৃত তথ্য জানতে হবে ।
ঘ. ব্যবসায়ী পাত্র-ব্যবসার তো আর শেষ নাই । রাস্তার সবজি বিক্রেতাও ব্যবসায়ী আবার বেক্সিমকো গ্রুপ ও ব্যবসায়ী । কি ব্যবসা করছে জেনে নিন । অনেক সময় দোকানের কর্মচারী নিজেকে দোকানের মালিক বলে, যেমনি গাড়ির ড্রাইভার নিজেকে গাড়ির মালিক জাহির করে ।
একটা ভুল সারা জীবনের কান্না । তাই হুট করে ভুল করবেন না । সময় নিন,সঠিক সিদ্ধান্ত নিন ।
বিষয়: বিবিধ
১১৮১ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর । গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ।
আসলে যাচাই-বাচাই কর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।ভাল লাগল ।
শুধু ছলে নয় অনেক মেয়ে ও তার বাবা--মায়েরা
বোকা কোন ছেলে পেলে তার বখে যাওয়া মেয়েকে অনেক পরদানশিল , ৫ ওয়াক্ত নামাযী এই সব মিথ্যা কথা বলে ছেলেদের ধোঁকা দেয় ,
আসলে মেয়েটি দেখায়ায় অনেক বয় ফ্রেন্ড আছে এবং মেয়েটি মোটেই নামায পড়ে না ,
পরে যখন ছেলেটি জানতে পরে ,
তখন মেয়ের পরিবার কাবিনের টাকা আদায় করার জন্য বিবাহ বিচ্ছেদ ঘতাতেও দ্বিধা করেনা ,
আর তখন ছেলেটির বুঝতে অসুবিধা হয় না ,যে বিয়ের সময় মেয়ের বাবা-মা কেন চলেটিকে ভুলিয়ে কাবিন নামায় বড় অংক লিখেছিল ,
এরকম অনেক পরমাণ আছে ,
তাই মেয়েদের ও কিছু দোষের কথা বললে লিখাটা অনেক মূল্যবান হতো,
তাই দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে এই লিখাটা পক্ষ পাত দুষ্ট হয়েছে ,
আপনারা কি বলতে পারবেন বাংলাদেশের ১ টি জেলা আছে যারা অনেক পরিবারই তার মেয়েকে ২ বার করে বিয়ে দেয়েছে ... ???
আপনারা কি সেই জেলার নাম বলতে পারবেন ..... ????
পারলে বলুন ....???
******** আপনারা কি বলতে পারবেন বাংলাদেশের ১ টি জেলা আছে যারা অনেক পরিবারই তার মেয়েকে ২ বার করে বিয়ে দেয়েছে ... ???
আপনারা কি সেই জেলার নাম বলতে পারবেন ..... ????
পারলে বলুন ....??? *****
উত্তর = {বরিশাল = ভোলা = " চরপেশু "}
মন্তব্য করতে লগইন করুন