কি পেলাম এই জিহাদে

লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নীল৫৬ ২৭ মে, ২০১৪, ০১:৪৬:২৬ দুপুর

মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে- এই ভেবে কি পেলাম এইসব জিহাদে । ধরুন বাসার আল আসাদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার এই জিহাদে লাখ মানুষের মৃত্যু ছাড়া আর কি পেলাম । মিশরে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ছাড়া আর কি কিছু পেয়েছি? বাংলাদেশে হেফাজতের-জামাতের কিছু ভাইয়ের মৃত্যু ছাড়া আর কি কিছু লাভ হয়েছে?

ইউক্রেনে ক্রিমিয়া হারানো ছাড়া কি কিছু লাভ হয়েছে? বকো হারাম ধ্বংশ ছাড়া আর কিছু কি পেয়েছে? তালেবানরা মৃত্যুপুরী ছাড়া আর কি কিছু উপহার দিতে পেরেছে?

মাঝে মাঝে মনে হয় উপযুক্ত সামর্থ হবার আগেই শুধু আবেগের বসে শত্রুর মোকাবেলায় অবতীর্ণ হচ্ছি আমরা। তাই আগে যতটুকু নির্যাতিত হতাম , প্রতিবাদের পর আমরা জানমাল, ইজ্জত সবই হারাচ্ছি । নবী(সা) মক্কা জীবনে শুধু মারই খেয়েছেন, কিন্তু হাত তোলেন নি । কিন্তু যখন হাত তুলেছেন-তখন আর হারেন নি, পিছপা হন নি । বড্ড অপ্রস্তুত অবস্থায় কঠিন ডিসিশন নিয়ে নিচ্ছি । আল্লাহ আমাকে এবং সবাইকে সুপথ প্রদর্শন করুন ।

বিষয়: বিবিধ

১০১১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

226991
২৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৭
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : একদম সত্যি বলেছেন। আসলে আমরা নিজেদের প্রস্তুত না করেই যুদ্ধের ময়দানে পা বাড়াচ্ছি যা আমাদের শুধু বিপদই বয়ে আনছে কাজের কাজ কিচ্ছু হচ্ছে না।
227019
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৭
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সুদীর্ঘ সময় হয়ে গেল ব্লগে বসা হয়না আজ হটাৎ কি মনে করে যেন আসতেই আপনার লেখাটা চোখে পড়ল তাই লগইন করলাম উত্তর দেয়ার জন্য। প্রথমেই বলি ব্লগ আবেগের জায়গা না। ব্লগাররাও আপনাকে আবেগ দিয়ে বিচার করবে না,কথা হবে যুক্তি দিয়ে যদিওবা তা আপনার ব্যক্তিগত আগেবকে আঘাঁত করতে পারে। যাইহোক কথায় আসি। গ্লোবাল জিহাদ সম্পর্কে আপনার ধারণা কম অথবা আপনি সব কিছু আবেগ দিয়ে বিচার করেন। যুদ্ধ কেউ চায়না তবে বাধ্য হয় বা বাধ্য করা হয়। আর রাসূল (রাঃ) এর মাক্কী জিবনের সাথে বর্তমান সময়ের তুলনা করা চরম বোকামী কারণ,পেক্ষাপট মোটেও এক না, বিপরীত। আর জিহাদ মাক্কী জীবনে ফরজই হয়নি হয়েছে মদিনার জীবনে। বদর যুদ্ধের আগে যুদ্ধ সংক্রান্ত কোরানের আয়াত নাজিল হয়। সিরিয়ায় জাবহাত আন নূসরাহ, ইসলামিক ফ্রন্ট,এফ.এস.এ আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তবে এফ.এস.এ ও ইসলামিক ফ্রন্ট যুদ্ধ করছে জাতিয়তাবাদী ও সেকুলার চিন্তাভাবনা থেকে। তাদেরকে ব্যাবহার করা হচ্ছে। আমেরিকা,ইউরোপ,সৌদি,তুর্কিকের কাছ থেকে তাই তারা সমর্থন ও অর্থ-অস্ত্র পাচ্ছে কারণ তাদের টার্গেট ছিল:ইরান-রুশপন্হী শিয়া আসাদকে হটিয়ে আমেরিকা পন্হী কাউকে বসানো। উদাহরণ:লিবিয়ার গাদ্দাফিকে হটিয়ে আমেরিকা পন্হী সরকার আনা। সেখানেও ব্যাবহার করা হয়েছিল জাতিয়তাবাদী ও সেকুলারদের অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য দেয়া হয়েছিল আর সেখানেও আল কায়েদার ছোট একটা অংশ গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল যাদের সাথে এখনো আমেরিকার পুতুল সরকারের সংঘর্ষ চলছে।
সিরিয়া ইস্যুটাও একদম সেম। আসাদ শিয়া এবং তার দেশের বিশাল শিয়া জংগোষ্ঠীর পুরো সমর্থন তার পক্ষে রয়েছে। যখন আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হল এবং তার কিছুদিন পর আসাদ বিশেষ করে সুন্নী দমনে সামরিক বাহিনী নামিয়ে দিল তখন শিয়া সম্প্রদায় লাখ লাখ সুন্নী হত্যায় মেতে উঠল আর সুন্নী নারীদের উপর ভয়াবহ ধর্ষণ। শিয়া রাফেজীদের বিশ্বাস: সুন্নী হত্যায় সোয়াব অনেক তাই টারা সোয়াব কামাই করতে শুরু করল। এই মুহূর্তে অস্ত্রধারণ ছাড়া সুন্নীদের বিকল্প কোন পথ ছিলনা। ঠিক এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইলো পশ্চিমা জোট ও সৌদি জোট। তাই গড়ে তুলল এফ.এস.এ ও ইসলামিক ফ্রন্ট। কিন্তু লিবিয়া ও আফগান যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে আল কায়েদা জানত এর ফলাফল কি হয়? তাই তারা গড়ে তুলেছিল জাবহাত আন নূসরাহ। যারা খেলাফত ভিত্তিক মুসলিম সমাজ কায়েমের আশা নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। হ্যা যুদ্ধে এখনো মানুষ মরছেই কিন্তু যুদ্ধ ছাড়া কি ২য় কোন উপায় আছে? আফগানে যুদ্ধ ছাড়া কি উপায় ছিল? যাইহোক কিছু লিখতে ইচ্ছা হচ্ছেনা ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে এটা নিয়ে পোস্ট দিব। আর মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড কোন জিহাদ করেনি তারা অবস্হান ধর্মঘট করেছিল সেটাকে জিহাদ বলা হাস্যকর। আর জিহাদ করে কি পেলাম? এমন প্রশ্ন অবান্তর কারণ জিহাদ করতে হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুনায়াবী লাভের জন্য নয়।
227089
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৩
পুস্পিতা লিখেছেন : অনেক দূরদর্শি হতে হবে ইসলামী দলগুলোকে।
227803
২৯ মে ২০১৪ সকাল ০৯:১৬
বাজলবী লিখেছেন : অাল্লাহর সন্তুষ্টি ও অাখেরাতের মুক্তির জন্য ইসলামী অান্দোলন করে যেতে হবে। এঅান্দোলন বিজয়ের জন্যে অাল্লাহর সাহায্যে প্রয়োজন যখন অামরা তার সাহায্যে প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হব।তখন বিজয় নিশ্চিত।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File