চাকরিজীবী মেয়ে বিয়ে করেছেন তো মরেছেন
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নীল৫৬ ০৯ মে, ২০১৪, ০৮:০৬:৪১ রাত
মেয়েরা আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। তারা ভালো পড়াশুনা করছে, ভালো চাকরিও করছে । কিন্তু এই ভালো পড়াশুনা বা চাকরি দেখে অনেক বাবা-মা অথবা অনেক ছেলেই তাদের বউ হিসেবে পেতে চাচ্ছে । আমার বউ বড় ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার এই আস্ফালনের উদ্দেশ্যে অনেকেই এসব মেয়েদের বিয়েও করছে ।
কিন্তু বিয়ের পরেই দেখা দেয় নানা বিপত্তি -
১. এত পড়াশুনা জানা মেয়েরা ঘরে থাকতে চাইবে না , তারা একটা চাকরি করতে চাইবে যদিও আপনার প্রচুর টাকা থাকে ।
২. পড়াশুনা বা চাকরি এই অজুহাতে তারা আপনাকে সময় দিতে পারবে না, আর আপনার পিতা-মাতা তার সেবা পাবার আশা সুদুর পরাহত ।
৩. আপনার সন্তানকে দেখার সময় তার হবে না, সন্তান লালিত পালিত হবে দাদী অথবা নানী অথবা কাজের বুয়ার কাছে ।
৪. যেহেতু সে নিজেই ইনকাম করে, আপনার আদেশ দেয়ার ক্ষমতা থাকবে না, আপনার ইচ্ছাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাত্তাও দিবে না ।
৫. রাসুল (সা) বলেছেন, আমি যদি কাউকে সিজদা করার অনুমতি দিতাম তাহলে স্ত্রীকে স্বামীকে সিজদা করতে বলতাম । এই হাদিছ তারা কখনোই মানবে না
৬. আপনি সারাদিন পরিশ্রম করে বাসায় এসে একটু সেবা চাইবেন সেটা কখনই হবে না, কারণ সেও তো পরিশ্রম করে এসেছে সেও তো একটু সেবা চায় ।
৭. একে চাকরি করতে দিবেন না? সারাক্ষণ আপনাকে অভিশাপ দিতে থাকবে. তোমার জন্য আমার ক্যারিয়ার ধ্বংশ হয়ে গেলো
সুতরাং সাধু সাবধান, বিয়ের আগেই ক্লিয়ার করে নিন, আপনি কি চান আর সে কি চায় ?
বিষয়: বিবিধ
৩১১২ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লিখক পরিষ্কার করে বাচ্চার অধিকার ও স্বামীর অধিকার নিয়ে কথা বলেছেন। একজন নারী ঐ দুটি প্রানীর অধিকার হরন করে হিজাব আবৃত হয়ে কাজ করলে কতটা হাসানা পাবেন - যাতে তিনি তার আলটিমেট টার্গেট বেহেস্ত নিশ্চিত করতে পারবেন বলে আপনার মনে হয়? আর যদি বেহেস্ত দ্রষ্টব্য বিষয় নাই ই হবে - তবে দিনে ৮/১০ ঘন্টা চাকুরী, ৭/৮ ঘন্টা ঘুম আর ২/৩ ঘন্টা পারসোনাল সময় দেয়া স্ত্রীকে - কোন স্বামী ঐ স্ত্রীর মুড বিশ্লেষন করে সত্যিকার পারসোনাল সময় দিয়ে স্ত্রীর অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে, স্ত্রীকে ভালবাসতে পারবে? এন্ড রেজাল্ট যদি হয় - স্বামী স্ত্রী দুজনেই বলদের মত খেটে হ্যান্ডসাম উপার্জন করলো কিন্তু পরিবার কি জিনিস - তার স্বাদ গন্ধ পেল না - তবে ঐ পরিবার করার কি দরকার? আর অমন পরিবারের বাবা-মার স্নেহ ভালবাসাহীন সন্তান ই বা পরিবারে কি স্বার্থকতা নিশ্চিত করবে?
০ শরিয়ত কি তাকে এই অপশনটা দেয় ?
যে শরিয়ত মোতাবেক সে স্বামীর কাছ পাবার দাবীদার সে মোতাবেক তারও দেবার শিক্ষা লাভ করা উচিত ।
স্বামী বা স্ত্রী যদি পারষ্পরিক সেবা করতে নাই পারে তাহলে তো অপশন আছেই । শুধু শুধু একজনের কাছ থেকে সব নিয়ে তাকে না দেবার মানসিকতা নিয়ে বেড়ে ওঠা মানে চরম স্বার্থপরতারই বহিঃপ্রকাশ ।
ইসলাম নারী পুরুষকে একজন আরেকজনের লিবাস বলে । শরিয়ত মোতাবেক পুরুষ যেমন বাধ্য তার স্ত্রীর দেখভাল করার , স্ত্রীও তেমনি বাধ্য তার স্বামীর দেখভালের । এখানে স্বামীর কাছ থেকে নিয়ে সে যদি মর্জি দেখায় তাহলে সে ষ্পষ্টতই শরিয়তের খেলাফ করলো । এটার চেয়ে তালাক করে ফেলাই ভাল ।
আর স্বামীর সেবা যদি করতেই মনে না চায় তাহলে বিয়ে করার দরকার কি ? পাশ্চাত্য কালচার তো আছেই !
পরকালে যখন জিজ্ঞাসা করা হবে , ''স্বামীর সংসারের কাজ ফেলে তুমি কেন অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছ? তোমাকে কি স্বামীর সংসারের আগে প্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছিল ? সংসারের দায়িত্ব তো তোমার স্বামীরই ছিল তাই তো সে চাকরি সূত্রে বাইরে থাকতো , তুমি কেন বাইরে গেলে চাকরি করতে ? ''
পোষ্টে মাইনাস (-)
বিয়ে করেছেন বলে তো মনে হয় না । বিয়ে করেন , চাকরিজীবী মেয়েই করেন । বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও কমেন্ট করবেন এই পোস্টে ।
তবে সেবার প্লাস দিতে বাধ্য হবেন ।
যেটার দায়িত্ব ছিল স্ত্রীরই সেটা সে পালন না করে অন্যকে দিয়ে করাচ্ছে ।
এখন স্বামী যদি এর জন্য বুয়া/মা/শাশুড়িকে এর জন্য আর্থিক ব্যবস্থা দিয়ে থাকে বা শাড়ি কাপড় অলংকার কিনে দেয় বা বেড়াতে নিয়ে যায় বা যাবার জন্য টাকা দেয় , যেটা একান্তই তার স্ত্রীর প্রাপ্য ছিল - সেটা মেনে নেবার মত মানসিকতা কি স্ত্রীর আছে ?
বন্যেরা বনে সুন্দর
শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
ছেলেরা ঘরের বাইরে
মেয়েরা ঘরের কোনে
মেয়েরা ঘরের কোনে থাকলে সেটা সমাজের জন্য মঙ্গল । ঘরের বাইরে গেলেই তারা নানা সমস্যা ডেকে আনে ।
ঠিক বলেছেন। বাংলাদেশ এর শিক্ষিত অশিক্ষিত তরুন হতে প্রৌঢ় পুরো সমাজ ব্যবস্থাটাই দজ্জালের প্রকৌপে ধ্বংশ হয়ে গেছে।
আপনি হাদীসে উল্লেখিত দজ্জাল এর কাজ কারবার তথা দজ্জালের প্রথম দিন যা বছরের মত, দ্বিতীয় দিন যা মাসের মত - এই দুটি স্টেইজ এ মুসলিমদের মধ্যে যা যা ফেতনা দজ্জাল সৃষ্টি করবে বলে বলা হয়েছে - দেখবেন - তা বাস্তবে হয়ে গেছে।
সো আপনি যখন ইমপেক্ট নিয়ে কথা বলেন, কারন বিশ্লেষন করেন - দজ্জালের কারিশমার কাছে বন্দী - এসকল ভাইবোনদের - তা বোঝার কোন সুযোগ ই আর নেই।
আপনি বলতে পারেন মুসলিম জাতিটাই আজ লিটারেলী এইডস এর মত দজ্জালিক এই ব্যামোতে কুপোকাত হয়ে পড়েছে - এখন এটা সিম্পলী ইসলামের শেষ জামানার বানীগুলোকে বিমূর্ত করবে - কিন্তু অসহায় মুসলিম জানবে ও না - কিভাবে তারা দজ্জাল দিয়ে কনটিনিউ প্রতারিত হয়ে পড়েছে।
মনে কষ্ট পাবেন না। আপনি যথার্থই লিখেছেন। এ্যক্সেপশান অবশ্যই আছে - যেখানে অনেক বোন - দুটো ম্যানেজ করছেন এবং ভাই ও বোনকে বুঝতে পারছেন - কিন্তু রিয়েল লাইফে বেশীর ভাগ বোনরা ব্যার্থ হবেন এবং হচ্ছেন এবং বেশীর ভাগ ভাইরা বোনকে শারীরিক কিংবা মানুষিক টর্চার করছেন - এবং ফ্যামিলী লাইফ বলে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই সে পরিবারসমূহে। এটাই হল সত্য।
স্ত্রীরও দায়িত্ব এসে পড়ে তার স্বামীর সম্পদের হেফাজত করা স্বামীর অবর্তমানে আল্লাহর হেফাজতের মাধ্যমে ।
তার মানে , স্বামী যখন ঘরের বাইরে মানে কাজে থাকে তখন স্ত্রীর উপর দায়িত্ব আসে স্বামীর সম্পদের হেফাজতের । এবং সেটা সে ঘরের বাইরে গিয়ে করতে পারবে না ।
বিয়ের মত চাকরিও একটা চুক্তি ।
চাকরিতে চাকরিদাতা আপনাকে এপয়েন্টমেন্ট লেটারের সাথে তাদের নিয়মাবলীও ধরিয়ে দেয় । সেখানে তাদের কিছু শর্ত থাকে এবং থাকে সেগুলোর ভায়োলেট হলে কি হবে । এবং আপনার জন্য তারা কি কি সুবিধা দিবে সেটা বলা থাকে এবং কিভাবে সেটা এভেইল করবেন সেটাও বলা থাকে ।
অফিসে ঠিক টাইমে পৌছা , ঠিক ঠাক মত কাজ করা এবং সময় মত বের হওয়া - সব কিছুই আপনি ঠিক ঠাক পালন করার চেষ্টা করেন ।
এখন আপনি যদি এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময়টাতে , প্রাইম টাইমে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা যদি আরেকটি প্রতিষ্ঠানে সাইড বাই সাইড কাজ করেন তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান কি সেটা বরদাস্ত করবে ?
ঠিক এমনি ভাবেই একজন স্ত্রীর বিয়ের পর দায়িত্ব এসে পড়ে বিয়ের পর তার স্বামীর সংসারের । সংসারের দায়িত্বের প্রাইম টাইমে স্ত্রী যদি বাইরে গিয়ে চাকরি করতে চায় সেটা কি শরিয়ত সন্মত ? শরিয়ত মোতাবেক সে তার স্বামীর কাছ থেকে সব কিছু পাচ্ছে , স্বামীর প্রতি শরিয়ত মোতাবকে দায়িত্ব পালন কি চাকরি করার মাধ্যমে রক্ষা করা যায় ?
সে যখন বাইরে থাকে তখন হয়ত সংসারের কাজ বুয়া - মা- শাশুড়িকে দিয়ে করিয়ে রাখছে । ফলে স্বামীর সংসার সে স্বশরীরে দেখভাল না করলেও তাদের দিয়ে মেইনটেইন করিয়ে যাচ্ছে ।
এখন স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি তার যে সব আর্থিক দেখভাল ছিল তা যদি মা-বুয়ার মধ্যে ভাগ করে দেয় তাহলে স্ত্রী কি খুব খুশী হবে ? যদি স্ত্রীকে শাড়ি না দিয়ে শুধু মাকে বা মাঝে মাঝে কখনও বুয়াকে শাড়ি কিনে দেয় যারা স্ত্রীর সাবস্টিটিউটই বেশ কিছু কাজ করে দিচ্ছে , বা মাকেই শুধু বেড়াতে নিয়ে যায় বা বুয়াকে টাকা দিয়ে দেয় দেশ থেকে ঘুরে আসার জন্য যেটা আসলে স্ত্রীরই ছিল - সেটাতে কি স্ত্রী ছাড় দেবে ?
সংসারের যাবতীয় খরচের দায়িত্ব ছেলেদেরই , তাদেরকেই সংসারের সব কিছুর জন্য আয় করতে হয় ।
যেখানে স্ত্রীর কোন আর্থিক দায়দায়িত্ব নেই সেখানে স্ত্রী যদি তার স্বামীর সংসারের কাজকে গৌন করে ''লেখাপড়া করেছি বসে থাকার জন্য ? ঝি গিরি করার জন্য ?'' - এই মুডে চলে চাকরিকেই মুখ্য করে ফেলে তাহলে সে কি শরিয়তের খেলাফ করছে না ?
চাকরির ফলে সে যা কামাই করে তা দিয়ে সে কি করবে ? সে তো স্বামীর কাছ থেকেই পাবার কথা তার যাবতীয় লাক্সারী অথচ স্বামীর জন্য তার যা দায়িত্ব তা সে গৌন করে রেখেছে ।
নেবার বেলায় ১৬ আনা আর দেবার বেলায় শিক্ষার উপযুক্ত ব্যবহারের অজুহাত ।
যেহেতু চাকরির টাকা তাকে খরচই করতে হয় না তাহলে এই টাকা সে কি কাজে লাগায় ?
সে যদি সদকা করে এবং এর ফলে সওয়াবও কামায় , তাহলে যে স্বামী দায়িত্ব পালন করতে করতেই তার আয় শেষ করে ফেলে সদকার করার মত তার তো টাকাই বাকী থাকে না ।
কথা হল , টাকা খরচ করা যার জন্য অপশনাল সে যদি তা সদকা করে সওয়াব কামাই করে তাহলে দায়িত্ব পালন করেই যে পেরেশান সে কি সদকার সওয়াব থেকে বন্চিত থাকবে ?
যেহেতু সংসারটা উভয়েরই তাই সংসারে উভয়েরই সমান কন্ট্রিবিউট থাকা উচিত ।
বিয়ে করার ফলে মেয়েদের দায়িত্ব এসে পড়ে তার স্বামীর সংসারের যে যতই বকলম হোক না কেন বা পিএইচডি ডিগ্রী ধারী । ইসলামী শরিয়ত বকলম বা পিএইচডিদের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে কিছু বলে দেয় নি ।
বিয়ে করতে যাচ্ছে একজন পিএইচডি ডিগ্রী ধারীর এমন মানসিকতা গড়ে তোলা উচিত যে তার শরিয়ত সে যে পিএইচডি ডিগ্রী ধারী এটার জন্য তাকে তার স্বামীর সংসারকে গৌন করে অপরের কাজ করতে যেতে ছাড় দেয় নি ।
যদি সে শিক্ষার উপযুক্ত ব্যবহার করতেই চায় তাহলে সেটা অবশ্যই তার স্বামীর অনুমতি নিয়ে , শরিয়ত মেনে এবং সেটা সে করবে সংসারের খরচে স্বামীর সাথে শেয়ার করে ।
এই শেয়ার করাকে সে স্বামীর প্রতি উদারতা দেখিয়েছে বললে ভুল করবে , কারণ স্বামী অনেক উদার বলেই তাকে চাকরি করতে দিয়েছে তার সংসারটার সাথে কম্প্রোমাইজ করে ।
এই পিএইচডি ধারীর প্রতিষ্ঠান কি দেবে তাকে তাদের আসল সময়ের ভেতরে আরেক জায়গায় পার্ট টাইম কাজ করতে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন