কিছু আমাদের সৃষ্ট সমস্যা বনাম ধর্ম

লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নীল৫৬ ১০ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:১৪:০৫ রাত



অনেকগুলো ব্যাপারকে আমরা খারাপ মনে করছি, অথচ ধর্ম বলছে অন্য কথা . চলুন দেখি, এরকম কিছু সমস্যা

১. তালাক: স্বামী-স্ত্রী একে অপরের মুখ পর্যন্ত দেখতে পারে না . স্ত্রী হয়তো প্রতি বেলায় মার খাচ্ছে আর ভাগ্যের পরিহাস ভেবে মেনে নিচ্ছে . তবু সন্তানের দিকে তাকিয়ে, মা-বাবার দিকে তাকিয়ে মুখ বুজে সহ্য করছে .

কিন্তু এসব ক্ষেত্রে, ধর্ম বলছে, প্রাথমিকভাবে দু পক্ষের অভিভাবকের মাধ্যমে সংশোধনের চেষ্টা করা হবে . কিন্তু ফেইল হলে তালাক দিয়ে আলাদা হয়ে যেতে .

২. স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান: ছেলে যদি বয়সে বড় মেয়েকে বিয়ে করে সবাই বাকা চোখে তাকায়, অথচ বিবি খাদিজার বয়স আমাদের নবী(সা) হতে ১৫ বছর বেশি ছিল .

আবার মেয়ের চেয়ে বয়স যদি বরের অনেক বেশি হয়, তবুও ছি ছি পড়ে যায় . অথচ বিবি আয়েশা (রা) কত ছোট ছিলেন আমাদের নবী(সা) থেকে

এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দুজন দুজনকে পছন্দ করা, বয়স কোনো ফাক্টর নয় .

৩. একাধিক বিয়ে : একগাদা গার্ল ফ্রেন্ড থাকলে সমস্যা নেই, কিন্তু দুটি বিয়ে করলেই ঘেন্না, ঘেন্না . অথচ, আমাদের নবী(সা)সহ অনেক সাহাবীর একাধিক স্ত্রী ছিল .এক্ষেত্রে ধর্মের বক্তব্য- সব স্ত্রীর মাঝে সুবিচার, ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা

৪. তাবিজ-তুমার: অনেকেই অনেক পয়সা এর পেছনে খরচ করছেন, কিন্তু পুরো নিষিদ্ধ

৫. প্রতিকৃতিতে ফুল প্রদান, : এগুলো ধর্ম সমর্থন করে না

৬. মিলাদুন্নবী: সাহাবারা এসব করেন নি

ইত্যাদি অনেক বিষয় আছে যেগুলো আমরা কঠিন করে ফেলেছি, অথচ ধর্মের নির্দেশনা অন্য রকম .

বিষয়: বিবিধ

১০০৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

161023
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এখনকার মেয়েরা অত্যাচার সহ্য করবে – সন্তানের দিকে তাকিয়ে? সে তো বহু দূরের কথা। তারা বেশ্যামীর মতো রং-ঢং রাস্তায় গিয়ে করতে না পারলে – অবুঝ সন্তানকে পুজি করে, তাকেও পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করে বেশ্যামীর অধিকার আদায় করে নেয় ...

পুরুষদের এতোটা দোষ নাই, যতোটা দোষ ঐ নারী-নামক বেশ্যাদের।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File