হস্তমৈথুন কি যায়েজ?
লিখেছেন লিখেছেন তাহমিদ ইব্রাহীম ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:১০:২৯ সকাল
যুবকদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি
হস্তমৈথুন কি যায়েজ?
হস্তমৈথুন হলো হাতের সাহায্যে বির্যপাত ঘটানো। এব্যাপারে স্পষ্ট কোন কুরআনের আয়াত বা হাদীস পাওয়া যায়না তাই আসুন কিছু আয়াত নিয়ে আলোচনা করে দেখি হস্তমৈথুন যায়েজ হতে পারে কিনা?
আল্লাহ তাআলা বলেন,
আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।
আল কুরআন ১৭:৩২
এই আয়াত থেকে বলা যায়না যে হস্তমৈথুন অবৈধ কারণ এখানে যেনা মানে নারি পুরুষের সঙ্গম কে বুঝানো হয়েছে তাই আসুন আর একটু সামনে দেখি।
আল্লাহ বলেন,
(হে রাসূল সা আপনি বলে দিনঃ আমার পালনকর্তা কেবলমাত্র অশ্লীল বিষয়সমূহ হারাম করেছেন যা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য
(আংশিক)
আল কুরআন ৭:৩৩
এখানে আল্লাহ তাআলা সমস্ত অশ্লীল বিষয়কে হারাম করেছেন। এখন আপনাকে আমি বিবেকের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দিলাম, আপনি নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন হস্তমৈথুন অশ্লীল কিনা?
যদি অশ্লীল হয় মানে আপনার বিবেক অশ্লিল বলে তাহলে অবশ্যই তা বৈধ নয় কারণ অশ্লীল জিনিস আল্লাহ হারাম করেছেন।
কি সমাধান মেনে নিতে পারছেন না? ও ... আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আপনার বিবেকতো আবার পশুর সমান, তাহলে আসুন আরেকটু সামনে দেখি
আল্লাহ বলেন,
মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে,
আল কুরআন ২৩: ০১
এই সফলকাম মুমিন কারা? এদের বর্ননা দিতে গিয়ে আল্লাহ বলেন,
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।
তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।
আল কুরআন ২৩: ৫-৬
এখান থেকে আমরা জানতে পারলাম শুধুমাত্র নিজের স্ত্রী এবং দাসি (কেনা গোলাম) এর কাছে সংযত রাখার প্রয়োজন নেই মানে এই দুই যায়গা ব্যতীত সকল ক্ষেত্রেই যৌনাঙ্গের হেফাজত করতে হবে, যদি আপনি হাতের মাধ্যমে নিজের যৌন চাহিদা দমিয়ে রাখতে চান তা বৈধ নয় তাহলে যৌনাঙ্গ হেফাজত হলোনা, সুতরাং হস্তমৈথুন হারাম হারাম এবং হারাম
রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন--
"যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের) নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের নিশ্চয়তা দিব।
"(বুখারী ও মুসলিম)
যতোদিন থাকিবে দুই হস্ত
ততোদিন হইবোনা নারীর দারস্ত
এই শ্লোগান চিরতরে মন থেকে মুছে ফেলুন।
বিষয়: বিবিধ
৪২৪৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাই শরয়ী বিষয়ে আলোচনায় উভয়দিক তুলে ধরা কর্তব্য!
জেনে-বুঝে হারামে লিপ্ত হওয়া ঈমানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, এতে মানসিক যে অধোপতন ঘটে তার কোন সীমা নেই!
কিন্তু ছোটগুণাহর জন্য মানসিক বিপর্যয় তেমনটা নয়!
তাই যা অকাট্য হারাম নয় তাকে হারাম বলাও হারাম!!
৫নং মন্তব্যে একমত!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন