ইমাম আবু হানিফাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি বলে যে, ‘জানি না আমার প্রতিপালক আকাশে আছেন নাকি পৃথিবীতে’ সে অবশ্যই কাফের হয়ে যায়।

লিখেছেন লিখেছেন তাহমিদ ইব্রাহীম ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:২১:২২ দুপুর

ইমাম আবু হানিফাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি বলে যে, ‘জানি না আমার প্রতিপালক আকাশে আছেন নাকি পৃথিবীতে’ সে অবশ্যই কাফের হয়ে যায়। যেহেতু আল্লাহ বলেন, “দয়াময় আল্লাহ আরশে আরোহণ করলেন।” আর তাঁর আরশ সপ্তাকাশের উপরে। আবার সে যদি বলে, ‘তিনি আরশের উপরেই আছেন’, কিন্তু বলে, ‘জানি না যে, আরশ আকাশে আছে নাকি পৃথিবীতে’-তাহলেও সে কাফের। কারণ সে একথা অস্বীকার করে যে, তিনি আকাশে আছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তাঁর আরশে থাকার কথা অস্বীকার করে, সে অবশ্যই কাফের হয়ে যায়। যেহেতু আল্লাহ সকল সৃষ্টির ঊর্ধে আছেন এবং উপর দিকে মুখ করে তাঁকে ডাকা হয়(দু’আ করা হয়), নিচের দিকে মুখ করে নয়’।

(শারহুল আক্বীদাতিত্ব ত্বাহাবিয়াহ ৩২২ পৃ,আল ফিকহুল আবসাত্ব ৪৬ পৃ, ইতিক্বাদু আইম্মাতিল আরবাআহ ১/৬)

বিষয়: বিবিধ

২৪২৯ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

164377
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : প্রথমেই বলে নিচ্ছি এখানে এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছি যে বিষয়টার ক্ষেত্রে দলিল খোদ কুরান ।আর বিষয়টার মীমাংসা খাইরুল কুরুণেই হয়ে গিয়েছে ।তাঁরা যে ব্যাখ্যা দিয়ে গিয়েছেন সে ব্যাখ্যাকে এড়িয়ে এখন শুধু কুরাণের আয়াত ঝাড়ার মানে হলো প্রকারান্তে এরকমটিই বলা যে ,ইমামদের আকীদা এক্ষেত্রে গলদ ছিল বা তাঁরা কুরান হাদীস বুজতেন না (নাউযুবিল্লাহ)।আর এব্যাখ্যার ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত যে দুটি কিতাবের উপর নির্ভর করেছেন তাহলো ইমাম আবু হানীফা রঃ কর্তৃক রচিত 'আল ফিকহুল আকবার' ও সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম সংকলনের পরের এক সতন্ত্র মুহাদ্দিস ইমাম তহাবী রঃ কর্তৃক রচিত 'আল আকাঈদ আত তাহাবীয়াহ' (তাই তিনি এবিষয়ে সহীহ হাদীস জানতেন না এরকমটি বলা মূর্খতা বৈ কিছুই নয়) ।তাই এখন একে অপরকে কুরানের আয়াত না দেখিয়ে আমাদের পূর্ববর্তীদের ব্যাখ্যার আলোকে এবিষয়ে আকীদা রাখলেই ইনশাআল্লাহ সঠিক পথ পেয়ে যাব ।তাই দেখি তাঁরা কি বলেছেন এবিষয়েঃ

"আহলুস সুন্নাত আল্লাহর সিফাতকে দুভাগে ভাগ করেছেনঃ

১।আল্লাহর যাতী বা সত্তাগত সিফাত (তাঁর বিদ্যমানতা,ক্ষমতা,ইল­ম,কালাম তথা কথা,শোনা,দেখা,ইচ্ছা)

২।তাঁর কর্মমূলক সিফাত (সৃষ্টি করা,রিযিক দান করা,সমাসীন হওয়া,অবতরণ করা ইত্যাদি)

কুরানে আল্লাহর যত সিফাতের কথা আছে সবএই দুভাগকে কেন্দ্র করেই ।আহলুস সুন্নাত তাঁর সব সিফাতকে দৃঢ়ভাবে স্বীকার করেন এবং দৃঢ়ভাবে একথাও বলেন তাঁর এসকল সিফাত মাখলুকের মতো কোনো ভাবেই নয় [সূরা শুরাঃ ১১]। যেমনঃ তিনি দেখেন তবে তাঁর দেখা আমাদের মতো নয় ।তাঁর হস্ত,চোখ,পা,চেহারা আছে তা তাঁর বিশেষণ তথা সিফাত হিসেবেই স্বীকার করেন আহলুস সুন্নাত এর স্বরূপ নির্ণয় ব্যতিরেকেই (তাঁর সত্তার প্রয়োজনগত কিছু হিসেবে চিন্তা করে নয়) [সাদঃ৭৫,মায়িদাঃ৬৪,কা­মারঃ১৪,ইখলাসঃ২]।তাঁর­ হাত দারা তার ক্ষমতাকে ব্যাখ্যা করা হবে না বরং তাঁর হাত তাঁর বিশেষণ কোনো স্বরূপ নির্ণয় ব্যতিরেকে ।এসব সিফাত কে অস্বীকার করে বাতিল করা মুতাযিলা ও কাদরিয়াদের রীতি।"-[দ্রঃ আল ফিকহুল আকবার,পৃঃ ২১-৩৭]

তেমনি আহলুস সুন্নাত বিশ্বাস ও স্বীকার করেন আল্লাহ সমাসীন আরশের উপর [ত্বহাঃ ৫] ।অর্থাত্ আহলুস সুন্নাত এটিকে তাঁর একটি বিশেষণ তথা সিফাত হিসেবেই স্বীকার করেন (তাঁর সত্তার প্রয়োজনগত কিছু হিসেবে নয়) ।আবার তাঁরা স্বীকার করেন তিনি সর্বত্রবিরাজমান (হাজির নাজির) ।এটিও তাঁর আরো একটি সিফাত মাত্র (সত্তাগত হিসেবে নয়) ।কারণ কুরানে বারংবার তাঁর এই সিফাত বা গুনের কথা বলা হয়েছে যে তিনি বান্দার সাথে আছেন যেখানেই থাক [বাকারাঃ ১৮৬]। এইসবগুলোকে তাঁর সিফাত বা গুণাবলী হিসাবেই ওহীর অনুসরণ করে বিশ্বাস করাটা জরুরী এবং ঈমানের অংশ [নিসাঃ ১২২]।

তাইতো ইমাম আবু হানীফা রহঃ তাঁর 'আল ওসীয়াত' কিতাবে বলেছেনঃ

"আমরা স্বীকার ও বিশ্বাস করি আল্লাহ আরশের উপর সমাসীন ,কোনো প্রয়োজন ব্যতিরেকেই এবং কোনো স্হিরতার প্রয়োজন ব্যতিরেকেই।তিনিই আরশ ও অন্যসবকিছুর সংরক্ষক ।তিনি যদি আরশের মুখাপেক্ষী হতেন তবে তিনি এ বিশ্বকে পরিচালনা করতে পারতেন না ,তাঁর মাখলুকের মুখাপেক্ষী হয়ে যেতেন ।আর যদি আরশে স্হির হওয়ার প্রয়োজনীয়তাই তাঁর থেকে থাকে তবে আরশ সৃষ্টির পূর্বে তিনি কোথায় ছিলেন ?তাই তিনি এসকল বিষয় থেকে পবিত্র এবং অনেক উর্দ্ধে ।"

ইমাম মালিক রহঃ কে আল্লাহর আরশে সমাসীন হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ

"সমাসীন হওয়ার বিষয়টি পরিজ্ঞাত,এর স্বরূপ অজ্ঞাত,এবিষয়ে প্রশ্ন করা বিদআত এবং এবিষয়ে বিশ্বাস করা জরুরী ।"-[মোল্লা আলী কারী,শরহে ফিকহুল আকবর ,পৃঃ ৭০]

তাই সিফাত হিসেবেই আল্লাহর আরশে সমাসীন হওয়া,শেষ আকাশে অবতরন,সর্বত্রবিরাজমান,তাঁর হস্ত,পা,চোখ ইত্যাদির উপর বিশ্বাস করা এবং তা অবশ্যই মাখলুকের সদৃশ্য থেকে পুরো পবিত্র জ্ঞান করা ।এরূপ বিশ্বাস করা জরুরী কিন্তু এর স্বরূপ বিষয়ে প্রশ্ন করা বিদাত ।এটাই হলো ঈমান এবং এই মাসালায় সহীহ আকীদার একটি অংশ মাত্র ।

আহলে সুন্নাতের ইমামদের এব্যাখ্যাকে বুনিয়াদ রেখেই ইমাম তাহাবী রহঃ তাঁর রচিত বিখ্যাত আকীদার কিতাবটিতে ,যা একযুগে মক্কা মদীনা ও সমগ্র আরব বিশ্বসহ দারুল উলুম দেওবন্দেও সর্বপ্রথম দরস দেওয়া হয়,বলেনঃ

"আল্লাহ সীমা-পরিধি ,অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও উপাদান-উপকরণের বহু উর্দ্ধে । যাবতীয় ঊদ্ভাবিত সৃষ্ট বস্তুর ন্যায় তাঁকে ষষ্ঠ দিক পরিবেষ্টন করতে পারে না ।আল্লাহর আরশ ও কুরসি সত্য ।প্রতিটি বস্তু তাঁর পরিবেষ্টনে রয়েছে এবং তিনি সবকিছুর উর্ধ্বে ।সৃষ্টিজগত তাঁকে আয়ত্ত করতেপারে না ।"-[ইমাম তহাবী,আল আকাঈদ আত তাহাবীয়াহ পৃঃ ১০-১৩]

আর এটাই হলো তাওহীদ ।এটা সেই মাসালার শেষ আংশ ।এটাই ছিল আহলুস সুন্নাতের মূলনীতি পূর্ণ আকীদার ক্ষেত্রে যেখানে সংমিশ্রন ঘটেছে ঈমানের সাথে পূর্ণ তাওহীদের। কারণ আরশ আল্লাহর সৃষ্ট মাখলুক এব্যপারে কারো দ্বিমত নেই ।তিনিই আরশের সংরক্ষক এতেও কারো দ্বিমত নেই ।কিন্তু এখনকার জাহেল সালাফীরা এই বিভ্রান্তি পড়ে আছে যে,আল্লাহ তাঁর বিদ্যমানতার জন্য তিনি আরশের মুখাপেক্ষী বা সীমাবদ্ধ [নাউযুবিল্লাহ ;সূরাঃ ইখলাসঃ ২] ।যা সুস্পষ্টই তাওহীদ পরিপন্হী আকীদা ।এরা (সিফাত হিসেবে নয় বরং) আল্লাহকে তাঁর অবস্হানের ও স্হিরতার প্রয়োজনেই তাঁকে আরশে সীমাবদ্ধ মনে করে তাঁকে স্হান কালের সীমাবদ্ধ করে ফেলে ! তাঁর জন্য দিক বা পক্ষ নির্দিষ্ট করে ফেলে !তাঁর জন্য দেহ সাবস্ত্য করে ফেলে যা সলফদের ব্যাখ্যার ও আকীদার সম্পূর্ণ বিপরীত এবং ভ্রান্ত মুজাসসিমা ফিরকার আকীদার সদৃশ !তাছাড়া এরা কুরানের মুহাকাম আয়াত [ইখলাসঃ ২,শুরাঃ ১১] রেখে মুতাশাবিহ আয়াতের অনুসরণ করে [আলে ইমরানঃ ৭,মিশকাত,পৃঃ ২৮] এসব বিষয়ে সলফও ইমামদের ব্যাখ্যা ও আকীদাকে পদদলিত করে কুরানের কিছু অংশে ঈমান আনা সত্তেও তাওহীদ অংশে মতবিরোধ করে স্পষ্টভাবেই শির্কে নিপতিত হয় [ইউসুফঃ ১০৬]।

তাই যাঁরা এই দু অংশকেই হুবহু সলফদের মতো অন্তরে ধারণ করবে তাঁদের আকীদাই আহলুস সুন্নাতের আকীদা ।আর যারা ঈমানের অংশ মানবে আর কুরানের তাওহীদের অংশ মানবে না তারা বিভ্রান্ত আকীদার।

রাবিতাতুল আলামিল ইসলামীর (সৌদি আরব,মক্কা মুকাররমা) সদস্য;নোবেল পুরষ্কার তুল্য মূল্যবান 'বাদশা ফয়সাল' পুরষ্কারে পুরষ্কৃত;ইউরোপের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ 'অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি' তে ইসলাম সম্পর্কিত সর্বপ্রথম বিভাগ 'অক্সফোর্ড সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ' বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা; আরব বিশ্বে সাড়াজাগানো বই Islam & the World এর স্বনামধন্য লেখক এবং সারা বিশ্বের কাছে সমাদৃত

আলেম ও দাঈ সাইয়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী রহঃ তাঁর 'দস্তুর ই হায়াত' কিতাবে আহলুস সুন্নাতের আকীদা বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহর সিফাত বিষয়ক আকীদার বিষয়ে বলেনঃ "আল্লাহর সিফাত ও কার্যাবলী সম্পর্কে কোনরূপ রূপক ব্যাখ্যা পরিবর্তন-পরিবর্ধন ব্যতিরেকেই তাঁরা (আহলুস সুন্নাত) ঠিক তেমনিভাবে স্বীকার করেন যেমন সয়ং আল্লাহ সেগুলো সম্পর্কে বলেছেন।...শাহ ওয়ালীউল্লাহ মোহাদ্দেসে দেহলবী রঃ ও তাঁর সমদর্শী ও সমমর্যাদাসম্পন্ন আলিমগনই কুরান ও হাদীসের শাব্দিক ও রূপক ব্যাখ্যার মাঝামাঝি ন্যায়

পন্হা অবলম্বনকারী।ইসলামী আকীদা শাস্ত্র বিষয়ে তাঁর রচিত 'আল আকীদাতুল হাসানা' গ্রন্হটি মর্ম ও বক্তব্যের গভীরতা ,ভাষার ব্যঞ্জনা ও প্রাঞ্জলতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।...তাই আমরা এই পরিচ্ছেদে উক্ত কিতাবটিকেই বুনিয়াদ হিসেবে নিয়েছি।সমুহান পূর্বসূরীদের অপরাপর নির্ভরযোগ্য গ্রন্হ যেমন 'আকীদাতুত তহাবী' ও অন্যান্য নির্ভরযোগ্য আকীদা গ্রন্হেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে।ইসলামের বুনিয়াদী আকীদাসমূহঃ

...আল্লাহ তাআলা অন্য কোন সত্তায় প্রবিষ্ঠ ও একীভূত হওয়া থেকে পবিত্র।তিনি তাঁর সত্তা ও গুনাবলী সব কিছুতেই অনিত্যতা ও আদিত্ব থেকে মুক্ত। তিনি এমন সত্তা যা স্বঅস্তিত্বে বিদ্যমান বটে কিন্তু কোনো বিশেষ মহল বা স্হানের সাথে যুক্ত নন।তেমনিভাবে তাঁর স্বীয় অস্তিত্বের জন্য অপর একটি বস্তুর মুখাপেক্ষীও নন।দেহবিশিষ্টও নন তিনি,কোন দিক বা স্হানের গন্ডিতে তিনি আবদ্ধও নন।তিনি আছেন আরশের ওপর।কিয়ামতের পর তাঁর দীদার হবে মুমিনদের।তিনি যা চান তাই হয়,যা চান না তা হয় না।তিনি অনপেক্ষ,কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন।"-[শাহ সাহেব রঃ এর 'আল আকীদাতুল হাসানা' থেকে 'দস্তুর ই হায়াত',পৃঃ ৭৩-৭৪]

শাহ ওয়ালীউল্লাহ রহঃ এর তাঁর বিখ্যাত 'হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা'

কিতাবে তাওহীদ বিষয়ে লেখেনঃ "তাওহীদ বা আল্লাহকে এক

বলে বিশ্বাস করার দরজা হলো চারটিঃ

ক)কেবল আল্লাহকে ওয়াজিবুল ওয়াজুদ বা অবশ্যম্ভাবী অস্তিত্বশীল সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করা । তিনি ব্যতিত ওয়াজিবুল ওয়াজুদ বলতে আর কেউ (এবং কোন কিছু- Poster) হতে পারে না ।

খ)আল্লাহকে আরশ,আসমান-যমীন ,স্ব অস্তিত্বে বিদ্যমান সকল বস্তুর (দিক,পক্ষ,স্হান,কাল-Poster) একমাত্র সৃষ্টিকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করা ।

গ)আসমান যমীন ও যা কিছু এর মাঝে আছে সব কিছুর শৃঙ্খলা বিধান,এগুলোর পৃথকীকরণ ও সকল ব্যবস্হাপনা একমাত্র আল্লাহর হাতে বলে বিশ্বাস করা ।

ঘ)আল্লাহ ছাড়া আর কিছুকে ইবাদাতের যোগ্য বলে মনে না করা ।"- [হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা,১/৫৯-৬০]

'হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা' থেকে শাহ সাহেব রঃ এর 'তাওহীদে রাবুবিয়াত' এর অংশটুকু কোট করার উদ্দেশ্য হলো 'খ' অংশটিকে তুলে ধরা।

আহলে সুন্নাতে সকলেই আল্লাহ সম্পর্কে সবাই এক কথায় লেখেনঃ আল্লাহ সমাসীন আরশের উপর ।এর পর যদি কেউ সমাসীনের সরূপ নিয়ে প্রশ্ন করে বসে।তাঁরা উত্তরে বলেনঃ লা আদরি বা আমি জানি না।তবে এরূপ প্রশ্ন করা বিদআত।

শাহ সাহেবসহ আহলুস সুন্নাতের ইমাম,মুহাদ্দিসীনে কিরাম সহ

সকল সলফে সলেহীন আল্লাহর আরশে সমাসীন হওয়ার সিফাতকে বিশ্বাস করেন তাতে তাঁর অবস্হান ও স্হিরতার প্রয়োজন ব্যতিরেকেই।সেই সাথে আহলুস সুন্নাতের সকলেই আল্লাহকে স্হান কাল ,দিক পক্ষ, সীমা পরিধি,উপাদান উপকরণ এবং তাঁর জন্য দেহ সাবস্ত্য না করে এগুলো থেকে তাঁকে পবিত্র জ্ঞান করেন।তাঁরা কুরানে মুতাশাবিহ/ দ্ব্যর্থবোধক আয়াতে বর্ণিত আল্লাহর সকল সিফাত (সমাসীন

হওয়া,বান্দার অধিক নিকটবর্তী থাকা,অবতরন করা,হাত,পা,চোখ,চেহারা,হাসি) দৃঢ়ভাবে স্বীকার করে নিয়েই

সে বিষয়ে সীমিত জ্ঞানে যুক্তি দিয়ে রহস্য উদঘাটন করতে না যেয়ে মুহাকামাত/­ দ্ব্যর্থহীন আয়াতকে ধারণ করে চুড়ান্ত পর্যায়ের তাওহীদের দিকে ধাবিত হয়েছেন এবং সেই পথ দেখিয়েও গিয়েছেন।উপরে বর্ণিত শাহ সাহেবের বক্তব্য এর জলন্ত প্রমাণ,যাতে আছে সত্য অন্বষণকারীদের জন্য দিক নির্দেশনা।

কিন্তু শাহ সাহেব সহ আহলে সুন্নাতের সকল ইমাম ও সলফে সলেহীনদের সুস্পষ্ট বিশ্বাসের বিপরীতে বর্তমানের নব প্রডিউজড সো কলড সহীহ আকীদা ও তাওহীদ তাওহীদ বলে চিল্লাপাল্লা করা কথিত আহলে হাদীসগোষ্ঠীগুলো তাওহীদ বাদ

দিয়ে শয়তানি যুক্তি দিয়ে 'অবস্হান বা স্হিরতার প্রয়োজনেই' আল্লাহর সমাসীন হওয়ার আকীদা রেখে তাঁকে তাঁর সৃষ্ট আরশের (দ্রঃ 'খ') মুখাপেক্ষী সাবস্ত্য করে,আল্লাহর জন্য দিক, পক্ষ,স্হান কাল সাবস্ত্য করে তাঁকে এসবের মুখাপেক্ষী মনে করে এবং তাঁর জন্য দেহ সাবস্হ্য করার আকীদা রেখে সুস্পষ্টভাবেই চুড়ান্ত পর্যায়ের শির্কে নিপতিত হয় ।[ইখলাসঃ ২,শুরাঃ ১১]

"তারা অধিকাংশ আল্লাহকে বিশ্বাস করে,কিন্তু তাঁহার সাথে শির্ক করে"-[ইউসুফঃ১০৬]

"তিনিই তোমাদের প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার কতক আয়াত সুস্পষ্ট দ্ব্যর্থহীন,এগুলি কিতাবের মূল

অংশ;আর অন্যগুলি দ্ব্যর্থবোধক একাধিক অর্থের সম্ভাবনাময়।

যাদের অন্তরে সত্য লঙ্গন প্রবণতা আছে শুধু তারাই ফিতনা এবং ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে দ্ব্যর্থবোধক বিষয়গুলির অনুসরণ করে"-[আলে ইমরানঃ ৭]

আয়েশা রাঃ বলেনঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই

আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন (আলে ইমরানঃ৭) এবং ইরশাদ

করলেনঃ যখন তোমরা ঐসব লোকদের দেখবে যারা কুরানের মুহকামাত আয়াত ছেড়ে মুতাশাবিহ আয়াতের অনুসন্ধান করে তখন তোমরা এদের থেকে দূরে থাকবে"-[মিশকাত,পৃঃ ২৮]

কতিপয় তাওহীদ :

১।আল্লাহর সত্তা আছে তবে তা অন্য সৃষ্ট বস্তুর মতো নয় ।তিনি দেহহীন ।তার কোনো সীমা নেই ,তিনি অসীম ।তিনি সীমাহীন ।-ফিকহুল আকবর ,পৃঃ ৩৪। ২।আরশে আজীম আল্লাহর সৃষ্ট মাখলুক এবং আল্লাহই আরশে আজীমের সংরক্ষক । [শরহে ফিকহুল আকবর,পৃঃ ৭০; হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ১/৫৯-৬০] ৩।আল্লাহ তাআলা আকলে কুলোয় না এমন সবকিছুরও সৃষ্টিকর্তা দিক, পক্ষ ,স্হান ,কাল ,সময় ইত্যাদি সবকিছু সবকিছু ।বুজে আসুক বা না আসুক ।এটাই তাওহীদে রবুবিয়্যাত । [হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ১/৫৯-৬০] ৪।আল্লাহ তাআলা তাঁর অবস্হান বা স্হিরতার জন্য তাঁর সৃষ্ট কোনো কিছুর মুখাপেক্ষী নন ।কেউ যদি তা মনে করে তবে তা সুস্পষ্ট কুফুরী ও শির্ক ।[সূরাঃ ইখলাসঃ ২] ৫।আরশকে আল্লাহর সত্তার অংশ মনে করা সুস্পষ্ট কুফুরী । বরং আল্লাহ আরশ আসমান জমিনের সৃষ্টিকর্তা এবং এসব তাঁর মাখলুক এবং তাঁর সত্তা ও তাঁর মাখলুক সম্পুর্ণ পৃথক । ৬।কেবলমাত্র আল্লাহর সত্তাই অবিনশ্বর আর সবকিছুই নশ্বর । সূরা রহমানঃ ২৬-২৭ ।একমাত্র আল্লাহর সত্তা ব্যতিত অন্যকিছুকে অবিনশ্বর মনে করা সুস্পষ্ট কুফুরী ও শির্ক । ৭।আল্লাহর গুনাবলীও অনন্ত । এগুলোর কোনোরূপ পরিবর্তন নেই এবং হয় না হবেও না ।পরিবর্তন হয় মনে করা শির্ক ও কুফুরী । ৮।আল্লাহর সত্তা তাঁর সৃষ্ট অন্য কোনো কিছুর ভিতরে প্রবিষ্ট হয় না এবং তাঁর সত্তার মাঝেও অন্য কিছু প্রবিষ্ট হয় না ।অর্থাত্ তাঁর সত্তা তাঁর সৃষ্ট অন্য যেকোনো বস্তু বা সত্তার মধ্যে একীভুত হওয়া থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র । কোনো কিছু তাঁকে আয়ত্ব করতে পারে না বরং সবকিছুই তাঁর আয়ত্তাধীন এবং কোনো কিছুই তাঁকে পরিবেষ্টন করতে পারে না । তিনি সকল সীমাবদ্ধতা ,অপর বস্তুর আয়ত্তাধীনতা ও পরিবেষ্টন থেকে মুক্ত ও পবিত্র । ["আল্লাহ সীমা-পরিধি ,অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও উপাদান-উপকরণের বহু উর্দ্ধে । যাবতীয় ঊদ্ভাবিত সৃষ্ট বস্তুর ন্যায় তাঁকে ষষ্ঠ দিক পরিবেষ্টন করতে পারে না ।আল্লাহর আরশ ও কুরসি সত্য ।প্রতিটি বস্তু তাঁর পরিবেষ্টনে রয়েছে এবং তিনি সবক উর্ধ্বে ।সৃষ্টিজগত তাঁকে আয়ত্ত করতেপারে না ।"-[ইমাম তহাবী,আল আকাঈদ আত তাহাবীয়াহ পৃঃ ১০-১৩] উপরের তাওহীদের আলোকে স্বরূপ ও ব্যাখ্যা ব্যতিত আরশে সমাসীন,বান্দার নিকটবর্তী থাকা বা সর্বত্রবিরাজমান হওয়ার সিফাতের বিষয়ে ঈমান রাখতে হবে । কিন্তু ঈমান রাখার পর উভয় সিফাতের ক্ষেত্রে চিন্তাকে তাওহীদপরিপন্হী করাই শির্কে নিপতিত হওয়ার কারণ হবে ।অর্থাত্ এগুলোর স্বরূপ ও ব্যাখ্যা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে ঈমান রাখা হবে । বলা হবে এই বিষয়ের স্বরূপ আল্লাহ ই ভাল জানেন তবে আমরা ঈমান রাখি ।এর পর চিন্তাকে আর বাড়িয়ে দেওয়া হবে না ।
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
118708
ঈগল লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খায়রান। লেখক যা সংক্ষেপে বলতে চেয়েছে আপনি তা বিস্তারিত লিখে বিষয়টিকে আরো সহজ করে দিলেন। আশা করছি এটিকে পোস্ট হিসেবে দিবেন। অনেকই এই ব্যাপারগুলি ভালো জানে না, বা জানতে চাই না। আশা করছি এটিকে পোস্ট হিসেবে দিলে অনেকে উপকৃত হবে।
164403
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ আর তিনি তোমাদের সঙ্গে রয়েছেন যেখানেই তোমরা থাক না কেন। সুরা হাদিদ, আয়াত ৪,
এখানে বলা হয়েছে আমরা যেখানে আছি আল্লহও সেখানে আছেন। আমরা তো আকাশে থাকি তাই না? ও না আমরা আরশে থাকি মনে হয় তাই না?

আচ্ছা আল্লাহু আকবার মানে কি?
আরশ বলেন আর জমীন বলেন সব তো মকান। আর আল্লাহকে আরশে রাখেন বা জমিনে রাখেন তা আল্লাহকে মকানে আবদ্ধ করে ফেলা হয়। সুতরাং আল্লাহ্‌ যেখানে যেমন আছেন আমরা তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আরশে নাকি জমিনে তা নিয়ে আহলে হাদিসের মত ঝগড়া করার কোনো মানে হয় না।
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
118704
ঈগল লিখেছেন : এখানে ঝগরার কি দেখলেন? আপনি এখানে একটা না ইনসাফি করলেন, ঝগড়া কি শুধু আহলে হাদিসরাই করে?

আপনি লিখেছেন 'আরশে নাকি জমিনে তা নিয়ে আহলে হাদিসের মত ঝগড়া করার কোনো মানে হয় না।' এই বাক্যটি কি ঝগড়াকে উৎসাহিত করছে না!!
তাছাড়া আল্লাহ কোথায় আছেন এটা তো ইমাম ত্বাহাবী (র) স্পষ্ট করলেন, তাহলে এটাতে বগড়ার বিষয়টি আসলো কেন? এখানে কোন বির্তক মূলক পোষ্ট দেওয়া হয়েছে?
========
আপনি লিখেছেন 'আরশ বলেন আর জমীন বলেন সব তো মকান। আর আল্লাহকে আরশে রাখেন বা জমিনে রাখেন তা আল্লাহকে মকানে আবদ্ধ করে ফেলা হয়। সুতরাং আল্লাহ্‌ যেখানে যেমন আছেন আমরা তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আরশে নাকি জমিনে তা নিয়ে আহলে হাদিসের মত ঝগড়া করার কোনো মানে হয় না।' এই আক্বিদা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের পরিপন্থি। কেননা আল্লাহ সত্বাগত কোথায় আছেন তা কোরআনে ও সহীহ হাদিস এবং ফিকহের কিতাবগুলিত ব্যাখ্যাসহ স্পষ্টা করা আছে।
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:১৫
124553
হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : স্পস্ট ধারণাটা কি শুধু একটি আয়াত থেকে বুঝতে হবে? সবগুলো আয়াত মিলিয়ে দেখলে তো আল্লাহ্‌ শুধু আরশে আছে বলে অন্য আয়াতের কি অর্থ করবেন? আর আরশ সেটা তো আল্লাহর সৃষ্টি তাই না? এখন কি বলবেন? তিনি আরশ সৃষ্টির আগে ছিলেন না? আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য সব কিছুই তো মাখলুখ। আপনি মাখলুকের মধ্যে খালেককে আবদ্ধ করলেন না? আল্লাহ্‌ আরশে আছেন মানে যদি মনে করেন তিনি সেখানে বসে আছেন তাহলে তা ভুল। সিংহাসনারোহন মানে সেখানে বসে থাকা নয়। আর বসে থাকা নয়। মানুষের বসা আর দই এর বসা যেমন এক নয় সেরকম তিনি আরশে বসে আছেন বলে তারজুমা করলে বা মনে করলে ভুল হবে। আর আমি যে আয়াত উল্লেখ করেছি তার অর্থ ত আপনি বললেন না।
164410
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
আবরার লিখেছেন : আল্লাহ সবখানেই আছেন জ্ঞানের-দৃষ্টির মাধ্যমে ।
164422
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৯
আলোর আভা লিখেছেন : কোরআন -হাদীসের দৃষ্টিতে সঠিক কথা হলো আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অবস্থান আরশের ওপর কিন্তু তিনি তাঁর অসীম জ্ঞান ,ক্ষমতা ,কুদরত ও দেখা শোনার মাধ্যমে সর্বত্র বিরাজমান। তিনি সত্তাগতভাবে সর্বত্র বিরাজমান নন।
164445
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : আহলুস সুন্নাত বিশ্লেষন ব্যতিরেকে কুরানের সব আয়াতের উপর ঈমান রাখে ।এবং কাইফিয়াত ছাড়া এগুলো বিশ্বাস করে ।অথচ সালাফীরা ব্যাখ্যা করে আয়াত বাতিল করে দেয় যা মুতাযিলাদের রীতি এবং এসব বিষয়ে তাওহীদ বাদ দিয়ে মানবীয় যুক্তির আশ্রয় নেয় । আল্লাহ সর্বত্রবিরাজমান তথা তাঁর সৃষ্ট বান্দার অধিক নিকটবর্তী বা মোটা ঘাড়ের নিকটে কিরুপ কিভাবে প্রশ্ন করা ছাড়াই ।এটি আল্লাহর সিফাত ।আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট আরশে সমাসীন কিরুপ কিভাবে প্রশ্ন করা ছাড়াই সমাসীন হওয়াও আল্লাহর সিফাত ।আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট আকাশে আছেন কিরুপ কিভাবে প্রশ্ন করা ছাড়াই । আল্লাহ শেষ রাতে তাঁর সৃষ্ট সবচেয়ে ছোট নিকট আকাশে অবতরন করেন কিরুপ কিভাবে প্রশ্ন করা ছাড়াই ।এটিও তাঁর সিফাত ।আল্লাহর হাত,পা,চেহারা এসব ই তাঁর সিফাত বা গুন ।কিরুপ কিভাবে প্রশ্ন করা ছাড়াই । আহলুস সুন্নাত এগুলোকে মুতাশাবিহ (দ্ব্যর্থবোধক) আয়াতের অন্তর্ভূক্ত করে মুতাশাবিহ আয়াতে বর্ণিত আল্লাহর এসব সিফাতের প্রকৃত স্বরুপ আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে কাইফিয়াত ছাড়াই সবগুলো আয়াতের উপর ঈমান রাখে ।আর বলে এগুলো সম্পর্কে আল্লাহ ই ভাল জানেন । আর তাঁর জাত ও সত্তা সম্পর্কে মুহকামে (দ্ব্যর্থহীন) বর্ণিত আয়াতের আলোকে তাওহীদ ধারন করেন । সালাফীরা এসব ব্যাপারে বিদাতী কথা বার্তায় লিপ্ত হয় ,ব্যাখ্যার আশ্রয় নেয় যা ।আর তাঁর যাত ও সত্তার বিষয়ে তাওহীদ বাদ দিয়ে লিপ্ত হয় মানবীয় যুক্তির বেড়াজালে ।এখানেই তারা শির্কে নিপতিত হয় ।[সূরা ইউসুফ ১০৬] "তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এরুপ করে তাদের একমাত্র প্রতিফল পার্থিব জীবনে হীনতা এবং কিয়ামতের দিন তারা কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে।"-[বাকারাঃ ৮৫] "তিনিই তোমাদের প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার কতক আয়াত সুস্পষ্ট দ্ব্যর্থহীন,এগুলি কিতাবের মূল অংশ;আর অন্যগুলি দ্ব্যর্থবোধক একাধিক অর্থের সম্ভাবনাময়।যাদে র অন্তরে সত্য লঙ্গন প্রবণতা আছে শুধু তারাই ফিতনা এবং ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে দ্ব্যর্থবোধক বিষয়গুলির অনুসরণ করে"-[আলে ইমরানঃ ৭] আয়েশা রাঃ বলেনঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন (আলে ইমরানঃ ৭) এবং ইরশাদ করলেনঃ যখন তোমরা ঐসব লোকদের দেখবে যারা কুরানের মুহকামাত আয়াত ছেড়ে মুতাশাবিহ আয়াতের অনুসন্ধান করে বেড়ায় তাহলে মনে করবে এই আয়াতে আল্লাহ তাদের কথাই বলেছেন । তখন তোমরা এদের থেকে দূরে থাকবে।"- [মিশকাত,পৃঃ ২৮]
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
118707
ঈগল লিখেছেন : তাহলে শারহুল আক্বীদাতিত্ব ত্বাহাবিয়াতে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর উদ্ধৃতি দিয়ে যা বলা হলো, সেটি কি মুতাশাবিহাতের পিছনে ছুটে চলা???? আর এখানে আপনি বির্তক টেনে আনছেন কেন? লেখক তো এটাতে উদ্ধৃতি দিয়েছে, তিনি এখানে দাবি করেন নি যে তিনি সালাফি। তাহলে অযথা আপনি বির্তককে উস্কে দিচ্ছেন কেন? এটা কোন ধরণের ইনসাফি!! আল্লাহর একত্বাদ সম্পকে আমাদের দেশের জনগণের যা অবস্থা তাতে এগুলিকে তো স্পষ্ট করা জরুরী, নাকি আপনি তা মানেন না।
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪২
118762
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : পোষ্ট দাতা ইমাম আবু হানীফা (র.) এর উপরে মিথ্যা তোহমত দিয়েছে। আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করলাম, পারলে কিতাবের স্কৃনশট উপস্থাপন করুন।
164473
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২১
ইমরান ভাই লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ
ইমাম আবু হানিফা (র) আকিদা সুর্যের আলোর মতো স্পস্ট।
তার পরও অনেকেই তা অস্বিকার করার পায়তারা খোজে।

কোরআন -
হাদীসের দৃষ্টিতে সঠিক
কথা হলো আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের
অবস্থান আরশের ওপর কিন্তু
তিনি তাঁর অসীম
জ্ঞান ,ক্ষমতা ,কুদরত ও দেখা শোনার মাধ্যমে সর্বত্র
বিরাজমান। তিনি সত্তাগতভাবে সর্বত্র বিরাজমান নন।

আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দিন আমিন
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১২
118721
ঈগল লিখেছেন : কেউ কেউ বিয়য়টিকে আহলে হাদিস বিদ্বেষ থেকে ঘোলা করার চেষ্টা করছে অথচ তিনারাও সত্যটি জানেন।
164517
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৮
ঈগল লিখেছেন : ভাই, আপনার পোস্ট, কিন্তু প্রায় প্রতিটি মন্তব্যে প্রতি মন্তব্য করেছি। বলা চলে দুই একটিতে প্রতি মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছি।
স্পস্ট এই বিষয়টিও আহলে হাদিস বিদ্ষেকে টেনে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি বুঝি না, এত বিদ্বেষ কিসের। আরে বাবা তোমার সাথে তার শত্রুতা থাকতেই পারে, তাই বলে তুমি সত্যকেও এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করবা!!
=====
বিদ্বেষ থেকে সত্যকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা ব্যক্তিকে আরো নিচু করে দেয়।
===========
আপনার পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। আক্বিদাগত পোস্ট বেশি বেশি করে দেওয়া উচিত।
164533
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪১
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : পোষ্ট দাতা ইমাম আবু হানীফা (র.) এর উপরে মিথ্যা তোহমত দিয়েছে। আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করলাম, পারলে কিতাবের স্কৃনশট উপস্থাপন করুন।
164538
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৯
১০
165315
২১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২৩
তাহমিদ ইব্রাহীম লিখেছেন : আমি পোস্ট দিলাম ইমাম আবু হানিফার ঈমানের দৃঢ়তা বুঝানুর জন্যে। তাকে শ্রদ্ধা করে। আর কমেন্ট দিচ্ছে সবাই আমার কথা ভুল বুঝে। একটুও কেমনে বুঝার চেষ্টা করেনা এরা!!!! শুরু করে দিয়েছে আমাকে আহলে হাদিস বলে বলে গালিগালাজ। এটা কি রকম ব্যাবহার??
১১
165318
২১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২৪
তাহমিদ ইব্রাহীম লিখেছেন : আল্লাহ্‌ আরশে বিরাজমান। কিন্তু, তার ক্ষমতা সর্বব্যাপী। এইটাই ইমাম আবু হানিফা বলেছেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File