তাক্বলীদ সম্পর্কে ওলামায়ে কেরামেরবক্তব্য।
লিখেছেন লিখেছেন তাহমিদ ইব্রাহীম ০৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:০৩:৩৯ দুপুর
তাক্বলীদ
সম্পর্কে ওলামায়ে কেরামের
বক্তব্য
-আব্দুল হালীম বিন ইলিয়াস
ইসলামের প্রসিদ্ধ চার ইমাম
প্রত্যেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত
পন্ডিত,
মুত্তাক্বী এবং আল্লাহ ও তাঁর
রাসূলের প্রতি আনুগত্যশীল
ছিলেন। তাঁরা পার্থিব পদমর্যাদা ও সম্মানের
লোভী ছিলেন না। তাদের
প্রত্যেকেই নিজেদের ও অন্য
মানষের সার্বিক
জীবনকে পবিত্র কুরআন ও
ছহীহ হাদীছের আলোকে গড়ে তুলেতে সচেষ্ট
থাকায় তারা অনেক দুঃখ-কষ্ট
ভোগ করেছেন
এবং নির্যাতনের শিকার
হয়েছেন। কোন মাসআলা কুরআন
ও ছহীহ হাদীছে না পেলে তাঁরা ইজতিহাদ
বা গবেষণা করে ফায়সালা প্রদান
করেছেন। তাতে ভুল হলেও
তাঁরা ছাওয়াবের
অধিকারী হয়েছেন। যেমন
হাদীছে এসেছে, ِﻦْﺑ ﻭِﺮْﻤَﻋ ْﻦَﻋ ِﻪَّﻠﻟﺍ َﻝﻮُﺳَﺭ َﻊِﻤَﺳ ُﻪَّﻧَﺃ ِﺹﺎَﻌْﻟﺍ
ﺍَﺫِﺇ ُﻝﻮُﻘَﻳ َﻢَّﻠَﺳَﻭ ِﻪْﻴَﻠَﻋ ُﻪﻠﻟﺍ ﻰَّﻠَﺻ
َﺏﺎَﺻَﺃ َّﻢُﺛ َﺪَﻬَﺘْﺟﺎَﻓ ُﻢِﻛﺎَﺤْﻟﺍ َﻢَﻜَﺣ
َّﻢُﺛ َﺪَﻬَﺘْﺟﺎَﻓ َﻢَﻜَﺣ ﺍَﺫِﺇَﻭ ِﻥﺍَﺮْﺟَﺃ ُﻪَﻠَﻓ
ٌﺮْﺟَﺃ ُﻪَﻠَﻓ َﺄَﻄْﺧَﺃ . আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) হতে বর্ণিত,
তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-
কে বলতে শুনেছেন, ‘বিচারক
যখন সঠিক রায়
প্রদানে সচেষ্ট থেকে সঠিক
ফায়সালা প্রদান করে তখন তার জন্য দুটি নেকী রয়েছে।
আর যখন সঠিক রায়
প্রদানে সচেষ্ট থেকেও ভুল
ফায়সালা প্রদান
করে তাহ’লে তার জন্য
একটি নেকী রয়েছে (ছহীহ বুখারী হা/৭৩৫২, ‘কুরআন ও
সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা’ অধ্যায়,
‘বিচারক ঠিক করুক বা ভুল
করুক তার প্রতিদান পাবে’
অনুচ্ছেদ, বঙ্গানুবাদ (ঢাকা,
তাওহীদ পাবলিকেশন্স ২০১২) ৬/৪৬৮ পৃঃ, ছহীহ
মুসলিম হা/১৭১৬)।
উপরোক্ত হাদীছের
ভিত্তিতে ইমামগণ ইজতিহাদ
বা শরী‘আত
গবেষণা করে মানুষকে সঠিক
পথের দিশা দেওয়ার
চেষ্টা করেছেন। সাথে সাথে তাঁরা এটাও
আশঙ্কা করেছেন যে, তাঁদের
কথা ভুলও হ’তে পারে। সেজন্য
তাঁরা তাদের তাক্বলীদ
করতে কঠোরভাবে নিষেধ
করেছেন। এক্ষণে প্রসিদ্ধ চার ইমামের প্রচলিত চার
মাযহাবের
জন্মদাতা এবং তাঁরাই একমত
হয়ে যে কোন একটি অনুসরণ
উম্মাতে জন্য ফরয (?)
করে গিয়েছেন। এমনকি তাবলীগী ভাইয়েরা চিল্লাতে গিয়েও
কবিতাকারে তাদের লোকদের
১৩০ ফরযের মধ্যে চার
মাযহাবকে চার ফরয
হিসাবে তা‘লীম
দিয়ে থাকেন ও মুখস্থ করিয়ে থাকেন-তার
সত্যতা কতটুকু?
নিম্নে প্রদত্ত্ব মাননীয় চার
ইমামের জন্ম মৃত্যু সন ও
তাদের উক্তিগুলো বিচার
করলেই উপরের ধারণাগুলির অসারতা বুঝা যায়।
বিস্তারিত
http://tawheederdak.at-tahreek.com/may_june_2013/article07.html
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন