"বিসমিল্লায় গলত" বলা হারাম ইসলামে।
লিখেছেন লিখেছেন তাহমিদ ইব্রাহীম ০৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:০৪:১৮ বিকাল
বিসমিল্লাহ্ বলে কোন কাজ শুরু করার সময় যদি ভুল হয়ে যায় বা বিসমিল্লাহ্ না বলেও যদি কাজ শুরু করার সময় ভুল হয়ে যায় তখন অনেকেই বলে বসে "বিসমিল্লায় গলত"। আমি অনেক মুসলিমকেই বলতে শুনেছি "বিসমিল্লায় গলত" কথাটা খুব মজা করে বলতে। এসব মুসলিম যে নিজের অজান্তে মজা করার কারনে কত গুনাহ করে ফেলছে নিজেও জানেনা। "বিসমিল্লায় গলত" কথাটার যদি উৎস খুঁজতে যান, তবে দেখা যাবে এটা ভারতের পশ্চিম বঙ্গের, কলকাতার হিন্দু দাদারা মুসলিমদের একরকম ঠাট্টা করেই বলতেন। যা লোকে মুখে প্রচলিত হয়ে আসছে। কলকাতার দাদাদের সেই বিদ্রুপ মারকা কথাটা আমরা বাঙালি মুসলিমরা কতইনা উপভোগ করি। কত্ত বড় আহাম্মক আমরা!!!
বিসমিল্লাহ্ বলা হয় এই কারনে, যাতে আমরা আল্লাহ্র নামে কাজ শুরু করি। যেই কাজ করছি সেই কাজে যেন আল্লাহ্র দয়া ও রহমত থাকে। আপনি যদি অমনস্ক হয়ে কাজ করেন, তবে আপনার কাজ ভুল হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। বিসমিল্লাহ্ আপনাকে কাজ ভুল হয়ে যাওয়া থেকে বাচাবে এরকম ভাবা মূর্খতা ছাড়া কিছুনা। যদি বিসমিল্লাহ্ বলার কারনেই দুনিয়ার সকল কাজ সফল ভাবে করা যেত, তবে হাজার হাজার অমুসলিম এই মউযেজা দেখে মুসলিম হয়ে যেত। আল্লাহ্ আপনাকে পরীক্ষা করবেন সর্বদা। বিসমিল্লাহ্ বলে প্লেইটে ভাত নেওয়ার সময় যদি ভাত পড়ে যায়, অনেকে দেখি বলে বসেন- বিসমিল্লাহ্ বললাম কিন্তু ভাত পড়ে গেলো কেন?
বিসমিল্লাহ্ বলার পরও ভাত পরে গেলে আপনি কি ভাবছেন সেটাও আল্লাহ্র একটা পরীক্ষা। আমাদের মুসলিমদের ইসলামের প্রতিটা জিনিস বুঝা উচিত, উপলব্ধি করা উচিত। শয়তান যেকোনো কৌশলে আপনার মনের ভেতমরে কুমন্ত্রনা তৈরি করে দিতে পারে। ইসলামকে বুঝে পালন করলে এই কুমন্ত্রনা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। আল্লাহ্ যেন আমাদের সবার বুঝার তৌফিক দান করেন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্যের উত্তর দিতে সক্ষম না হলে ব্লগিং ছেড়ে দিন। মন্তব্য মুছে ফেলা বিচক্ষণতার পরিচয় নয়।
এ জাতীয় কথা বলা নিষেধ। এছাড়াও আরো কিছু বাক্য মুসলিমরা উপমাচ্ছলে ব্যবহার করেন, সেগুলিও নিষেধ। যেমন, "মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে", "কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে" ইত্যাদি।
সঠিক ইসলামের মন্তব্যের সাথে আমিও একমত। ইসলাম সম্পর্কিত কোন বিষয় নিয়ে লিখতে হলে অবশ্যই উক্ত বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে। ২/১টা লেকচার অথবা ২/১টা বই পড়েই নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়ে ফেলা যাবেনা। কারণ এতে অন্যরা বিভ্রান্ত হতে পারেন। ভুল তথ্যের কারণে অন্যরা বিভ্রান্ত হলে তাঁরা ভুল আমল করবেন, আর মানুষকে ভুল তথ্য দেয়ার কারণে সেই গুনাহর একটা অংশ পোস্টদাতার উপরও বর্তাবে।
তাই আপনি বলে যান; ইসলামে অজ্ঞ আমরা আপনাদের এসব আলোচনা সমালোচনায় অনেক উপকৃত হই।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন