রাসুল (সঃ) বুকে হাত বেঁধে নামাজ পড়তেন। বুকে হাত বাঁধার দলীল সমুহ।
লিখেছেন লিখেছেন তাহমিদ ইব্রাহীম ০৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:৪৩:৫১ সন্ধ্যা
রাসুল (সঃ) হাত নাভীর উপরে অর্থাৎ বুকের
উপরে হাত বেঁধে নামায পড়তেন।
(বুখারি ১ম খন্ড ১০২ পৃঃ, মুসলিম শরাহ ইমাম আন-নববী ১ম খন্ড-১৭৩ পৃঃ, সহিহ ইবনে খুযাইমা ১ম খন্ড ১২৩ পৃঃ, আবু দাউদ ১ম খন্ড ১১০ পৃঃ, তিরমিযি ৩৪-৩৫ পৃঃ, ইবনু
মাজাহ ৫৯ পৃঃ মিশকাত ৭৫ পৃঃ, মুয়াত্তা মুহাম্মদ ১৬০ পৃঃ)
ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে সিনার উপরে রাখতেন (সহিহ ইবনে খুযাইমা-২০ পৃঃ, আবু
দাউদ মারাসিল-৬ পৃঃ)
লোকেরা ডান হাত বাম হাতের যেরার উপর রাখতে আদিষ্ট হতেন (বুখারি ১০২ পৃঃ),
নামায আদায় করার সময় তোমরা হাত বাঁধবে বুকের উপর (আবু দাউদ ১ম খন্ড
হাঃ ৭৫৮),
সাহাবী তাউস (রাঃ) বলেন, রাসুল (সঃ) সালাতের অবস্থায় ডান হাত বাম হাতের উপর
রেখে, অতঃপর মজবুত করে বুকের উপর ধারণ করলেন (মারাসিলে আবু দাউদ, তুহফাতুল
আহওয়াযী ৩১৬ পৃঃ),
কামিসাহ ইবনুহ হুলব (রাঃ) তার পিতা হতে উদ্ধৃতি করে বলেন যে, আমি রাসুল
(সঃ) কে সালাতের মধ্যে ডান হাত বামহাতের উপর রেখে হস্তদয় বুকের উপর ধারণ করতেন
(মুসনাদে আহমাদ, তুহফাতুল আহওয়াযী ১ম খন্ড ২১৬ পৃঃ),
সিনার উপর হাত রাখার আরো দলিল দেখুনঃ
(বুলগুল মারাম ২০ পৃঃ, মুসলিম শরাহ ইমাম আন-নববী ১ম খন্ড-১৭৩ পৃঃ, তোহফা শরাহ
তিরমিযী ১ম খন্ড ২১৫ পৃঃ, মিসখুল খেতাম ১ম খন্ড ২১৫ পৃঃ,
হানাফি মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব হিদায়াহ ইউসুফি প্রেসের ছাপা রাবে সিফাতুস সালাত ১ম
খন্ড, হাশিয়া ৮৬ পৃঃ আছে- সালাতে নাভীর নীচে হাত বাঁধার হাদিস যঈফ এবং তার যঈফ দুর্বলতা সম্বন্ধে মুহাদ্দীসগণ সকলেই একমত ।
আরও স্মরনীও যে, আলা সদরিহী বুকের উপর হাত বাঁধার অনেক হাদিস রয়েছে সালাতে বুকের উপর হাত বাঁধা সম্পর্কে সহীহ হাদীস সমূহ :
(১) সাহল বিন সা’দ (রাঃ) বলেন, “লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হত যেন তারা সালাতে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখে ।” (বুখারী, অধ্যায় আজান, ১/১০২পৃষ্ঠা, আরবী ; বুখারী, হাদীস নং ৭৪০,
মূল হাদীসে বর্ণিত ‘যিরাআ’ শব্দের অর্থ কনুই থেকে মধ্যমা আঙ্গুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত দীর্ঘ হাত (আল-মুজামুল ওয়াসীত্ব)।
(২)ওয়ায়িল বিন হুজর(রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি দেখেছেন, “নবী করীম (সাঃ) সালাত শুরুর মুহূর্তে তাঁর দুহাত তোলেন’ অতঃপর তিনি তাঁর বাম হাতের উপর ডান হাত রাখেন ।”(মুসলিম, ১/১৭৩পৃষ্ঠা, আরবী ; মুসলিম, ২য় খন্ড,
হাদীস নং ৮৫১,
(৩)ওয়ায়িল বিন হুজর (রাঃ) বলেন, “আমি নবী (সাঃ)-এর সাথে সালাত আদায়
করেছি । তিনি তাঁর বাম হাতের উপর ডান হাত স্বীয় বুকের উপর রাখলেন ।” (সহীহ ইবনু
খুযাইমাহ, হাদীস নং ৪৭৯; আবূদাঊদ, হাদীস নং ৭৫৯)
(৪)হুলব আত-তাঈ (রাঃ) বলেন, “আমি নবী (সাঃ)-কে বাম হাতের জোড়ের (কব্জির) উপরে ডান হাতের জোড় স্বীয় বুকের উপরে রাখতে দেখেছি ।”(মুসনাদে আহমাদ ; তিরমিযী ৫৯পৃষ্ঠা, আরবী ; তিরমিযী,১ম খন্ড, হাদীস নং ২৫২)
(৫)ওয়ায়িল বিন হুজর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কিভাবে সালাত আদায় করতেন, তা আমি অবশ্যই দেখব । তাই
আমি তাঁর প্রতি লক্ষ্য করলাম । তিনি দাঁড়িয়ে কান পর্যন্ত দু’হাত তুলে ‘আল্লাহুআকবার’ বললেন । অতঃপর তাঁর ডান হাত বাম হাতের পিঠ, কব্জি, ও প্রকোষ্ঠের
(হাতের রলা) উপর রাখলেন ।”(নাসাঈ, ১/ ১৪১পৃষ্ঠা,আরবী; আবূদাঊদ, হা/৭২৭)
আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, ‘বুকের উপর হাত রাখাটাই সহীহ হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত। এছাড়া অন্য কোথাও রাখার হাদীস হয় দুর্বল, না হয় ভিত্তিহীন ।’ (সিফাতু
সালাতিন নবী(সাঃ), বাংলা অনুবাদ-আকরামুজ্জামান, ৭১পৃষ্ঠা, ফুটনোট)
বিষয়: বিবিধ
৭২৬৩ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারত। দূর্বল না সবল আমরা সবাই মিলে দেখতাম। তার পর একটা চিন্তা করতাম কোথায় বাধতাম হাত... শুভ কামনা
আপনাকে ধন্যবাদ।
কোরান আর সহীহ হাদিস দিয়ে দলিল প্রশ করুন যে নাভীর নিচে হাত বাধার হাদিস দুর্বল। আপনারা তো আবার কোরান আর সহীহ হাদিস ছাড়া আর কিছু মানেন না বলে দাবী করেন। তাই না? তাহলে একটা সহীহ হাদিস দেখান যে এই হাদিস দুর্বল।
আমার নির্বোধ মাথায় একটা প্রশ্ন আছে, কেউ পারলে এর সঠিক উওর দিবেন৷ আমার সন্দেহ দূর হবে৷ তা হল; মক্কা বিজয়ের পর হতেই আমার মনে হয় ক্বাবা ঘরে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ বিরতিহীন ভাবে আজ পর্যন্ত চলে আসছে৷ যেহেতু কোন বিরতী হয়নি তাই নামাজের নিয়মেরও হেরফের হয়েছে বলে মনে করিনা৷ এমন কি হতে পারে স্থানীয় মুসুল্লীগন নাভীর নীচে হাত বেঁধে জোহরের নামাজ জামাতে পড়েছেন অথচ আসরের জামাতে ইমাম সাহেব বুকে হাত বাঁধার হুকুম দিলেন আর সবাই তাই মেনে নিয়ে বুকে হত বাঁধা শুরু করল আর তা আজও চলছে৷ কিংবা কোন বাদশাহ হঠাৎ করে বুকে হাত বাঁধার নিয়ম চালু করে দিলেন৷ যদি এগুলো না হয়ে থাকে তবে বুকে হাত বাঁধাটাকেই মেনে নিতে হয়৷ রোজা বা হজ্জের নিয়মেতো সেকাল আর একালে কোন পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করিনা৷ নামাজের বেলায় তা হল কেন?
কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,
"মাই ইয়তউর রসুলাহু ফাকাদ আতা আল্লাহ"
অর্থঃ যে রাসুলের আনুগত্য করল সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করলো।
আর রসুলকে (সা)ভাল বাসতে হলে তার সুন্নাতকে আকড়ে ধরতে হবে মাড়ীর দাত দিয়ে।
ভন্ড দের মতো মুখে ভালবাসী বললে হবে না সুন্নত পালন করে ভালোবাসতে হবে।
তাই চিন্তা করবেন বলার আগে প্লিজ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন