তোমরা যারা বিএনপির সাথে জোট ভেঙ্গে দেওয়ার পক্ষে
লিখেছেন লিখেছেন ফারুক এহসান ১৯ মার্চ, ২০১৪, ১০:৪০:৫০ সকাল
জামায়াত-শিবির এর অধিকাংশ ভাই জোট ভেঙ্গে দেওয়ার পক্ষে। কারন গত পাচ বছর সরকার যখন জামায়াতের উপর নির্যাতন চালাচ্ছিল তখন বিএনপি চুপ করে ছিলো। এমনকি শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা (রহঃ) এর শাহাদাত এর পর বিএনপি একটা বিবৃতিও দেয়নি। গত পঁাচ বছর জামায়াত-শিবির একা পুরো সরকার বিরোধী আন্দোলন করে গেছি।
আমার কাছে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। এরা যদিও মুখে ধর্মনিরেপেক্ষতা বা জাতীয়তাবাদ এর কথা বলে কিন্তু বানান জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে না। এরা দুই চারটা টেন্ডার কিংবা দুই দশ টাকার জন্য দল করে থাকে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অধিকাংশই সাবেক বাম। উদাহরণস্বরুপ যদি মির্যা ফখরুল এর কথা বলা হয় তাহলে দেখবেন ফখরুল ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন এর সভাপতি। পরে বিএনপিতে যোগ দিয়েছে। এরকম অবস্থা দলের অধিকাংশ নেতার। একটা ব্যপার দেখেন আমি যে শিবির করি পরে আমি যে দলেই যায় না কেন আমার ভেতর শিবির এর সে আচ টা থেকেই যাবে। বামরা জানে ৯০% মুসলিম এর দেশে তারা কখনো ক্ষমতায় যেতে পারবে না তাই তারা প্রধান দুই দলে তাদের করমী দের রিক্রুট করে কার্যশিদ্ধি করতে চাচ্ছে। সে যায় হোক জাতীয়তাবাদ এর পাশাপাশি বাম আধিক্য এর কারনেও বিএনপি বর্জনীয়। উপজেলা নির্বাচন এ তাদের বেইমানীর কথা সবাই জানে। এমনকি দামুড়হুদায় আওয়ামী লীগ বিএনপি শেষে একত্রিত হয়ে জামায়াত রুখতে চেয়েছিল।
এবার আসি এতগুলো সমস্যার পরেও কেন বিএনপির সাথে জোট করা হয়েছে বা হচ্ছে?
চারদলীয় জোট গঠিত হয় ১৯৯৯ সালে যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এবং বিরোধী দলগুলোর উপরে চরম নির্যাতন চালাচ্ছিল তখন আওয়ামীলীগ বাদে প্রধান দলগুলো যথা বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) এবং ইসলামী ঐক্যজোট মিলে তৈরি করে এই জোট। এরপর এই দলগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলন চালাতে থাকে। কিছুদিন পরে এরশাদ তার স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য নিয়ে পোল্ট্রি মেরে জোট থেকে চলে আর পার্থ এর নেতৃত্ব জাপার কিছু অংশ নিয়ে গঠন হয় বিজেপি। এরপর আওয়ামীলীগ এর পতনের পরও আওয়ামীলীগ ঠেকাতে চারদলীয় জোট একসাথে নির্বাচন করে এবং জয়লাভ করে।
এখন আমরা যদি এই জোটের পটভুমিটা দেখি তাহলে দেখবো শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ ঠেকাতে এই জোট গঠন হয়েছিলো।
এখন জামায়াত এর কেন্দ্রীয় নেতারা কি জানেনা এই ব্যপারটা? অবশ্যই জানে কিন্তু কোনও উপায় নেই। আজ জোট ভাংগলে আওয়ামীলীগ আরো শক্তিশালী হয়ে যাবে।
এই জোটের ফলে কিছু লাভ অর্জিত হয়েছে সেগুলো হলোঃ
১. বিএনপির পাচ বছরের সময় পরিস্থিতি প্রতিকুল না থাকার কারনে ব্যাপক দাওয়াতী কাজ করা সম্ভব হয়েছি।
২. বিএনপিতে মোটামুটি ইসলামপ্রিয় অংশটি আছে তারা শক্তিশালী হয়েছে এবং তাদের স্বীদ্ধান্ত কে পুনর্বিচার করেছেন।
৩. সবচেয়ে ভালো কথা হলো ইসলামের উপকার না হলেও ক্ষতি হয়নি।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসকল বিষয় জেনেও নিরুপায় হয়ে বিএনপির সাথে জোট করেছেন। মনে রাখতে হবে আমাদের লক্ষ্য সাময়িক নয় বরং চিরন্তন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিএনপির ব্যপারটা জানেন কিন্তু তার পরেও ধৈর্য ধরে আছেন। ক্ষমতায় আমাদের লক্ষ্য নই তাই আপাতত বাকশালী ভারতের পা চাটা গোলামদের হাত থেকে মুক্ত করা। এবং এলক্ষ্যে সবার ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে
বিষয়: রাজনীতি
১২১০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন