তোমরা যারা "সিলেকশন" নিয়ে চিন্তিত
লিখেছেন লিখেছেন ফারুক এহসান ০৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৪৬:২৭ রাত
বাংলাদেশে আগামীকাল
একটি একতরফা "সিলেকশন" অনুষ্ঠিত
হবে। এই নির্বাচন হবে ভোটারবিহীন,
গনধিকৃত ও পর্যবেক্ষকবিহীন নির্বাচন।
এইগুলো অনেক পুরোনো কথা। কিন্তু
পরের
কথা হলো পরবর্তীতে কি হতে পারে।
এবং কি তার ফলাফল হতে পারে?
প্রথমত আওয়ামীলীগ মুলত চাই তার কোন
প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকুক তাই বিএনপি ও
জামায়াত কে নির্যাতন এর
মাধ্যমে বিলুপ্ত করতে।
দ্বিতীয়ত জামায়াত
নেতৃবৃন্দকে ফাসি দিয়ে মুলত
জামায়াত কে ভাংতে চাবে কারন
এর আগে জাসদের সিরাজ সিকদার
কে হত্যার পর জাসদ
টুকরোটুকরো হয়ে গিয়েছিল।
তৃতীয়ত আমার মনে হয়না ২০১৯ শালেও
আওয়ামীলীগ
ক্ষমতা থেকে সরে যাবে।
বরং আনলিমিটেড সময়ের জন্য ক্ষমতায়
থাকার চেষ্টা করবে। এবং বিভিন্ন
দ্বিপাক্ষিক চুক্তির
মাধ্যমে বাংলাদেশ কে ভারতের
অংগরাজ্যে পরিনত করবে।
এবার আসি ফলাফলে
প্রথমত জামায়াত কে বিলুপ্ত করা কোন
সময়ই সম্ভব হবে না কারন প্রতিষ্টার পর
থেকে জামায়াত অনেক আন্দোলন
সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ অবস্থায়
এসেছে। এমনকি সত্তর বছরের
ইতিহাসে কয়েকবার নিষিদ্ধ অবস্থায়
আন্ডারগ্রাউন্ড
রাজনীতি অভিজ্ঞতাও
রয়েছে তাদের সুতরাং লাভ হবে না।
কিন্তু বিএনপি নামক দলটি বিলুপ্ত
হয়ে যাবে। কারন তাদের কোন
সাংগঠনিক শক্তি নাই। তাই জামায়াত
হয়ে যাবে প্রধান বিরোধি দল।
দ্বিতীয়ত জামায়াত নেতাদের
হত্যা করার পর জামায়াত
কে বিভক্তির চেষ্টাও সফল
হবে না কারন পাচ বছরে জামায়াত
কে দমাতে পারেনি আআওয়ামীলীগ
তাই অব্যাহত প্রচারের ফলে ভোটের
রাজনীতিতে এগিয়ে যাবে জামায়া
তৃতীয়ত এদেশের বেশীরভাগ মানুষ
ভারতবিরোধী। আর আওয়ামীলীগ
যদি অত্যধিক ভারতপ্রীতি দেখায়
তাহলে একাত্তরে জামায়াত এর
অবস্থান অনেকটায় গ্রহনযোগ্য
হয়ে যাবে। আর ভারত
কিংবা আমেরিকার
দালালী দেশের দেশপ্রেমী জনগন
মেনে নেবেনা এবং আধিপত্যবাদ
বিরোধী আন্দোলন এ নেতৃত্ব
দিয়ে জামায়াত ই ইসলামি অতিদ্রুত
জনপ্রিয়তা অরজন করবে।
আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে ইসলাম
কে রক্ষা করার দায়ীত্ব আল্লাহর
এবং আমরা ধৈর্য ধরলে তিনি অচিরেই
বিজয় দান করবেন। আর আওয়ামীলীগ
যেহেতু পাচ বছরে জামায়াত
কে কিছুই
করতে পারেনি আগামীতেও
পারবে নআ ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১২৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন