ছাত্রশিবির এর ৩৭ বছরের দুঃসময় (!) ও কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন ফারুক এহসান ০৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:১৭:৩২ রাত
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর
৩৭বছর এর পুরো সময়টাই
কেটেছে দুঃসময়।
১৯৭৭ সালের ৬ই
ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্টা পাওয়ার পর
মাত্র ৭ বছরের মাথায় শিশু এই সংগঠন
কে থামিয়ে দিতে বামদের হামলায়
শাহাদাত বরন করেন চারজন ভাই।
এরপর ১৯৮৫
সালে কলকাতা হাইকোরটে কুরান
মাজিদ বাজেয়াপ্ত করার
প্রতিবাদে করা মিছিলে পুলিশের
গুলিতে শাহাদাত বরন করেন ৫জন ভাই।
এরপর ভারতের সরকার এই
মামলাটা খারিজ করে দেয়।
এরফলে সারা বিশ্বে পরিচিত
হয়ে ওঠে একটি নাম
শহীদি কাফেলা ইসলামী ছাত্রশিবির।
এরপর ছাত্রশিবির
ঝাপিয়ে পড়ে সৈরাচারী এরশাদ
বিরোধী আন্দোলনে। একদিকে সরকার
বিরোধী আন্দোলন অপরদিকে ছাত্রদল,
ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন প্রভৃতি সংগঠন
মিলে তৈরি করে ছাত্রসংগ্রাম
পরিষদ। এবং তাদের হাতে শাহাদাত
বরন করেন অসং্খ্য ভাই। কিন্তু শত
নির্যাতন এর পরও ছাত্রশিবির
সবকটি ছাত্রসংসদ নির্বাচনে জয়লাভ
করে। যদিও সব ছাত্রসংগঠন
মিলে শিবির ঠেকাতে প্যানেল
দিতো। তখনি সবাই
বুঝতে পারলো আগামী দিনের নেতৃত্ব
দিবে শিবির।
এরপর ক্ষমতায় এলো বিএনপি কিন্তু তখনও
ছাত্রদল, ছাত্রলীগ শিবির
ঠেকাতে একসাথে প্যানেল দিতো।
এরপর খালেদা জিয়ার একনায়কত্ব এর
প্রতিবাদে আবারো শুরু হলো সরকার
বিরোধী আন্দোলন। একদিকে সরকার
বিরোধী আন্দোলন
অপরদিকে শিক্ষা প্রতিষ্টানে বাতিল
দের জোটের বিরুদ্ধে আন্দোলন।
এরপরেও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এর
মোকাবেলায় জয়ী হয় শিবির।
এরপর ক্ষমতায় আসে কুখ্যাত
ধর্মনিরেপক্ষ আওয়ামীলীগ সরকার
আবার শুরু সরকার বিরোধী আন্দোলন ।
এরপরে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ও
জামায়াত, ইসলামি ঐক্যজোট
মিলে তৈরি হয় চারদলীয়জোট। শুরু হয়
যুগপৎ আন্দোলন এর ফলে লাভ হয়
যে শিবির বিরোধী ছাত্র ঐক্য
ভেংগে যায়।
যারফলে রাজনীতি থেকে বিদায়
নেয় বাম ছাত্রসংগঠন গুলো। এরপর
ক্ষমতায় আসে চারদলীয়জোট জোট।
এরফলে শিবির নিজের
দাওয়াতি কার্যক্রম বৃদ্ধির সুযোগ পায়।
কিন্তু তবুও তবুও ছাত্রদল এর সাথে কিছু
সংঘর্ষ হলেও তা ছিলো অনেক কম।
এরপরে আসলো বর্তমান আওয়ামীলীগ
সরকার যা এখনো চলছো।
তাই অসং্খ্য বিপদ কাটিয়ে আসা এই
শহীদি কাফেলার কাছে বিপদ কোন
ব্যাপার নয়। কারন আল্লাহ যাদের
সাথে আছে বিপদ কে তাদের কিসের
ভয়?
বিষয়: বিবিধ
১৭৭২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন