হাম - রুবেলা ও প্রিয় হাসু বুবুর ভালোবাসা
লিখেছেন লিখেছেন সালাহ ২৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:৫৯:২১ দুপুর
গত বছরও টিকা খাওয়ানো নিয়ে দেশে একটা ঝড় হয়ে গিয়েছিল । সেবার মনে হয় শত শত সোনা মানিক অসুস্থ হওয়ার সাথে কিছু বুকের ধন দুনিয়া থেকে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিল । আসলে গত বারই প্রথম বাংলাদেশ সরকার একটা অখ্যাত কোম্পানীর কাছ থেকে টিকা ক্রয় করেছিল । এর আগে সব সরকার আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য কোন প্রতিষ্ঠানের থেকে কিনে থাকত । পরে অবশ্য আরো ভয়ানক চিত্র বেরিয়ে এসেছিল , জেনারেল কোম্পানীর টিকা খাওয়ানোর মত চাঞ্ছল্যকর তথ্য পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছিল ।অবশ্য সকল ক্ষমতা বন্দুকের নলের তলে - এই তত্ত্বে শেষ পর্যন্ত বিষয়টা চলে গিয়েছিল অনেকটা অজানাতেই ।
কিন্তু তবুও সরকারের বোধদয় হল না । এবারও হাম - রুবেলা টিকা নিতে গিয়ে মারা গেল দুই সোনামনি আফরোজা ও মাসুম । আসলে আমাদের সরকার কোন দিকে নিতে চাচ্ছে তা আমার মখা মার্কা নলেজে ধরে না । যেখানে গত বছর আমাদের এতগুলো সোণামুখকে চির জীবনের জন্য মাটির নিচে পুতে দিতে হল সেখানে আবারও সেই একই কান্ড সরকার কিভাবে করল । তাদের কি এই দেশটার প্রতি কোন দায় বদ্ধতা নেই । দয়া মায়ার কথা নাইবা বললাম । কারণ যারা দিনের আলোতে মায়ের সামনে থেকে যুবক ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে , রাতের অন্ধকারে মায়ের কোলে লাশ হিসেবে উপহার দেয় , তাদের কাছে মায়ার ব্যাপারটা নিতান্তই একটা ভন্ডামি মাত্র ।
তাছাড়া সরকার কত নীচ চরিত্রের হতে পারে ।যাদের দিয়ে আমরা আগামীর একটি সুখি , সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখি তাদের এভাবে অঙ্কুরেই শেষ করে দেয়া হচ্ছে । আমার একটা তত্ত্ব হল , দেশকে পঙ্গু করতে হলে তাদের নব প্রজন্মকে দুর্বল করে দেয়াটাই হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী পন্থা । যদি কোন জাতির নব প্রজন্মকে দুর্বল করে দেয়া যায় , আর যাই হোক সে জাতি কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারে না । আমার জাতির নতুন প্রজন্মকে একদিকে যেমন কুৎসিৎ হিন্দি সিরিয়াল গুলো দিয়ে নৈতিক ভাবে দুর্বল করা হচ্ছে , আর এতেও দাদা বাবুদের মনের ক্ষেদ মিটছেনা দেখে একবার জীবনটাকেই শেষ করে দেয়া হচ্ছে ।
যে ঔষধের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে আত্ন রক্ষার জন্য চেষ্টা করে থাকে ।সেই ঔষধই যদি মানসম্পন্ন না হয় তাহলে সেটা যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে চিকিৎসা বিদ্যার সাথে জডিত নন এমন কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয় । আমি যেহেতু চিকিৎসা বিদ্যার সাথে জড়িত নই , তাই এ বিষয়ে বলে মখা বা সাহারা স্টাইলে বিতর্ক জন্ম দিতে চাই না । তবে , সে ঔষধ আর যাই হোক সুস্থ ও সবল জাতি যে গড়া যায় না সে ব্যাপারে নিশ্চিত ।
প্রানপ্রিয় সরকার এখন প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের মাধ্যমে দমন করছে বা কেড়ে নিচ্ছে ন্যুনতম মানবাধিকার
অথবা প্রতিনিয়ত জোরপূর্বক ঠেলে দিচ্ছে না ফেরার দেশে । আমি সেদিকে যেতে চাইনে । কারন , এটা এখন আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে যে , প্রিয় প্রধানমন্ত্রী এখন নয়া চেতনার অজুহাত দেখিয়ে যে কাউকে হত্যা করতে পারবে , লাশের উপর দাঁড়িয়ে দিতে পারবে প্রান খোলা হাঁসি - এটা তার সাংবিধানিক অধিকার । যে তার বিরুদ্ধে কথা বলবে তার বেঁচে থাকার অধিকার এই সবুজ বাংলায় নেই ।কারন সব হল ভানে ভেসে আসা আবর্জনা ।
কিন্তু তাই বলে সিলেক্টেড প্রধানমন্ত্রী হাসু বুবু , আমাদের নতুন প্রজন্মকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিতে পারেন না । আমাদের শিশুরাতো আর ওণার দিদিগিরি কেড়ে নেবে না । তাহলে কেন উনি আমাদের মিষ্টি সোনামনিদের এভাবে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিবেন । নাকি উনি ফেরাউনের মত অধিক স্বেচ্ছাচারিতার ভয়ে ভীত হয়ে সকল শিশুকে মেরে ফেলতে চাইছেন । তাহলে আজ থেকে নির্বাহী আদেশে সকল স্বামী - স্ত্রীর মিলনকে অবৈধ ঘোষণা করা হোক । সকল স্বামী - স্ত্রীর মধ্যে মিলন নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হোক , ওনার স্বামী নেই তাই ডিক্রি জারি করতে তেমন বেগ পেতে হবেনা , তার উপর মৃণাল কান্তি দাস বা মতিউর রহমান রেন্টুর মত নাম না জানা অনেক নাগরই আছেন ওনার মনোরঞ্জনের জন্য ।
যদি জনরোষের ভয়ে স্বামী - স্ত্রীর মধুর মিলন নিষিদ্ধ করতে না পারেন তাহলে পারবেন কি ফিরিয়ে দিতে আমাদের কলিজার টুকরা আফরোজা ও মাসুমকে ? মোকাদ্দেস আলী বা আব্দুল মজিদদেরই বা কিভাবে সান্ত্বনা দেবেন - স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টার কন্যা ! যদি উনি না পারেন তাহলে কি আমরা কি এভাবেই হাসু বুবুর ফেরাউনী চালের আবর্তে ঘুরতে থাকব , নাকি প্রভুর পক্ষ থেকে কোন এক আকর্ষিক আজাব আসবে , যেভাবে এসেছিল ফেরাউনের প্রতি । যদি তা না আসে তাহলে আমরা কি মুখ বুজে সহ্য করব এই অমানুষিক নির্যাতন । কেউ কি এই প্রিয় মহিলার নিরলজ্জাতাকে রুখে দিতে এগিয়ে আসবেনা , কেউ কি ............
বিষয়: বিবিধ
১৭৯৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন