সাতক্ষিরা ও মানিক মিয়ার উপলব্ধি
লিখেছেন লিখেছেন সালাহ ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:১৯:১০ দুপুর
এক দেশে ছিল মানিক মিয়া নামের এক মিষ্টভাষী বুদ্ধিদীপ্ত সুঠাম তরুন । আর এক ছিল সুন্দরী ও ভাগ্যবান ললনা মতি ভানু । তাদের মাঝে ছিল ভীষন খাতির । তবে কেউ কাউকে দেখত না সামনে থেকে । কিন্তু দুজন দুজনকে প্রানের চেয়ে বেশি ভালবাসত । একদিন বিষয়টা আঁচ করতে পারে তাদের অন্য এক বন্ধু সাগর । বিষয়টাকে চুড়ান্ত একটা রুপ দেয়ার চিন্তা নিয়ে এগোতে থাকে । একদিন সে বন্ধ মানিককে বলল - জান , মতি ভানু তোমাকে কেমন ভালবাসে ! উত্তরে মানিক মিয়া , বলে সেটা আমি বুঝতে পারি ।
কিত্নু মানিক মিয়া ভালবাসার কথা না বললেও কি - ঠিকই মতি ভানুর জন্য কখনো মধু , কখনো প্রিয় কোন জিনিস উপহার হিসেবে পাঠায় । মতি ভানুও ভাল কিছু হলে মানিক মিয়ার জন্য অত্যন্ত যতন করে পাঠিয়ে দেয় ।মানিক , মতি ভানুকে বন্ধু হিসেবে ভালবাসে , তবে মতি ভানু মানিক মিয়াকে জীবন সাথী হিসেবে চায় । মানিক মিয়া রাজি না দেখে একদিন সাগর নিজেই বিয়ের প্রস্তাব করে বসে । সাগরের চিন্তা হল , এভাবে লুকোচুরি খেলে আর কত মনকে কষ্ট দেয়া যায় । সাগরের প্রস্তাবে মতি ভানু একটূ নড়েচড়ে বসে ।সাগরও ছিল উপযুক্ত , তবে মতি ভানু যে মানিক মিয়াকে ভালবাসে । একদিন হঠাৎ সাগরকে অবাক করে দিয়ে মনের মানুষ মানিক মিয়াকে বিয়ে করে ফেলে ।সাগর মিয়া ভীষণ কষ্ট ......
আমি এখন এই ঘটনাকে আমার জানের জান হাসু বুবুর সাতক্ষিরা অপারেশনের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে চেষ্টা করব । বুবু এবং ইন্ডিয়ার যুগল প্রেমে যে আমার স্বাদের সংসার পুড়ে খান খান হয়ে জাচ্ছে , সেটা সাগরের মত আমরাও ঠিকই বুঝতে পারি । আজ সাতক্ষিরা নামক জনপদটা এক ভয়ানক মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে , কোথাও একটু নিশ্বাস নেয়ার জায়গা নেই । সর্বত্র লাশের পোড়া গন্ধ , ধর্ষিতা বোনের আত্নচিতকার , আর অভিশাপ । অসহায় বোনটি কাদছে আর অভিশাপ দিচ্ছে - আমরা কেমন ভাইদের বোন ! যে তোমরা বোনদের নিরাপত্তার চাদরে ঢাকতে পারনা ।
তোমরা না ইখতিয়ার উদ্দিনের উত্তর সূরী । তোমাদের পূর্ব পুরূষ একটি মেয়ের ইজ্জত বাঁচাতে একটি রাজ্য আক্রমন করেছিলেন - সেটা কি তোমরা ভুলে গেলে । কিন্তু আমরা আমার সেই না দেখা কলিজার টুকরা আদরের বোনটিকে বলতে পারছি না যে , আমরা আজ অসহায় । আমরা আসলে অসহায় না কাপুরুষে পরিনত হয়েছি তাও ভাবার অবকাশ রাখে । কারণ এক পেটি কোর্টের মায়া জালে আমরা ষোল কোটি জনগন এভাবে বেঁধে যেতে পারি তা যে , আমার অভিমানী বোনটি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারে না । আমার বোনটি জেনে এসেছে , তার রক্তের বাঁধন ভাইদের শরীর সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী , তারেক বিন জিয়াদ বা ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজীদের রক্তে মিশ্রিত ।
বোনটির কথা বাদই দিলাম , আমার ষাটোর্ধ মাকে বেধে রেখে যখন তারই চোখের সামনে তার কলিজার টুকরা ষোড়োশী তনয়ার ইজ্জত লুটে নিচ্ছে স্বদেশীয় কিছু যুবক । তখন সেই আম্মুটির কলিজার যে কাঁপন তা কি আমাদেরভীরু কলিজাকে এতটুকু নাড়া দিয়েছে । সেই মায়ের কাপা কাপা কলিজার যে আত্ননাদ - মায়ের দুধ খাওয়া কোন ছেলে কি নেই , যে আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও নারী ছেড়া ধন মেয়ের ইজ্জত রক্ষা করে ।
মেজর ডালিম সাহেবের সুন্দরী বঁধু অপহরনকারীদের উত্তরসূরী ছাত্রলীগ বা আওয়ামীলীগের কানে সেই সোহাগী আম্মুর আত্ন চিৎকার যে পৌঁছতে পারবে না তা আমরা ভাল করেই জানি । কিন্তু যারা ওমর বা সোমাইয়াদের উত্তরসূরী তাদের কর্ণ কুহরে কি সেই আওয়াজ এতটুকু আলোড়ন তুলেছে ।একটা যুবকও কি আমার সেই অসহায় আম্মুর আত্ননাদে সাড়া দিয়েছে । আমার অসহায় আম্মুরা , ফুফীরা , খালারা , শিসু ও ষাটোর্ধ বৃদ্ধরা আর কত সেই অসহায় সাগরের মত কষ্টের সাগরে সাতার কাটব । কেউ কি আমার সেই অবলা মা বোনদের ডাকে এগিয়ে যাব না । কেউ কি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহুম্মদ বখতিয়ার খিলজির মত প্রধানমন্ত্রীকে তার এই সেচ্ছাচারিতা থেকে ফিরাতে পারব না ।
না কি এভাবেই জনপদের মত জনপদ বিরান হবে , চির সবুজ বাংলার চির সবুজ আকাশ হায়েনাদের আঁচড়ে খত বিক্ষত হবে । বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাকে লেন্দুপ স্টাইলে তুলে দেয়া হবে গাদ্দারের লীলাভূমি ইন্ডিয়ার হাতে । আর আমরা অসহায় হয়ে সাগরের মত তাকিয়ে তাকিতে দেখব । অসহায় মানুষগুলো কি এক হয়ে এই পেটী কোর্ট ওয়ালীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেনা । কেউ কি এগিয়ে আসবে না আমার প্রিয় বাংলাকে বঙ্গ বন্ধুর সেই স্বপ্নের বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে । কেউ কি ............
বিষয়: রাজনীতি
১৪৬১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন