সুন্দরগঞ্জ ও কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন সালাহ ২৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:১৩:২২ দুপুর
সেদিন খাসী বিরানী খাচ্ছি । এক পর্যায়ে একটা হাড় পেলাম । হাড়টা পেয়ে ছোট বেলার হাড্ডী খাওয়ার নেশা কেমন যেন মাথা চাড়া দিয়ে উঠল । শুরু করলাম হাড্ডি চোষা ।চারদিক দিয়ে চারটা ছিদ্র তৈরি হল । চুষতে চুষতে একবার হাড্ডি মুখ থেকে নিচে পড়ে গেল । সেখান থেকে আবার তুলে শুরু করলাম । এবার হাড্ডিটি দু 'ভাগ গয়ে গেল । কিন্তু আমি পিছু ছাড়লাম না । এবার দু হাত লাগিয়ে সজোরে চোষা শুরু করলাম , চুষতে চুষতে হাড্ডির মাঝ খানের সব মজ্জা খেয়ে ফেললাম ।
আমার অস্থি মজ্জা খাওয়ার সাথে হাসু বুবুর সুন্দর গঞ্জ অপারেশনের সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করব । সুন্দর গঞ্জের ব্যাপারে যখন থেকে জানার সুযোগ হয়েছে , তখন থেকে জেনে এসেছি - সেখানের মানুষগুলো ভীষণ গরিব । তবে তাদের আতিথীপরায়নতায় যে কাউকে অবাক লেগে যেতে হয় । অবশ্য , আমার কিছু বন্ধুও আছে সেই গ্রামে । কিন্তু এখন সেই গ্রামের যে অবস্থা তাতে , সেখানকার মানুষগুলো হাসু বুবুর রোষানল থেকে বাঁচবে বলে মনে হয়না । হাসু বুবু যেভাবে তাদের চতুর্দিক থেকে রক্ত চুষে খাচ্ছেন । তাতে তাদের অস্তিত্ব টিকবে বলে আপাতত মনে করার তেমন কোন কারন দেখছি না ।
যে শাসক মানুষের রক্তের উপর পা রেখে সংসদে প্রবেশ করেন । সে শাসককে বেঈমান ছাড়া আর কিইবা উপাধি দেয়া যায় । যে অঞ্চলের মানুষগুলো স্বাধীনতার ৪২ বছরেও কোন সংঘাতে জড়ায়নি । আজ নির্বাচন যেতে না যেতেই সে মানুষগুলো সন্ত্রাসে পরিনত হয়ে গেল ! অবশ্য , হাসু বুবুর বগলের উষ্ণতার ছোঁয়া পাওয়া কিছু বেহায়া ছাড়া আর কারো পক্ষে যে তা বিশ্বাস করা সম্ভব নয় এটা প্রিয় হাসু বুবু খুব ভালই জানেন । যে প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান সংসদে যাননি মানুষ হত্যার প্রতিবাদ করে । সেই প্রেসিডেন্টের ঘরে এমন কুলাঙ্গার মহিলা জন্ম নিতে পারেন , তা আমার মখা মার্কা নলেজে ধরে না ।
হাসু বুবু এখন যে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন । সহজ সরল মানুষগুলোর রক্ত পান করে , একদিন মনে হয় হাসু বুবুকে এর জের সইতে হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না । এক সময় বঙ্গ বন্ধু ছিলেন মানুষের মনের রাজা । কিন্তু , বাম পন্থীদের চক্রান্তে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টার পরে এমন অবস্থা হয়েছে যে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয় । একদল প্রতিশোধ পরায়ন সেনার আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আসা ফোন পেয়ে সেনা প্রধান সফিউল্যাহ সাহেব , ওনাকে পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন । আর সপরিবারে হত্যা করার পর বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীকে ছাড়া কাউকেই প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি । এমনকি ইনু সাহেব ট্যাঙ্কের উপর উঠে নাগীন ড্যান্স পর্যন্ত দেখিয়েছিলেন । তার জানাজার নামাজে কত মুসুল্লী হয়েছিল সেটাও মনে হয় আপনাদের অজানা নয় ।
এখন আমার সুন্দর গঞ্জের মা - বাবা , ফুফী -ফুফা , খালা- খালু ,ভাইয়া - ভাবী ,আপু ও ছোট ছোট শিশুরা যেভাবে হাহুতাশ করে , কেদে কেদে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছে - হে আল্লাহ এই জালিম হাসু বুবুর আক্রমন থেকে আমাদের রক্ত ও ইজ্জতকে নিরাপদ কর । আমাদের রক্তের বাঁধন ভাই , ছায়ার উৎস বাবা , কলিজার টুকরা ছেলে ও প্রানপ্রিয় স্বামীদের হিফাজত কর । যখন এই মানুষগুলোর আত্ননাদ আল্লাহর আরসে গিয়ে খোঁচা দিতে সক্ষম হবে , তখন এই হাসু বুবুর কি অবস্থা হতে পারে একবারও কি ভেবে দেখেছেন ! মানুষের রিজিক কেড়ে নেয়ার পরিনামে হাসু বুবুর অবস্থা যদি বঙ্গ বন্ধুর চেয়েও ভয়ানক হয় তখন কি আক্ষেপ করে কোন লাভ হবে !
মানবতার মুক্তিদূত রাসুল সঃ বলেছেন মজলুম এবং আল্লাহর মধ্যে কোন দূরত্ব থাকে না অর্থাৎ মজলুম যা বলে আল্লাহ পাক সাথে সাথে তা কবুল করে নেন । রুটি রুযী ,ইজ্জত ও সর্বস্ব হারানো মজলুম মানুষগুলোর আত্ননাদ আল্লাহর দরবারে পৌঁছানো এবং তার পরের পর্যায়ে হাসু বুবুর অপমানজনক পরিনাম ও বাম চক্রটির ভাবী উল্লাস দেখার আশা নিয়ে সুদূর প্রবাসে এক স্বপ্ন বিলাসী যুবক ......
বিষয়: রাজনীতি
১৪৪৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রক্ষা করুন। আমীন
মন্তব্য করতে লগইন করুন