শিশুর পানি খাওয়া ও প্রধানমন্ত্রীর বাকশাল তত্ত্ব
লিখেছেন লিখেছেন সালাহ ১১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৩৭:৪৮ দুপুর
আমার বড় ভাগনী সোমাইয়া । তখন ওর বয়স হবে তিন কি চার । খাওয়া খেতে চাইত না । ভীষন ফাজিল টাইপের ছিল । যখনি খাওয়ার সময় হত , একটা না একটা বাহানা বের করে খাদ্য গ্রহন থেকে বাঁচতে চাইত । তাই , আম্মুও ওকে খাওয়ানোর একটা নতুন ফর্মুলা আবিস্কার করলেন । দুষ্ট মামনিটাকে খাওয়ানোর সময় আমাদের কেউ একজন গিয়ে বলবে , মামা তুমি কি খাও ? আর সাথে সাথে আম্মুর শিখানো মত ও উত্তর করবে , আমি পানি খাই । এভাবেই অনেক কৌশল করে একটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করতাম । আর ইতিমধ্যে আমার দুষ্ট মামনিটাকে খাওয়ানোর কাজটাও সেরে নিতাম ।
এখন আমার দুষ্ট মামনির পানি খাওয়ার কাহিনীকে প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে চেষ্টা করব । আমার প্রধানমন্ত্রী ঠিক একই কায়দায় মনের ভেতর ক্ষমতায় আসার বাহানা খুজতেছিলেন । উনি সারা বাংলায় সংবিধান সংবিধান বলে রীতিমত একখান ঝড় তুলে ফেলেছেন । আর ওনার সাথে সুরঞ্জতি বাবুর মত কিছু বেহায়া ও তোফায়েল সাহেবদের মত কিছু বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তা দেশরক্ষার নাটক বলে মিডায়াকে গরম করে রাখতেন । আর ভেতরে ভেতরে বাকশাল কায়েমের কাজ সম্পন্ন ।
এখানে পার্থক্য শুধু এটুকুই যে , আমার দুষ্ট মামনিটাকে আমরা সবাই কৌশল প্রয়োগ করে খাওয়াতে চেষ্টা করতাম । আর আজ প্রধানমন্ত্রী একলা কৌশল প্রয়োগ করে পুরো দেশবাসীকে বাকশাল খাওয়ানোর চেষ্টা করেছেন । সাথে অবশ্য কিছু পাচাটা মিডিয়া ও কিছু লাজ শরম ভোলা রাজনীতিবিদ টনিক হিসেবে কাজ করেছেন ।
এখন দেখার বিষয় , রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশ স্বাধীন করা মানুষগুলো কতদিন এই বাকশাল নামক স্টীম রোলারে পিষ্ট হন । আমাদের সবার কৌশল প্রয়োগ করে ভাগনীকে আহার করানোর মত প্রধানমন্ত্রী একাই পুরো দেশবাসীকে বাকশাল নামক বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেন , নাকি এই বাকশাল নামক বিষের বাঁশি উল্টো খিঞ্জির হয়ে প্রধান মন্ত্রীর বুকের বাম পাশে বিদ্ধ হয়ে দেশ বাসীকে জুলুম - নির্যাতনের নব্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয় ।তা দেখার অপেক্ষায় চিন্তিত মনে বসে এক স্বপ্ন বিলাসী.........।।
বিষয়: রাজনীতি
৯৭৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমেরিকার এক বিচারকের কাহিনী।
বিচারক এক বৃদ্ধ চোরকে বললেন: আপনার বিরুদ্ধে একটি রুটি চুরির অভিযোগ আছে। আপনি কি চুরি করেছেন?
বৃদ্ধ: অভিযোগ সত্য। হ্যাঁ, আমি চুরি করেছি। কারণ, আমি খু্বই ক্ষুধার্ত ছিলাম। চুরি ছাড়া কোন উপায় ছিল না আমার।
বিচারক: আইন অনুযায়ী আপনার উপর ১০ ডলার জরিমানা করা হলো।
একটু পরে বিচারক নিজের পকেটে হাত দিয়ে ১০ টি ডলার বের করে বৃদ্ধকে দিয়ে বললেন, নিন। আপনার কাছে তো ডলার নেই। আপনি কি দিয়ে জরিমানা দিবেন। এই ডলারগুলো দিয়ে জরিমানা শোধ করুন।
উপস্থিত সবাই হতবাক। নির্বাক।
সহসা বিচারক আরেকটি বিচারিক রায় প্রদান করলেন। উপস্থিত সবাইকে নির্দেশ দিলেন, প্রত্যেকে এই বৃদ্ধকে ১০ ডলার করে প্রদান করুন। কারণ, আপনারা এ সমাজে স্বাচ্ছন্দপূর্ণ জীবন যাপন করবেন, আর এখানে এমন মানুষ থাকবে, যারা না খেয়ে ধুকে ধুকে মরবে, তা হতে পারে না। তৎক্ষণাৎ উপস্থিতভাবে ৪৮০ ডলার উঠে যায়। এভাবে একজন বিচারকের মানবিকতার কারণে একজন দরিদ্র বৃদ্ধ দারিদ্রের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়।
মন্তব্য: এ আদর্শ ১০০% ইসলামী। যদিও তারা মুসলিম নয়। ইসলামের এ মহান আদর্শ ধারন করে পাশ্চাত্যের আধুনিক রাষ্ট্রগুলো সামাজিক নিরাপত্তার বেষ্টনীকে প্রসারিত করলো। আর আমরা ইসলামকে ছেড়ে দিয়ে পেছনেই পড়ে রইলাম।
শিক্ষা: শুধু একজন মানুষের চিন্তা কখনো গোটা রাষ্ট্রের গতিবিধি পরিবর্তন করে দিতে পারে।
জিজ্ঞাসা: এমন একজন মানুষ কিংবা এমন একজন বিচারক কি এ দেশে নেই? কোন দিন কি হবে না
(সংগৃহীত)
অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন