বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর

লিখেছেন লিখেছেন সালাহ ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:৫০:৩০ রাত



হয়ত আপনারা বলবেন ধর্ষকদের কাছ থেকে আমাদের শিখার কিছু নেই । কেউ আবার বলতে পারেন , যারা সীমান্তের কাঁটাতারে আমাদের ফেলানীদের মেরে ঝুলিয়ে রাখে , ষাটোর্ধ বৃদ্ধদের মেরে দাঁড়ির সাথে বাঁধ দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখে , স্বাধীনতার জনক বঙ্গবন্ধুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে দেশকে মরুভূমিতে পরিনত করার সব আয়োজন সম্পন্ন করছে , আঙ্গরপাতা - দহগ্রাম ফিরিয়ে দিচ্ছে না , শায়খ রহমানের মত জঙ্গীদের প্রশিক্ষন দিয়ে আমাদের দেশে পাচার করছে , আকাশ সংস্কৃতির মাধ্যমে তরুনদের নৈতিকতাকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে , মাদকের মাধ্যমে যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে তাদের দেশ ইন্ডিয়ার কাছে আমাদের শিখার কিছু নেই ।

যোহর নামাজ শেষে আসরের প্রস্তুতি নেবার আগে পত্রিকার পাতা খুলে আমি রীতিমত অবাক বনে গেলাম । মাত্র এক বছর আগে দল গঠন করা সাবেককর কর্মকর্তা কিজরিওয়াল সরকার গঠন করতে যাচ্ছে । সেখানকার জনগন দুর্নীতিবাজ কংগ্রেস ও হিন্দু জঙ্গীবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে প্রত্যাখ্যান করে দুর্নীতি বিরোধী শিবিরের মুখপাত্র কিজরিওয়ালকে তাদের মূল্যবান রায় প্রদান করেছে । ফলে দেশটি এক দিকে যেমন দুর্নীতিবাজদের কবল থেকে মুক্তি পেল , তেমনি অপর দিকে জঙ্গীবাদীদের নিক্ষেপ করল ইতিহাসের আস্তাকুড়ে ।

এখন আমার দেশের জনগন এই ঘটনার শিক্ষাটা এভাবে নিতে পারে - যে কোন মূল্যে ২৯ তারিখের মধ্যে , শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে ,তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন সংগঠনের মাধ্যমে জয়ী দলের হাতে ক্ষমতা অর্পন করা । আর এটাকে যদি দেশের ভবিষ্যত কল্যানের জন্য শিক্ষনীয় ঘটনা হিসেবে স্মরণীয় করে রাখতে চায় । তাহলে জামাআতের বর্তমান নেতাদের বাদ দিয়ে যারা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে মুক্ত তাদের মাধ্যমে অন্য নতুন একটি দল গঠন করে আগামী ভবিষ্যতের দিকে তাকানো ।জামাআতের কথা এই কারনে বললাম , দেশে একমাত্র সৎ মানুষের রাজনৈতিক দলটির নাম জামাআত । চারদলীয় জোট মন্ত্রী নিজামী ও মুজাহিদ যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । তবে স্কাইপে কেলেঙ্কারীর পর বর্তমান অভিযুক্তদের নির্দোষ হওয়ার ব্যাপারে যদিও আমার কোন দ্বিমত নেই ।

কারন যে দেশের সবগুলো মিডিয়া এক হয়ে যায় । সে দেশে একটা নিস্পাপ মানুষকে চরম অপরাধী হিসেবে প্রমানিত করা যায় । রগ কাটা ছাত্র লীগের আসল পরিচয় মিডিয়াতে প্রকাশের পর মনে হয় আপনাদের দ্বিমত থাকার কথা নয় । দেখেন তুরস্কে একটা দুর্নীতি অভিযোগ উঠার পর ডজনের উপর পুলিশ অফিসার এবং অনেক মন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে । অথচ হাতে নাতে সত্তর লাখ টাকা নিয়ে ধরা খাওয়ার পরও চোর সুরঞ্জিত ওরফে চেতনাখোরের মন্ত্রিত্ব বহাল রাখা হয়েছে দপ্তরবিহীন হিসেবে । সোনালী ব্যাংক ও হল মার্ক কেলেঙ্কারীর ঘটনায় হাজার হাজার কোটী টাকা আত্নসাতের পরও রাবিস অর্থমন্ত্রী আবুল মালের মন্ত্রিত্ব বহাল থাকে । লগী - বৈঠা ধারী আওয়ামী লীগ যে কতটা বেহায়া পদ্মাসেতুর নক্সা প্রনয়নের আগে দশ শতাংশ ঘুষ খাওয়ার পরও আবুল হোসেনের মুখপূর্ণ ভিলেনীয় হাঁসি তা প্রমানের জন্য যথেষ্ট ।

এবার মূল কথায় আসি কেন জামাত নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করা হল । আসলে বাংলাদেশে সততার সাথে দেশ চালানোর মত সাহস জামাত ছাড়া অন্য কারো মধ্যে নেই । তাই যে নামটির সাথে দেশ বিরোধীতার কলঙ্ক জড়িত রয়েছে , আশা রাখি জামাআত নেতৃত্ব নিকট ভবিষ্যতে সে নামটি আজীবনের জন্য ছুড়ে ফেলে দিয়ে নতুন নামে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাবে । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারী নেতার একমাত্র প্রভাবশালী রাজনীতিক দল জামাতের কাছে এই একটা অনুরোধ - আশা রাখি জামাআত নেতৃত্ব ভারতের কিজরিওয়াল ও তুরস্কের ইতিহাস সামনে রেখে জাতিকে স্বপ্নের তীরে টেনে.........।

বিষয়: রাজনীতি

১১৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File