এ লড়াইয়ে জিততে হবে
লিখেছেন লিখেছেন সালাহ ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:৩৭:৪০ রাত
দেশ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে । জনপদের কোথাও কোন শান্তি নেই । নেই কোন আশাপ্রদ খবর । সর্বত্র উদ্বেগ , দুশ্চিন্তা , হাহাকার , অনিশ্চয়তা আর শঙ্কা আমাদের জীবনকে বড় বেশি ক্লান্ত করে তুলেছে । আসলে এভাবে একটা জনপদ চলতে পারে না ।যে জনপদে দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগ মানুষের নিত্য সঙ্গী । সে জনপদে আর যাই হোক মানুষের সৃজনশীলতা টিকতে পারে না । যে জনপদে মানুষ নিশ্চিন্তে মুখে খাবার তুলতে পারে না । সে জনপদ আর যাই হোক সভ্য জনপদ হিসেবে পরিগনিত হয় না । যে জনপদ তার সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জানে না । সে জনপদকে আর যাই হোক বাসযোগ্য জনপদ হিসেবে অভিহিত করা যায় না ।
দেশে একের পর এক আমাদের বাবা - চাচাদের প্রিয় দল আওয়ামিলীগের লজ্জাহীন কর্মকাণ্ড যেমন , সরকারী মদদে সেনাবাহীনীর মেধাবী অফিসারগুলোকে অত্যন্ত পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা , সিলেটের মন্দিরের পুরোহিতের পায়ের রগ কাটা , খুলনায় রেলের ফিশ প্লেট উপড়ে ফেলা , পাবনায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলা , রামুতে মন্দিরে হামলা , নোয়াখালীতে ট্রাইব্যুনাল বিচারপতির বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ , ফেনীতে পেট্রোল বোমা বানাতে গিয়ে দেহ ঝলসে যাওয়া , বোনের হাতে ভাইয়ের লিঙ্গ বিচ্ছেদ , এমপি প্রার্থী দ্বারা নিজ মেয়ের শ্লীলতাহানি , ইডেনে দেহ ব্যবসায় নিয়ে মারামারি , রাজশাহীতে ছাত্রনেতার পায়ের রগ কাটা , ইসলামী বিধি বিধানকে নানাভাবে কটাক্ষ করা , শেয়ার বাজার লুট , পদ্মা সেতুতে ঘুষ , সোনালী ব্যাঙ্ক ও হল মার্ক কেলেঙ্কারী সহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারীতে জাতি আজ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ।
এখানেই শেষ হলেও মোটামুটি চলত । কিন্তু সরকারের গোঁয়ার্তুমির কারনে আমরা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড চালিয়ে নিতে পারছি না , পদে পদে আমাদেরকে হয়রান হতে হয় , এমনকি অনেক প্রজেক্ট মাঝ পথে এসে বন্ধ করে দিতে হয় । আরে, তোমাদের কাছে আমরা কোন ঋণ চাই না । শুধু একটু সহযোগিতা চাই যদি তাও না দিতে পার তাহলে ক্ষমতা আঁকড়ে পড়ে থাকার কি দরকার । ডুবাইতে তরুন সম্প্রদায় যদি কোন ব্যবসায় শুরু করতে চায় , সরকার তাদের ঘরে গিয়ে অর্থের জোগান দিয়ে আসে । আর সোনার বাংলাদেশে চেতনার ফেরী করা ভন্ডরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে আমাদের গলা টিপে হত্যা করছে । মুক্তিযোদ্ধা - রাজাকার এই একটা মন্ত্রের মাধ্যমে গোটা দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে । আরে, এমন মন্ত্র আমরা চাইনা , যে মন্ত্র এগিয়ে যাওয়ার পথে বাঁধার সৃষ্টি করে ।
এই ভন্ডামির বাঁধা দূর করার জন্য বেগম জিয়া এতদিন পর একটা কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন । আসলে এ কর্মসূচী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয় । এ করমসূচী হল দেশের শত্রূ , মানবতার শত্রূ , মুক্তিযুদ্ধের শত্রু ও নব্য বাকশালের বিরুদ্ধে ।এ লড়াই নাস্তিক - মুরতাদদের বিরুদ্ধে , এ প্রতিবাদ লাজ লজ্জাহীন ভন্ডদের বিরুদ্ধে , এ লড়াই শয়তানী শক্তির বিরুদ্ধে ।আসলে যে তত্ত্ব জাতিকে বিভক্ত করে সে তত্ত্বকে বাকশাল ছাড়া অন্য কোন যোগ্য নামে অভিহিত করার মত শব্দ বাংলা উইকিপিডিয়াতে খুঁজে পাইনি ।
প্রধানমন্ত্রীর চতুর্দিকে যেভাবে বাম চক্রটি ঘিরে রয়েছে , এতে বাবা - মা হারা কন্য শেখ হাসিনার পক্ষে অন্য কোন পন্থা ছিল বলে মনে হয়না , যে কারনে হাসানুল হক ইনু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর ট্যাঙ্কের উপর উঠে নাগিন ড্যান্স দেখিয়েছিলেন , মতিয়া চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানাতে চেয়েছিলেন , তাই এই বাম চক্রটিকে উপড়ে ফেলার এখনই শেষ সময় । এখনই যদি চূড়ান্ত লড়াইয়ের মাধ্যমে সরকারকে রুখে দিতে না পারেন ,তাহলে স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকাটা আপনাদের জন্য অমাবস্যার চাঁদ হয়ে থাকবে ।
তাই যে যা পারেন গনতন্ত্র রক্ষার কর্মসূচীতে ঝাপিয়ে পড়েন , এ লড়াই মুক্তিকামী মানুষের আত্ন পরিচয় নিয়ে টিকে থাকার লড়াই , এ লড়াই স্বাধীন ও শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে টিকে থাকার লড়াই , এ লড়াই স্বৈরাচার এক বেহায়ার বিরুদ্ধে লাজুক ও মজলুম জনতার লড়াই , এ লড়াইয়ে হারা যাবে না । যদি এ লড়াইয়ে হেরে যান তাহলে এ জাতিকে চিরদিনের জন্য পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে । নিজেদের জন্য না হোক আমাদের মা - বোন , বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য নিরাপদ একটু শান্তির আবাস উপহার দেয়ার জন্য যে যেভাবে লাজ লজ্জাহীন বেহায়াদের রুখে দিন , তাহলে............।
বিষয়: রাজনীতি
১০৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন