বিয়ে নিয়ে পাঁচটি ভুল ধারণা
লিখেছেন লিখেছেন ওয়াজেদ আহমেদ ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:৪৩:০৭ রাত
নারী বা পুরুষ বিয়ের আগে যখন মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন বা একাকিত্ব বোধ করেন, তখন ভাবেন বিয়ে করলেই হয়তো এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আপনি যদি এমনটি ভেবে থাকেন, তাহলে তা হবে ভুল। বিয়ে আপনার এসব সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। বিয়ে সম্পর্কে প্রচলিত এমন পাঁচটি ভুল ধারণার কথা তুলে ধরেছে মুম্বাই মিরর।
একাকিত্ব থাকবে না?
বিয়ে মানে সঙ্গী পাওয়া। তা নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই সত্য। তাই দুই পক্ষই মনে করে, সঙ্গী যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে, একাকিত্বের যন্ত্রণায় ভোগার কোনো আশঙ্কা নেই। নারী মনে করেন, তিনি তাঁর স্বামীর কাছে এত দিনের না-বলা কথা, দুঃখ-কষ্ট বলে নিজেকে হালকা করবেন, তাঁকে বন্ধু বানিয়ে নেবেন। আশা করেন, স্বামীও তাঁর সব কষ্ট ভাগ করে নেবেন। কিন্তু বিয়ের পর নারীকে হতাশ হতে হয়। এমনই এক নারী বলেন, ‘বিয়ের পর আমার কখনো মনে হয় না, আমরা পরস্পরের সঙ্গে কোনো কিছু শেয়ার করি। আমি যখন বলি, সে কান দিয়ে শোনে, কিন্তু মন দিয়ে বোঝে না। এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও মনে হয় না, আমরা একসঙ্গে আছি।’
যখন-তখন যৌনতা!
স্বাভাবিক যৌন-সম্পর্ক যেকোনো দাম্পত্যকে সুখী রাখতে সহায়তা করে। বিয়ের আগে মনে হয়, বিয়ের পর ইচ্ছে হলেই যখন-তখন যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব। বাস্তবে এমনটা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। রোজকার বাস্তবতা, ব্যস্ততা ও সমস্যায় এমন আকাঙ্ক্ষা বিয়ের পর কমতে থাকে। এ নিয়ে দুই পক্ষেই হতাশা বাড়ে।
আর্থিক নিরাপত্তা
অবিবাহিতরা ধারণা করেন, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর যৌথ আয় সংসারজীবনে আর্থিক নিরাপত্তা দেবে। আসলে তা হয় না। নিজ নিজ আয়ে সংসারের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়। নিজের খরচের জোগান নিজেকেই দিতে হয়। এ বিষয়ে দম্পতির কেউ কাউকে তেমন একটা সহায়তা করেন না।
অন্যের স্বজন নিজের হয় না
বিয়ের পর নতুন আত্মীয়স্বজন-পরিজন নিয়ে সুখে বাস করার স্বপ্ন দেখেন অবিবাহিত নারী-পুরুষ। বিয়ের পর পর উভয়েই চেষ্টা করেন সঙ্গীর স্বজনকে আপন করে নিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টা সাফল্যের মুখ দেখে না। দিন শেষে নিজের রক্তের বন্ধনই প্রধান হয়ে দেখা দেয়। যখন কোনো সংকট দেখা দেয়, তখন এই সত্য প্রকট হয়। অন্য পরিবার থেকে আসা কেউ, সে যতই ভালো হোক না কেন; পক্ষপাতিত্ব চলে যায় নিজের স্বজনের দিকে। এ ক্ষেত্রে স্বপ্ন ভঙ্গের আশঙ্কা থাকে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে, নতুন স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা দেখান কিন্তু বেশি কিছু আশা করবেন না।
সমস্যার সমাধান সন্তানে?
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী যখন একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যস্ত থাকেন, তখন তাঁদের মনে হয় সন্তানের জন্মই হয়তো সংকটে সমাধান দেবে। এটি ভুল ধারণা। যথেষ্ট প্রস্তুতি না নিয়ে সন্তান নিলে তা বরং দাম্পত্য জীবনকে আরও জটিল করে তুলবে। তাই সন্তান নেওয়ার আগে ভালো করে ভাবুন, আপনারা প্রস্তুত তো নতুন অতিথিকে নিয়ে সুন্দরভাবে সময় কাটানোর জন্য?
বিষয়: বিবিধ
১৪০৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১. একাকিত্ব দুর হওয়া ।
২. যৌনতা যখযখভাবে উপভোগ করার সুযোগ না পাওয়া ।
৩. আর্থিক নিরাপত্তা দুর না হওয়া ।
৪. পরকে আপন করতে না পারা ।
৫. সন্তান জন্ম দানে দিধা-দন্দ্বে থাকা ।
দেখুন : প্রথম দুইটাই মুলত বিয়ের প্রধান উদ্দেশ্য । সুতরাং দুইটা বাদ দিয়ে বাকি তিনটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে ।
বাকী তিনটা বিষয় নিয়ে আমার অভিমত :
আমি মনে করি :
১.আর্থিক নিরাপত্তা লাভের জন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই কাজ করতে হবে ।
২.পরকে আপন করে নিতে হবে । কথায় আছে : যে সহে সে রহে ।
৩.সন্তান সঠিক সময় জন্মদানের ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে । সঠিক সময় বলতে বোঝাচ্ছি : মেয়েদের ২৫ বছরের আগেই প্রথম সন্তানের মা হওয়া উচিত । এবং ছেলেদের সবারই ২৫ বছরের আগেই বিয়ে করা উচিত । বিস্তারিত তথ্য আমি আমার এই পেজে উল্লেখ করেছি : https://www.facebook.com/WeWillMarryEarly আমরা প্রেম করবো না বিয়ে করবো তাড়াতাড়ি
০ ''নারী মনে করেন, তিনি তাঁর স্বামীর কাছে এত দিনের না-বলা কথা, দুঃখ-কষ্ট বলে নিজেকে হালকা করবেন, তাঁকে বন্ধু বানিয়ে নেবেন।''
এসব না বলা কথা , দুঃখ-কষ্ট হচ্ছে, যে লাক্সারী বাবাকে দিয়ে পূরণ করাতে গেলে অন্য ভাইবোনেরা বাগড়া দিত , তা স্বামীকে দিয়ে ইচ্ছামত পূরণ করানো ।
''আমি যখন বলি, সে কান দিয়ে শোনে, কিন্তু মন দিয়ে বোঝে না। ''
স্বাভাবিক । সবসময়ই যদি স্বামীর সাধ্যের বাইরে ডিমান্ড করতেই থাকে , করতেই থাকে তাহলে তো বেচারা এরকম করবেই । স্বামী তো আর এটিএম বুথ না !
২. যখন-তখন যৌনতা!
০ এটা স্বামীর হক । এজন স্ত্রীর কাছে তার স্বামী এছাড়া আর কিইবা পেতে পারে ?
সে তার স্বামীর কাছ থেকে যখন তখন তার হাজার হাজার লাক্সারী যদি আদায় করে নিতে চায় , তাহলে স্বামীর এই একমাত্র চাওয়াটাও যখন - তখন দেবার মত মানসিকতা গড়ে তোলা উচিত ।
৩. আর্থিক নিরাপত্তা
০ স্বামীর কাজ বাইরে আর স্ত্রীর কাজ ঘরে । একে অন্যের লিবাস/পরিপূরক । দুইজনই যদি একই কাজ করে তাহলে তো সমস্যা হওয়াটাই তো স্বাভাবিক । নিজে ইনকাম করার পরও যদি সে টাকা খরচ না করে অন্যের টাকার জন্য বসে থাকে তাহলে তো রাজার ভান্ডারও ফুরিয়ে যাবে দুদিনেই ।
৪. অন্যের স্বজন নিজের হয় না
০ এটা হয় তখনই যখন স্বামী / স্ত্রী যদি তার আপনজনের জন্য নিজে কিছু করতে যায় বা তাকে একটু হেল্প করতে বলে তখন সে বাধা দেয় , বলে আমি তো তোমাকে বিয়ে করেছি , তাদেরকে কি করেছি ?
আর নিজের আপনজনের ক্ষেত্রে বলে , আমার বাবা তোমার বাবা না ?! আমার মা তোমার মা না !?
এটা মেয়েরাই করে থাকে
৫. সমস্যার সমাধান সন্তানে?
০ সন্তান যদিও এক কথায় বলতে গেলে বাবারই , তবুও এই সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী হয়ে উঠেন মহারাণী । সন্তানকে পুঁজি করে বিভিন্নভাবে সে তার স্বামীকে সাইজ করতে থাকে , সাথে তার পরিবারকেও । নানা নানি মামা খালা আদর করলে সমস্যা হয় না , সমস্যা হয় যদি চাচা ফুফু দাদা দাদি টাচ করতে আসে ।
কোন ভাবে যদি সন্তানের শরীর একটু খারাপ হয় তাহলে চাচা ফুফু দাদা দাদির নিস্তার নেই ।
ভাই সাহেবের জন্য আফসোস !
মন্তব্য করতে লগইন করুন