মুসলমানদের ঐক্য হবে ঈমানিয়্যাতের ভিত্তিতে

লিখেছেন লিখেছেন মু নুরুল ইসলাম হেলাল ০৯ মে, ২০১৪, ০১:৫৫:৪২ দুপুর

আমরা অনেকেই ঐক্যের কথা বলি, কিন্তু ভাবিনা-চিন্তা করিনা যে ঐক্য কার সাথে হবে, বাতিল দল বাতিল দলের সাথে ঐক্য করবে তাই বলে কি ইসলামী দলগুলোও যেভাবে-সেভাবে ঐক্য করে ফেলবে? না-কক্ষনো নয়, ইসলামী দলগুলোর ঐক্য হবে ঈমানিয়্যাতের ভিত্তিতে, তাইতো আল্লাহ রাবুল আলামিন ইরশাদ করেন "নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন যারা আল্লাহর রাস্তায় সিসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় কাতারবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে" এই আয়াতে মহান প্রভু "ফি সাবিলিহি বলে আল্লাহর রাস্তায় ঐক্যের কথা বলেছেন বাতিলের রাস্তায় নয়, বলতে পারেন আমরা দুর্বল বাতিলের সাথে ঐক্য করে কিছু শক্তি অর্জনের দরকার আছে, তবে শুনুন মক্কায় যখন রাসুলুল্লাহ (সঃ) দুর্বল ছিলেন, কাফিররা এসে পরামর্শ দিলেন যে, আসুন আমরা ঐক্য করি, এভাবে যে, ১ বছর আপনার দলবল নিয়ে আমাদের সাথে আমাদের মুর্তির উপসনা করবেন, এরপরের বছর আমরা সহ আপনার রবের উপসনা করবো, মহান আল্লাহ দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছেন, লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদিন, হে নবী (এই ঐক্য হবেনা) আপনি বলে দিন যে, তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে, আর আমাদের ধর্ম আমাদের জন্যে, এই আয়াতের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে কুফুরিয়াতের উপর ভিত্তি করে কোন ঐক্য ইসলামী কোন দল করতে পারেনা, যৌক্তিক দৃষ্টিতে যদি আমরা তাকাই যেমন, আপনারা একদল মানুষ যাচ্ছেন বাজারে সেখানে একটি চরিত্রবিধংসী বেহায়াপনার অনুষ্ঠান হচ্ছে সেটিকে উতখাত করার জন্যে, আপনাদের পাশাপাশি আরেকদল লোক যাচ্ছে ঐ অশ্লীল অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা দেয়ার জন্যে, আপনারাও বাজারে যাচ্ছেন তারাও বাজারে যাচ্ছে এই যুক্তি দেখিয়ে তাদের সাথে যদি ঐক্য করেন-তাদেরকে সংগে নেন তাহলে কী আপনার আপনাদের মিশনে সাকসেস হতে পারবেন? কক্ষনোই নয়,কাজেই আজ আমরা ইসলামী দলগুলো ক্ষমতায় যেতে চাই গণতন্ত্রের এই কুফুরী সংবিধানকে উতখাত করে আল্লাহ প্রদত্ত কুরআনের সংবিধান প্রতিষ্ঠার জন্যে, আর আওয়ামীলীগ-বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায় গণতন্ত্রের এই মানবরচিত কুফুরী সংবিধানকে হেফাজত করে আল্লাহ প্রদত্ত কুরআনের সংবিধানের কবর রচনার জন্যে, কাজেই তাদের সাথে কোন ইসলামী দল ঐক্য করে নিজ মিশনে সাকসেস হতে পারবেনা, যেমন অতীতে সাকসেস হতে পারেনি তেমনি ভবিষ্যতেও, কাজেই বাতিলের সাথে ঐক্যের চিন্তা বাদ দিয়ে আমরা হক্কানী ইসলামী দলগুলো যদি ঐক্য করতে পারি, এক হতে পারি এবং সর্বাবস্থায় ইসলামী নীতি-আদর্শকে প্রধান্য দিতে পারি খোদার কসম বাংলার মাটিতে ইসলামী বিপ্লব কেউ ঠেকাতে পারবেনা, আল্লাহ আমাদেরকে ঈমানিয়্যাতের ভিত্তিতে ঐক্য করার তাওফিক দিন, আমিন

বিষয়: বিবিধ

১২৭৬ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

219438
০৯ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৯
ফেরারী মন লিখেছেন : তাহলে তো জামায়াত কোনো ইসলামী দল নয়। কারণ তারা বাতিলের সাথে আপোষ করে ক্ষমতার মসনদে যেতে ইচ্ছুক।
219446
০৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
219450
০৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। সহমত।
219468
০৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:১২
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : অনেক ভালো বলেছেন.... জাজাকাল্লা খাইরান..
219472
০৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৫
জাগ্রত চৌরঙ্গী লিখেছেন : খোদার কসমশব্দটা এডিট করুন ভাই।

খোদা শব্দটি ফারসী শব্দ, অর্থ স্বয়ম্ভু অর্থাৎ যিনি নিজেই সৃষ্ট ।আল্লাহ্‌র রসুল(সাঃ) আল্লাহ রব্বুল আলামীনের যে ৯৯টি নামের কোথা বলেছেন তার মধ্যে এ ধরনের কোন অর্থ নেই । খোদার ফারসী যে অর্থ তা আল্লাহ্‌র ৯৯ নামের মধ্যে নেই । এ ছাড়াও আল্লাহ্‌র যে সব নাম বা সিফাত কোরআন ও হাদীসে উল্লেখ আছে তার অর্থ খোদার অর্থের সাথে মিলে না । আল্লাহ তা'য়ালা নিজেকে স্বয়ম্ভু বা খোদা অর্থে নামকরন করেননি । রসুল(সাঃ) এ ধরনের কোন অর্থে আল্লাহ্‌র পরিচয় দেননি ।
খোদা শব্দের উৎপত্তি ও এর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে তা দিত্ববাদের আক্বীদা\বিশ্বাস । প্রাচীন পারসিকদের দুজন খোদা ছিল একজন মঙ্গলের, অপরজন অমঙ্গলের । খ্রিস্টানদের ত্রিত্ববাদ এবং হিন্দুদের বহুদেববাদ- এসব বাদই ইসলামের একত্ববাদের বিপরীত ।
মহান আল্লাহর অনেক সুন্দর নাম আছে । সে সব নামে তাঁকে না ডেকে অন্য সব অসংগত বা বেমানান নামে তাঁকে ডাকা বা নামকরণ করা হলে তাঁর অস্তিত্বের অমর্যাদা করা হয়, তাঁর নামের মাহাত্ম্য ক্ষুন্ন করা হয় ।
"আল্লাহ্‌র অনেক সুন্দরতম নাম আছে; সুতরাং তোমরা সে সব নামেই তাঁকে ডাকো ।" [সুরা-আরাফ, আয়াত-১৮০]

তাই মুসলিদের উচিত তাদের ইলাহকে কুরআন ও হাদিস হতে তাঁদের রবের যে সব নাম পাওয়া যায় তাই বলে ডাকা এবং সেটাই উত্তম ও উৎকৃষ্টতর । আল্লাহ সুবাহানাহু তা’আলা বলেনঃ "তোমরা কি উৎকৃষ্টতর বস্তুকে নিকৃষ্ট বস্তুর সাথে বদল করতে চাও ?" [সূরা-বাকারাহ, আয়াত-৬১]
219475
০৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৪২
জাগ্রত চৌরঙ্গী লিখেছেন : তোমরা সবাই মিলে শক্ত করে আল্লাহর রশি ধরো, নিজেদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করো না। আল্লাহর সেই অনুগ্রহকে স্মরণ রেখো, যা তিনি তোমাদের প্রতি করেছেন। তোমরা ছিলে পরস্পরের দুশমন। তিনি তোমাদের মনকে মিলিয়ে দিয়েছেন। আর তাঁরই কৃপায় তোমরা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে গেছো। তোমরা আগুনে ভরা এক গভীর গর্তের কিনারে দাঁড়িয়েছিলে আর আল্লাহ তা থেকে তোমাদের রক্ষা করেছেন। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের সামনে তাঁর নিদর্শন সমূহ স্পষ্ট করে ধরেন, যাতে করে তোমরা তোমাদের কল্যাণের পথ লাভ করতে পারো’। -সূরা ৩ আলে ইমরান : আয়াত ১০৩।


এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, আজকের মুসলিম জাতি নিজেদের মধ্যে অসংখ্য ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে; দুঃখজনক হলো এই বিভক্তি খোদ ইসলামের দ্বারা আদৌ স্বীকৃত নয়।

ইসলাম বিশ্বাস করে তার অনুসারীদের মধ্যে ঐক্য এবং একতার লালন করতে।
219552
০৯ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪৭
আবু বকর সিদ্দিক লিখেছেন : ভালো লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File